Skip to main content

কেবল উপোষ থাকার নাম রোযা নয়, তাকওয়া অর্জনই রোযার উদ্দেশ্য





মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে একদল ঈমানদার ও তাকওয়াসম্পন্ন লোক তৈরীর উদ্দেশ্যে আল্লাহপাক আমাদের ওপর রোযা ফরজ করেছেন এবং এদের দ্বারা সমাজের সকল অনাচার দূর হয়ে একটি জনকল্যাণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে এটিই আল্লাহপাকের অভিপ্রায়।
সিয়াম শব্দের অর্থ বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন চাহিদা পূরণ থেকে বিরত থাকার নাম রোযা। টানা একটি মাস আল্লাহর সাময়িক নিষেধের কারণে রোযাদার এ সব হালাল কাজ থেকে বিরত থাকে। এখন প্রশ্ন-আল্লাহর সাময়িক নিষেধ থেকে বিরত থাকার নাম রোযা; আর স্থায়ী নিষেধের ব্যাপারে কী হবে? রোযাদার কি তার ধারে কাছে যেতে পারে? প্রশ্নই ওঠে না। সমগ্র জীবনটা আল্লাহর বিধানের অধীনে নিয়ে আসার জন্যই তো নামায-রোযার মত আনুষ্ঠানিক ইবাদতসমূহ ফরজ করা হয়েছে। তাইতো আল্লাহর রসুল (সা) এ সব হতভাগাদের সম্পর্কে বলেছেন-এমন অনেক রোযাদার আছে ক্ষুত-পিপাসায় কষ্ট পাওয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জুটে না। তিনি আরো বলেছেন-রোযা রেখে যারা মিথ্যা ও অন্যায় পরিহার করতে পারলো না, তাদের রোযা রাখায় আল্লাহর কোনোই প্রয়োজন নেই।
তাই আসুন, রোযাকে অর্থবহ করার জন্য সকল পাপাচার থেকে দূরে থাকি এবং মানুষের প্রতি সদাচারী হই। রসুল (সা) তাঁর উম্মতদেরকে কত সুন্দরভাবেই না বলে গেছেন-যমিনে যারা আছে তাদের সাথে সদাচরণ করো তাহলে আসমানে যিনি আছেন তিনিও তোমাদের সাথে সদাচরণ করবেন। আমার-আপনার হাত ও মুখ দ্বারা আল্লাহর কোনো বান্দাহ যদি সামান্যতম কষ্ট পায় তাহলে বুঝবেন আমরা আর মুমিন নই। কারণ আল্লাহর রসুল (সা) তো নিজেই বলে গেছেন-ঐ ব্যক্তি মুমিন নয়, মুমিন নয় যার হাত ও মুখের অনিষ্ট থেকে অন্যরা নিরাপদ নয়
হে পরোয়ারদেগার! তুমি আমাদের রোযাসমূহ কবুল করে নাও এবং অতীতের ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে রোযার উদ্দেশ্য পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের তাওফিক দান করো। আমিন। 

Comments