রহমত,মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে
আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে রমযানুল মুবারক। বৈশাখের
এই খরতাপে বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহপাক আবহাওয়ার কাঠিন্য দূর করে অনেকটা শীতলতা দান
করেছেন। অবশ্য আবহাওয়ার রুক্ষ্ণতা রোযাদের রোযা পালনে কখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। তাই
দেখা যায়, যাদের মাঝেই ঈমান রয়েছে এমন কিশোর-যুবক-বৃদ্ধ সবাই স্বতস্ফুর্তভাবে রোযা
পালন করে। রমযানে যারা রোযা রাখে তাদের প্রতি আল্লাহতায়ালার রহমত অজস্রধারায়
বর্ষিত হয়।
আল্লাহ তাঁর বান্দার গুনাহ মাফ করার জন্য অধীর
আগ্রহে অপেক্ষা করেন। বান্দাকে শাস্তিদান আল্লাহর অভিপ্রায় নয়। বান্দার পক্ষ থেকে দরকার শুধু মাফ চাওয়া। ক্ষমার মাস এই রমযান। রসুল (সা)বলেছেন-‘যারা ঈমান ও এহতেছাবের সাথে রোযা
রাখবে আল্লাহ তাদের অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন’। তিনি আরো বলেছেন-‘যে লোক রমযান মাস পেল অথচ নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারলো
না,সে যেন ধ্বংস হয়’। মূলত তাকওয়া অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহ
তাঁর বান্দাদের প্রতি রোযা ফরজ করেছেন এবং তা নিজেদের মধ্যে অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর
কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়া সম্ভব।
আমরা এবারে এক ভিন্নতর পরিবেশে রোযা পালন
করছি। রমযান মাস এলেই মসজিদসমূহে থাকে মুছল্লিদের উপচেপড়া ভীড়। নিজেদের গুনাহ
মাফের আশায় আল্লাহর অগণিত বান্দা প্রস্তুতি নিয়ে থাকে, অন্য সময়ে গাফিলতি হলেও
রমযানের বরকত লাভের আশায় পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও তারাবিহ নামায মসজিদে জামাতে শরীক হয়ে
আদায় করার। কিন্তু করোনার কারণে এ বছরে মসজিদে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ না পাওয়ার
কারণে অন্তরে এক গভীর ব্যথা নিয়ে ঘরে নামায আদায় করতে হচ্ছে।
হে আমাদের রব! আমরা উপলব্ধি করেছি, এ করোনা
আমাদের হাতের কামাই, পাপাচারের ফল, আমরা তোমার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি (গুনাহ না
করার প্রতিশ্রুতি), তুমি আমাদের তাওবা কবুল করো, আমাদের মসজিদসমূহ খুলে দেয়ার
ব্যবস্থা করো।
হে পরোয়ারদিগার! তুমি আমাদেরকে মুসলিম অবস্থায়
জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করো এবং আমাদের মৃত্যু হয় যেন মুসলিম অবস্থায়।
Comments
Post a Comment