এবারের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এটি ছিল মূল চাওয়া। সর্বত্রই অনিয়ম, অপ্রাপ্তি, জুলুম, জবরদখল, চাঁদাবাজি এহেন অপরাধ অপকর্ম নেই যা আমাদের এই প্রিয় দেশটিতে নেই। মাত্র জালেম পালিয়েছে কিন্তু জুলুম সমাজ থাকে দূর হয়নি। সবার আকাঙ্ক্ষা, জালেমের পরিবর্তন নয় অর্থাৎ এক জালেমকে সরিয়ে আর এক জালেম নয়, সবার চাওয়া জালেম আসার পথ চিরতরে বন্ধ হোক। এজন্যই দরকার সংস্কার। এটি অবশ্যই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পাহাড় সম জঞ্জাল। ড. ইউনূসের সরকার রাজনৈতিক দলসমূহের আন্দোলনের ফসল নয়। সমাজে বৈষম্য, অবিচার ও নানাবিধ জুলুম-নির্যাতন থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার এক স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে দুর্নীতি ও অনিয়ম রয়েছে তা চিহ্নিত করে দূর করার লক্ষ্যে সংস্কার সবে শুরু হয়েছে। এখন প্রয়োজন আন্তরিকভাবে সবার এগিয়ে আসা।
সকলেই মনে করে, দেশে বড়ো সংকট গণতন্ত্রের। মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ভোটাধিকার কি শুধুই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিষয়? দলীয় পর্যায়ে কি ভোটের অধিকার প্রয়োগ সকল দল নিশ্চিত করতে পারছে? আমার মনে হয় গণতন্ত্র চর্চা শুরু হোক রাজনৈতিক দলসমূহ থেকে। গতকালের একটি পত্রিকায় দেখলাম, রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচার দেশের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছিল। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের পাশাপাশি দলসমূহ অনুকূল পরিবেশে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, মহানগরী ও কেন্দ্রে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মূল দল ও পার্শ্ব সংগঠনসমূহে প্রাণসঞ্চার করতে পারে। সকল রাজনৈতিক দল নিজেদের প্রতি মনোযোগ দিলেই সম্ভব দেশে সত্যিকার গণতান্ত্রিক সংস্কার। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবার মাঝে উপলব্ধি দান করুন।
Comments
Post a Comment