Skip to main content

শিবির কেন গোপন ছিল?


দুর্ভাগ্য, এমন কথা কেহ বলে না, শিবিরকে কেন গোপন থাকতে হলো? একটু পেছন ফিরে দেখি। প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা. ছিলেন এক সম্ভ্রান্ত ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। দাদা আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন কাবা ঘরের মুতাওয়াল্লী এবং চাচা আবু তালেব ও আমির হামজা কম নয়। আর ব্যক্তি হিসেবে তিনি ছিলেন সবার সেরা। শৈশব থেকেই পরিচিতি লাভ করেন আল আমিন ও আস সাদিক হিসেবে। নবুয়ত লাভের পর মানুষকে দাওয়াত দিলেন কালিমা তাইয়েবার। না না তাঁর জীবনে কোনো একাত্তর ছিল না। ছিল না জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কোনো অভিযোগ। নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী। অথচ এই মানুষটি যখন কাবা চত্তরে নামাজ আদায় করছিলেন তখন উটের নাড়িভুড়ি তাঁর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিলাল রা. ইসলাম গ্রহণের পর প্রকাশ করতে পারেননি, গোপনেই ছিলেন। মনিব টের পেয়ে কী অত্যাচারটাই না করেছিল? তাই, শুধু তিনি নন, মুহাম্মদ সা.সহ সকল সাহাবি গোপনে ছিলেন এবং গোপন থাকতে বাধ্য করেছিল আবু জেহেল ও আব লাহাবরা। আজও রয়েছে আবু জেহেল ও আবু লাহাবের উত্তরসূরী। উমর রা. ইসলাম গ্রহণ করার পর জানতে চাইলেন, তোমাদের সংখ্যা কতো? বলা হলো চল্লিশ। সেদিন মিছিল করে এসে কাবা চত্তরে নামাজ আদায় করলেন। হ্যাঁ, শিবিরও ৫ই আগস্টের পর এক অনুকূল পরিবেশ পেয়ে প্রকাশ্যে এসেছে। এই আসা নবি মুহাম্মদ সা. ও সাহাবিদের সুন্নাত বা অনুকরণ।

শিবিরের এ পথ নবি-রসুলদের পথ। ইব্রাহিম আ. -এর বিপরীতে নমরুদ, মুসা আ.-এর বিপরীতে ফেরাউন ও মুহাম্মদ সা-এর বিপরীতে ছিল আবু জেহেল ও আবু লাহাব। হক ও বাতিলের এ দ্বন্দ্ব- সংগ্রাম চিরন্তন। সুরা বুরুজে আল্লাহ বলেছেন, ঈমানদারদের ধরে এনে আগুনের গর্তে নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর কাফেররা গর্তের পাশে বসে উল্লাস প্রকাশ করেছে। আল্লাহপাক বলেছেন, এই ঈমানদারদের কোনো অপরাধ নেই। অপরাধ একটাই, তারা পরাক্রমশালী আল্লাহর উপর ঈমান এনেছিল। শিবিরের ছেলেরা মেধাবী, নম্র, ভদ্র, মার্জিত এবং দেখতেও খুব সুন্দর। সুন্দর তো হবেই কারণ ওরা তো মাদকাসক্ত নয় আবার নামাজি। নামাজি লোক সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সেজদাসমূহের চিহ্ন তাদের চেহারায় জ্বলজ্বল করে। নামাজি লোকের চেহারায় কমনীয়তা প্রকাশ পায়। মাদকতার সয়লাবে সন্তানকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাবা-মা শিবিরকে নিরাপদ ঠিকানা মনে করছে। আল্লাহ তায়ালা আবু জেহেল ও আবু লাহাবের অনুসারীদের মোকাবিলায় এ জাতির জন্য শিবিরকে কবুল করুন।

Comments