Skip to main content
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ অধ্যাপনার পাশাপাশি বাংলাদেশ মসজিদ মিশন নড়াইল জেলা শাখার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ধর্মপ্রাণ সকলের সাথে ছিল নিবিড় সম্পর্ক। তৎকালীন জেলা আমির মাওলানা নুরুন্নবী জিহাদীকে খুব নিকট থেকে জানি। এতবড় নির্লোভ ও মুখলেস লোক পাওয়া বিরল। সুদীর্ঘকাল জেলা আমির (১৯৯৩ সাল থেকে ১০ই জানুয়ারি ২০১৪ অসুস্থতার পূর্ব পর্যন্ত জেলা আমির এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে জেলা সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দেশে রাজনীতি যখন বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া তখন জামায়াতের একজন জেলা আমির টিকে থাকার সংগ্রাম সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। মাওলানা জিহাদী একজন স্কুল শিক্ষক এবং উঁচুস্তরের আলেম। রুটি-রুজির জন্য শিক্ষকতা এবং বাকি সময় আল্লাহর দীনের জন্য উৎসর্গ করেছেন। অতীতে কখনো তাঁর বাড়ি যাওয়া সম্ভব হয়নি। স্ট্রোক করে এখন তিনি চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। নড়াইল শহরে তাঁর বাড়িঘর নেই। গ্রামে বসবাস করেন। বাড়িতে না আছে কোনো বাউন্ডারি ওয়াল আর না আছে কোনো দালান ঘর কিন্তু আছে মনের প্রশান্তি ও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ। চেহারা আগেও যেমন দেখেছি এখনো তাই। একটা নূরানি ভাব চেহারায় স্পষ্ট। আল্লাহপাক মাওলানা জিহাদী ও তাঁর পরিবারের প্রতি রহম করুন।একটি দুর্নীতিমুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যোগ্য ও তাকওয়াবান লোক তৈরির জন্য জামায়াতে ইসলামী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের লোক তৈরি ও জনগণের সমর্থন- এই দুইয়ের ফলে এ দেশে ইসলামের ঝাণ্ডা একদিন উন্নীত হবে ইনশা-আল্লাহ। আমরা সেদিনের অপেক্ষায়।
Comments
Post a Comment