জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-লিঙ্গ ভিত্তিক পার্থক্য বড়ো কথা নয় এবং এর দ্বারা শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই সর্বোত্তম যে তাকওয়ায় অগ্রগামী। বিশ্বাসের ভিত্তিতে দুটি বিভাজন আল্লাহপাক নিজেই উল্লেখ করেছেন। এক. মুমিন দুই. কাফের। এদের কর্মতৎপরতাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আপনার। আপনি কোন পক্ষে যাবেন- ঈমানের পক্ষে না কুফরির পক্ষে এবং তৃতীয় কোনো পক্ষ আল্লাহ রাখেননি। যদি তৃতীয় কোনো পক্ষ আবিষ্কার করতে চান, সেটি পারেন এবং সেটি হবে নেফাকি (কুফরি ও নেফাকি দুটোর পরিণতি একই জাহান্নাম)। অর্থাৎ আমি আপনি কোন পক্ষের তা আমার আপনার কাছে স্পষ্ট না হলেও আল্লাহর কাছে তা স্পষ্ট। আল্লাহর বাণী -
'যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে আর যারা কুফরি করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। তোমরা শয়তানের সাথিদের বিরুদ্ধে লড়াই করো। আর বিশ্বাস করো, শয়তান -এর ষড়যন্ত্র আসলেই দুর্বল'- সুরা নেসা ৭৬।
একজন ঈমানদার সার্বক্ষণিক মুজাহিদ। একটি মুহূর্ত সে স্থির থাকতে পারে না। জমিনে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত হোক- সে প্রচেষ্টায় মুমিন থাকে পাগলপ্রাণ। পক্ষান্তরে তাগুতকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাফের থাকে সদা তৎপর। হক ও বাতিলের দ্বন্দ্ব সংগ্রামে মুমিন হকের পক্ষে এবং কাফের থাকে বাতিলের পক্ষে। এমতাবস্থায় নিরবতা অবলম্বন আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় নয়। আসুন, আমরা আমাদের আমল দিয়ে প্রমাণ করি যে, আমরা হকপন্থী অর্থাৎ মুমিন।
Comments
Post a Comment