হে রসুল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যা কিছু নাজিল করা হয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি তুমি তা না করো তাহলে তুমি তাঁর রিসালাতের হক আদায় করলে না। মানুষের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কখনো কোনো কাফের জাতিকে পথ প্রদর্শন করেন না- সুরা মায়েদা ৬৭।
অতঃপর রসুলুল্লাহ সা. নির্দেশ দিলেন, আমার পক্ষ থেকে মানুষের নিকট পৌঁছাতে থাকো, যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়।
মুসলমান মাত্রই দায়ী ইলাল্লাহ। স্রেফ ঈমান ও নেক আমল মানুষকে ধ্বংস ও বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে না। এর সাথে অবশ্যম্ভাবী মানুষকে হকের দাওয়াত দিতে হবে ও ধৈর্য ধারণের উৎসাহ যোগাতে হবে। কথাগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা আসরে কসম খেয়ে বলেছেন। সাথে এটিও বলে রাখি, আমাকে-আপনাকে পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল হতে হবে। আংশিক দীন মানা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহর বাণী, তোমরা পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল হও।
জীবনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার মতো সুযোগ ইসলামে রাখা হয়নি। আপনার ঘর, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থাৎ আপনার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনসহ সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে একনিষ্ঠভাবে মানতে হবে। যদি মানতে পারেন তাহলে আপনি মুসলিম অর্থাৎ অনুগত। সাথে সাথে এটাও ঠিক, দীন প্রতিষ্ঠিত থাকলেই কেবল পরিপূর্ণ ইসলাম মানা সম্ভব।
আসুন, আমরা সবাই দীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সংগঠন বেছে নেই। যদি কোনটিই পছন্দ না হয় তাহলে একটি সংগঠন দাঁড় করাই। সেটি সহজ নয়। আবার দীন প্রতিষ্ঠা এককভাবেও সম্ভব নয়। তাই ঈমানের স্বার্থে অপেক্ষাকৃত উত্তমটাকে বেছে নেই। আখেরাতে মুক্তির স্বার্থে প্রয়োজন সংঘবদ্ধ হওয়া। আল্লাহর দাবি, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না।
আল্লাহপাক দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণের লক্ষ্যে সঙ্ঘবদ্ধ জীবন যাপনের তৌফিক আমাদের দান করুন।
Comments
Post a Comment