Skip to main content

সকলের অংশগ্রহণমূলক সরকার চাই


এখন প্রয়োজন দেশের পুনর্গঠন। দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। দলাদলি নয়, দরকার সুদৃঢ় ঐক্য। আমিরে জামায়াত ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঐক্যের পক্ষে কথা বলছেন। ইতোপূর্বে তারেক জিয়া স্পষ্ট বলেছেন, আন্দোলনরত সকলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। জাতীয় সংসদে সকল দলের প্রতিনিধিত্ব চাই। এজন্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা কার্যকর করা হলে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় এবং জাতীয় সংসদ যোগ্যদের মিলনমেলায় পরিণত হবে। এর ফলে পেশিশক্তি ও অর্থের ছড়াছড়ি দূর হবে ইনশা-আল্লাহ। মোট কাস্টিং ভোটের আনুপাতিক হারে তখন সদস্য পদ লাভ করবে। আমাদের পার্লামেন্ট ৩০০ আসনের। কোনো দল ১% ভোট পেলে সংসদে তাদের আসন হবে ৩টা। দলের বাইরে স্বতন্ত্র দাঁড়াতে চাইলে ভোট পেতে হবে ০.৩৩%। ভোট বেশি পেলেও স্বতন্ত্রের জন্য আসন একটিই হবে। এখানে ভোট নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে প্রত্যেকে তার ভোটকে কাজে লাগাতে পারবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ একত্রে বা পৃথকভাবে দাঁড়াতে পারবে। কোনো দলের একটি আসনও না হলে সে দল আর রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত হবে না। ফল দলভাঙার প্রবণতা লোপ পাবে। এমন ব্যবস্থায় একক কোনো দল সরকার গঠনে সক্ষম হবে না। জোট সরকার করতে হবে। সরকারে কেহ না আসলে তারা বিরোধী দলে থাকবে।

দেশে ভয়াবহ গুম-খুন-জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতি মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। তাই ছাত্রদের আহবানে দলমত নির্বিশেষে সবাই মাঠে নেমে এসেছিল। ছাত্র-জনতার সুদৃঢ় ঐক্যই স্বৈরাচার পতন ত্বরান্বিত করেছিল। ঐক্য বিনষ্ট হলে স্বৈরাচার ভিন্ন নামে আসতে পারে। জনগণ চায় সুশাসন ও ন্যায়বিচার। নিজেদের চরিত্র দিয়ে তা জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে। চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্তকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। তাই জনগণের কাছে সততার দাবি নিয়ে পৌঁছতে হবে। সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আল্লাহপাক আমাদের তৌফিক দান করুন।

Comments