আজ সকালে কথা হলো যশোরে আমার এক পরম শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্বের সাথে। আমরা পরস্পরের প্রতি খুব দরদ ও ভালোবাসা অনুভব করি। কথা হলো ৫ই আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয় নিয়ে। আন্দোলন তুঙ্গে, তখনও আমরা উপলব্ধি করতে পারিনি যে স্বৈরাচারের এমন পতন হবে। ১লা আগস্ট যখন জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি হলো তখন মনে হলো আমাদের বাকি জীবন হয় জেলখানায় নয়তো লুকিয়ে লুকিয়ে কাটিয়ে একদিন দুনিয়া থেকে হারিয়ে যেতে হবে। আমরা বুঝতে না পারলেও আমিরে জামায়াতের কাছে স্বৈরাচারের পতন স্পষ্ট ছিল। ১৫ জুলাই পরে অনলাইনে এক সভায় আশ্বস্ত করেছিলেন, মুক্তি মিলবেই ইনশা-আল্লাহ। ছাত্র- জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সাথে সাথে বললেন, স্বৈরাচারের পতন দেখে মনে হয়েছে আল্লাহপাক কাবা ঘর ভাংতে আসা আবরাহা বাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য পাঠিয়েছিলেন আবাবিল (ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি)। এ যেন তারই সদৃশ। আল্লাহপাক আন্দোলনকারী সকলকে (মৃত ও জীবিত) তাঁর রহমতের চাদরে আবৃত করে রাখুন।
দ্বিতীয়ত, ঢাবিতে শিবিরের গোপন থাকা প্রসঙ্গে বললেন, ইউসুফ (আ.)-কে দিয়ে খেদমত নেয়ার লক্ষ্যে আল্লাহপাক তাঁর ভাইদের দ্বারা কূপে নিক্ষেপ এবং সেখান থেকে মিশরের মাটিতে নিয়ে আসার মাঝে ছিল এক বিরাট পরিকল্পনা। ঢাবিতে শিবিরের প্রকাশ্যে তৎপরতা থাকলে হয়তো এ আন্দোলন সফল হতো না। আমাদের উপলব্ধির বাইরে মহান আল্লাহপাক তাঁর নির্যাতিত বান্দাদের মুক্তির লক্ষ্যে সবকিছু সম্পন্ন করেছেন। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। মুখে বলি, আলহামদু লিল্লাহ। আর আল্লাহর এ জমিনকে একান্তভাবে তাঁরই রাজত্ব করার চেষ্টা-প্রচেষ্টায় সর্বস্ব নিয়োজিত করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের কবুল করুন।
Comments
Post a Comment