Skip to main content

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মব্যস্ততা


আমার বড়ো ছেলে প্রকৌশলী ড. মো. মাহমুদুর রহমান আমেরিকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ফোনে কথা বলে জিজ্ঞেস করলাম, এখন তুমি কোথায়? বললো, অফিসে। কতো বাজে? বললো রাত ন'টা। বললাম, বাসায় যাবে না? বললো, এখনই বের হবো। আবার বললাম, ক্লাস ছিল, কখন এসেছো? বললো, আজ ক্লাস ছিল না। ফজর পড়ে এসেছি। ডিপার্টমেন্টে কাজ ছিল।

আমেরিকার জীবনটা এমনই। একজন শিক্ষকের সামগ্রিক কাজের মধ্যে ভাগ করা আছে ক্লাসে কতটুকু সময় দিতে হবে, ল্যাবে কতো সময় এবং ফান্ডিং-এর জন্য (শিক্ষার্থীদের গবেষণা) কতো সময় তা উল্লেখ করা আছে; সম্ভবত বেতন সেভাবেই নির্ধারণ করা হয়। সেখানকার ছাত্র- শিক্ষকের মৌলিক কাজ হলো জ্ঞানচর্চা। এজন্যই তারা বিশ্ব শাসন করছে। ইউরোপ-আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মূলে রয়েছে জ্ঞানের রাজ্যে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব। আমরাও চাই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনীতি চর্চা নয় জ্ঞান চর্চার তীর্থকেন্দ্র এবং হয়ে উঠুক দলমতের ঊর্ধ্বে সকলের সহাবস্থান। আল্লাহপাক ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের তৌফিক বর্তমান প্রজন্ম ও তাদের অভিভাবকদের দান করুন।

Comments