Skip to main content

দরসুল কুরআন সুরা আন নিসা (আয়াত নং ৭৪-৭৮)

 


বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার যোগ্য কেবল তারাই যারা পরকালের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন বিক্রি করে দেয়। তারপর যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে লড়াই করবে এবং মারা যাবে অথবা বিজয়ী হবে তাকে অবশ্যই আমি মহাপুরস্কার দান করবো। ৭৪

তোমাদের কী হলো, তোমরা আল্লাহর পথে অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য লড়াই করবে না যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতিত হচ্ছে? তারা ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের রব! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের কোনো বন্ধু, অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও। ৭৫

যারা ঈমানের পথ অবলম্বন করেছে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। আর যারা কুফরির পথ অবলম্বন করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। কাজেই শয়তানের সঙ্গী-সাথিদের সাথে লড়াই করো আর বিশ্বাস রেখো, শয়তানের ষড়যন্ত্র আসলেই দুর্বল। ৭৬

তোমরা কি তাদেরকে দেখেছো, যাদের বলা হয়েছিল, তোমাদের হাত গুটিয়ে রাখো এবং নামাজ কায়েম করো ও জাকাত আদায় করো? এখন তাদেরকে যুদ্ধের হুকুম দেয়ায় তাদের একটি দলের অবস্থা এই দাঁড়িয়েছে যে, তারা মানুষকে এমন ভয় করেছে যেমন আল্লাহকে ভয় করা উচিত অথবা তার চেয়েও বেশি। তারা বলছে, হে আমাদের রব! আমাদের জন্য এই যুদ্ধের হুকুম কেন লিখে দিলে? আমাদের আরো কিছু সময় অবকাশ দিলে না কেন? তাদের বলো, দুনিয়ার জীবন ও সম্পদ অতি সামান্য এবং একজন আল্লাহর ভয়ে ভীত মানুষের জন্য আখেরাতই উত্তম। আর তোমাদের ওপর চুল পরিমাণও জুলুম করা হবে না। ৭৭

আর মৃত্যু, তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সেখানেই তোমাদের নাগাল পাবেই, তোমরা কোনো মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও। যদি তাদের কোনো কল্যাণ হয় তাহলে তারা বলে, এতো আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। আর কোনো ক্ষতি হলে বলে, এটা হয়েছে তোমার বদৌলতে। বলে দাও, সবকিছুই হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। লোকদের কী হয়েছে, কোনো কথাই তারা বোঝে না। ৭৮

নামকরণ : এই সূরায় বিভিন্ন বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা রয়েছে।সুরাগুলোয় সাধারণত বিষয়ভিত্তিক কোনো শিরোনাম নির্ধারণ না করে চিহ্নস্বরূপ নামকরণ করা হয় এবং এভাবে এই সুরার নামকরণ করা হয়েছে সুরা আন নিসা অর্থাৎ এটি সেই সুরা যাতে নিসা বা রমণী শব্দটি উল্লেখ রয়েছে।

নাজিলের সময়কাল : মদিনায় অবতীর্ণ। বিভিন্ন সময়ে ঘটনার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্দেশনা হিসেবে নাজিল হয়েছে। তৃতীয় হিজরির শেষ থেকে চতুর্থ হিজরির শেষ দিকে বা পঞ্চম হিজরির প্রথম দিকে অবতীর্ণ হয়।

বিষয়বস্তু : কোনো একক বিষয় নয় বরং মদিনায় ইসলাম একটি রাষ্ট্রীয় দীন হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করায় শরিয়তের বিধি-বিধান সেখানে নাজিল হয় এবং তা প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে। ওহুদ যুদ্ধে ৭০জন সাহাবি শাহাদত বরণ করেন। অনেকে বিধবা হন আবার অনেকে এতিম হন। এই সূরায় উত্তরাধিকার আইন, এতিমদের লালন-পালন, যুদ্ধের ময়দানে ভয়কালীন নামাজ, পানির অভাবে তায়াম্মুমের বিধান ইত্যাদি শরিয়তের হুকুম নাজিল করা হয়েছে। কাফের, মুশরিক, আহলে কিতাব ও মুনাফিকদের সাথে আচরণ কেমন হবে তাও বলা হয়েছে। মদিনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা লাভের ফলে মুসলমানদের এক নিরাপদ আবাস গড়ে উঠে এবং মক্কা ও আশেপাশে ইসলামে দিক্ষীত সবাইকে হিজরত করে মদিনায় চলে আসারও নির্দেশ প্রদান করা হয়। অনুকূল পরিবেশে আল্লাহর পক্ষ থেকে আচার-আচরণ ও নানাবিধ সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ব্যাখ্যা :

৭৪. আল্লাহপাকের সাথে মানুষের সম্পর্ক হলো মনিব ও দাস। আমরা আল্লাহপাকের সার্বক্ষণিক গোলাম এবং প্রতি নামাজে প্রতি রাকাতে আমরা গোলামির স্বীকৃতি দিয়ে থাকি ‘আমরা তোমারই গোলামি করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য কামনা করি’। ইসলাম আল্লাহপাক প্রদত্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা (আদ দীন)। আমাদের আর একটি পরিচয় হলো আমরা আল্লাহর খলিফা। গোলাম ও খলিফা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব জমিনে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বদা প্রচেষ্টা চালানো। সকল বাতিল ব্যবস্থাপনার উপর আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা করা ঝুঁকিপূর্ণ এবং লড়াই-সংগ্রাম ছাড়া স্রেফ কামনা-বাসনার মাধ্যমে জমিনে দীন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই আল্লাহপাক এই আয়াতে স্পষ্ট করেছেন যে, দুনিয়া পূজারি ও স্বার্থপর লোকেরা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার যোগ্য নয়। এ পথ তাদেরই জন্য যারা আখেরাতের সাফল্যের বিনিময়ে দুনিয়ার সকল সুখ, আরাম-আয়েশ ও সম্মান-মর্যাদা ত্যাগ করতে পারে। এ পথে নিহত হওয়া ও বিজয়ী হওয়া দু’টিরই সম্ভাবনা রয়েছে এবং উভয় অবস্থায় রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহাপুরস্কার। এ পুরস্কার বান্দা কল্পনাও করতে পারে না। অবশ্য আল্লাহপাক অন্যত্র বলেছেন, আল্লাহর পথে সংগ্রামকারীদের জন্য রয়েছে গুনাহের ক্ষমা ও জান্নাত (সুরা সফ)। আবার সুরা তওবায় বলেছেন, আল্লাহপাক জান্নাতের বিনিময়ে মুমিনদের জানমাল খরিদ করে নিয়েছেন, তারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে মারে ও মরে।

৭৫. এক অনুকূল পরিবেশ পেয়ে রসুলুল্লাহ সা. ও তাঁর সাহাবিরা আল্লাহপাকের নির্দেশক্রমে মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু অসহায় অনেক নরনারী ও শিশুরা যানবাহনের অভাব বা নানা কারণে হিজরত করতে না পারায় নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছিলো। এখানে সেদিকে ইংগিত করে বলা হলেও পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বা নিজ দেশে জালেম কর্তৃক মুসলমানরা নির্যাতিত হলে জালেমের বিরুদ্ধে মুসলমানরা বুক টান করে দাঁড়াবে এটিই স্বাভাবিক। এদেশের ছাত্রজনতা জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছে যে আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার এ জীবন তাদের কাছে একেবারেই তুচ্ছ ও মূল্যহীন। বলা যায়, মজলুম জনপদের জন্য আকস্মিক জেগে উঠা শিক্ষার্থীরা ছিল জাতির বন্ধু, অভিভাবক ও সাহায্যকারী।

৭৬. আল্লাহপাক মুমিন ও কাফেরের মাঝে সুস্পষ্ট বিভক্তি টেনে দিয়েছেন। ঈমানদার মানেই আল্লাহর পথে লড়াকু সৈনিক। তাদের লড়াই-সংগ্রাম ও সকল চেষ্টা-প্রচেষ্টা আল্লাহর পথে। পরকালে জান্নাতের প্রত্যাশী কেহ আল্লাহর পথে সংগ্রাম থেকে পিছপা হতে পারে না। তারা জানমাল ও সকল যোগ্যতা নিয়ে আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা চালায়। এখানে আল্লাহপাক স্পষ্ট করেছেন, জমিনে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা থেকে কোনো ঈমানদার নিজেকে আলাদা করতে পারে না। পক্ষান্তরে যারা কাফের তাদের সকল চেষ্টা-প্রচেষ্টা তাগুতের পথে (তাগুত অর্থাৎ সীমালঙ্ঘনকারী যারা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু চায়)। কোনো ঈমানদার ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু প্রতিষ্ঠার সাথে কোনভাবেই নিজেকে সংশ্লিষ্ট করতে পারে না। তাহলে সে আর ঈমানদার থাকে না।

এখানে আল্লাহপাকের নির্দেশ, তোমরা শয়তানের সঙ্গী-সাথিদের সাথে লড়াই করো এবং সাথে সাথে সাহস জুগিয়েছেন এই বলে যে, শয়তানের ষড়যন্ত্র আসলেই দুর্বল। চোখের সামনেই আমরা দেখলাম, ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষাবলম্বনকারী স্বল্পসংখ্যক নিরস্ত্র শিক্ষার্থীর বুক টান করে দাঁড়ানোর মোকাবেলায় বিশাল রাষ্ট্রশক্তি, দলীয় শক্তি ও পার্শ্ববর্তী শক্তি কোনো কাজে আসলো না বরং শিক্ষার্থীদের সাথে জনতার শক্তি যুক্ত হওয়ায় আল্লাহপাক ক্ষুদ্র শক্তিকে বিজয় দান করলেন। আল্লাহ তায়ালা যে মজলুমের পক্ষাবলম্বন করেন এবং তিনি তাঁর ওয়াদা পালন করেন সেটি দেখিয়ে দিলেন (আমি সংকল্প করেছিলাম, পৃথিবীতে যাদের লাঞ্ছিত করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করবো, তাদের নেতৃত্ব দান করবো, তাদের উত্তরাধিকার করবো এবং পৃথিবীতে তাদের কর্তৃত্ব দান করবো- সুরা ক্বাসাস ৫-৬)।

৭৭. মক্কায় তেরটি বছর মুহাম্মদ সা. ও তাঁর সাথিরা একতরফা মার খেয়েছেন এবং পাল্টা মার দিতে পারেননি বা অনুমতিও ছিল না। নির্যাতিত হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে মানুষের মাঝে এমন আকাক্সক্ষা জাগে, তারাও তো কিছু দিতে পারে। রসুলুল্লাহ সা. বদলা গ্রহণের অনুমতি দেননি এবং সেটি আল্লাহপাকেরই অভিপ্রায় ছিল। কিন্তু মদিনার পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে আল্লাহপাক নিজেই যুদ্ধের নির্দেশ প্রদান করেছেন। নির্দেশ আসার পর যুদ্ধের ঝুঁকি নিতে অনেকেই রাজি ছিল না। তারা মানুষকে এতটা ভয় করা শুরু করলো যতটা আল্লাহকে ভয় করা উচিত বরং তার চেয়েও বেশি। নামাজ, রোজা ও আনুষ্ঠানিক ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে নির্ঝঞ্ঝাট জীবন-যাপন করাকে উত্তম বিবেচনা করছিল। তারা আরো কিছুদিন অবকাশ চাচ্ছিলো কিন্তু আল্লাহপাক তাতে রাজি নন। তিনি তো অন্তর্যামী, তিনি রোগ ধরতে না পারলে আর কে পারবেন? আল্লাহপাক স্পষ্ট করেছেন, দুনিয়ায় যা কিছু দেয়া হয়েছে তা আখেরাতের তুলনায় অতি নগণ্য। ফলে যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের উচিত আল্লাহর পথে লড়াই-সংগ্রাম থেকে নিজেকে গুটিয়ে না রাখা।

৭৮. আগের আয়াতে আল্লাহর পথে লড়াই-সংগ্রাম থেকে পেছনে থাকার নানা কারণের মধ্যে দুনিয়ার জীবনে ব্যবসা-বাণিজ্য, দামি চাকরি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও আয়েশি জীবন সম্পর্কে বলা হয়েছে যে আখেরাতের তুলনায় এসব একেবারে তুচ্ছ-নগণ্য আর ৭৮ নং আয়াতে বড়ো কারণ হিসেবে বলা হয়েছে মৃত্যুভয়। এটিও একেবারে অমূলক। মৃত্যুকে এড়িয়ে চলার সাধ্য কারো নেই, সুরক্ষিত দালানে থাকলেও মৃত্যু ধরবেই ধরবে। যুদ্ধের মাঠে মৃত্যু তকদিরে না থাকলে কারো ভাগ্যে জুটে না। খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. বড়ো বাহাদুর ছিলেন এবং মুসলিম সেনাপতি হিসেবে অনেক যুদ্ধে শরীক হয়েছেন কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়েছে নিজ বিছানায়।
যুদ্ধে জয়পরাজয় খুবই স্বাভাবিক। যুদ্ধে জয়লাভ করলে তারা এটাকে আল্লাহর অনুগ্রহ বলতো পক্ষান্তরে পরাজয় হলে দোষ চাপাতো সেনাপতি হিসেবে রসুলুল্লাহ সা.-এর উপর। আসলে জয়-পরাজয় সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। রসুলুল্লাহ সা.-এর অনুপস্থিতিতে ইসলামী আন্দোলন পরিচালিত হয় পরামর্শের ভিত্তিতে। পরামর্শের ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন মেনে
চলাটাই বড়ো কথা। ভালো কিছু হলে আল্লাহর অনুগ্রহ এবং মন্দ কিছু ঘটলে নেতার দোষ- এটা ইসলামী আন্দোলনের মেজাজ নয়।

শিক্ষা : ৭৪-৭৮ পাঁচটি আয়াতে একজন নিষ্ঠাবান মুসলিমের দায়িত্ব-কর্তব্য স্পষ্ট করা হয়েছে। মানুষের জন্য এই পৃথিবীকে লোভনীয় করে সৃষ্টি করা হয়েছে। মান-ইজ্জত-সম্মান, অর্থবৃত্ত-বাড়ি-গাড়ি-জমি-স্বর্ণ-রৌপ্য ও নানাবিধ সম্পদ পাওয়ার জন্য মানুষ পাগলপ্রাণ ছুটছে। এসবের তুলনায় আখেরাতে যা রয়েছে তা তুলনাহীন। আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার ভাগ্য সবার জুটে না। দুনিয়ার তুলনায় যারা আখেরাতকে অগ্রাধিকার দিতে পারে কেবল তারাই পারে আল্লাহর পথে লড়াই করতে। ঈমানদার মাত্রই আল্লাহর পথে প্রচেষ্টাকারী এবং যার মধ্যে ঈমান রয়েছে তার পক্ষে কখনই তাগুতের পক্ষাবলম্বন সম্ভব নয়। আল্লাহর ভাষায় সে কাট্টা কাফের।

আল্লাহপাক সংঘবদ্ধভাবে তাঁর দীন প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলমানদের জোর তাগিদ দিয়েছেন। কুরআন মজিদের নানা স্থানে নানা ভঙ্গিতে বলা হয়েছে। নবি-রসুল প্রেরণের মিশনই হলো দীন কায়েম করা এবং শেষ নবি সা.-এর মিশনও তাই। স্বৈরশাসনের পতনের ফলে দেশে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে। আগামীতে আল্লাহর পথে জিহাদ অর্থ ভোটের মাঠে ইসলামের পক্ষে রায় প্রদান। মুসলিম উম্মাহ যদি বাতিলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে পারে তাহলে এ দেশে গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটের মাধ্যমেই দীন কায়েম সম্ভব। আল্লাহপাক উম্মাহর মাঝে উপলব্ধি দান করুন এবং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তৌফিক দান করুন। ১১.১১.২০২৪

Comments