Skip to main content

এক রাহেলা আপার গল্প


মানুষটি দরিদ্র কিন্তু মনটা বড়ো উদার এবং এটিই স্বাভাবিক। ইসলাম মানুষকে উদার করে। ধনী-দরিদ্র কোনো বৈষম্য ইসলাম স্বীকার করে না। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো তার তাকওয়া। এদিক দিয়ে রাহেলা আপা অনন্যা। নড়াইলের মাটিতে তিনি প্রথম দিকের ইসলামী আন্দোলনের কর্মী। আজ সকালে মাওলানা আশেক এলাহী ভাইয়ের বাসায় আপার সাথে কথা হলো। বয়স নব্বই ঊর্ধ্বে কিন্তু দীনের কাজে অত্যন্ত সক্রিয়। ১৯৭৪ সনে তিনি জামায়াতে যোগদান করেন এবং ১৯৮৯ সনে রুকন হয়েছেন। মহিলা অঙ্গনে রাহেলা আপা দ্বিতীয় রুকন। প্রথম রোকন হলেন হোসনে আরা জেসমিন (বুলু আপা)।

রাহেলা আপার আট ছেলে-মেয়ে। পরিবারটি পুরোপুরি ইসলামী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাঁর ছেলে-ছেলেবৌ এবং মেয়ে ও মেয়ে-জামাই মিলে মোট এগারো জন রুকন। এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত। নড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে এই পরিবারটি এক প্রেরণা এবং পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার। বিশ বছর পরে নড়াইল এসে গতকাল আমার স্ত্রীসহ চারজন বুলু আপার নেতৃত্বে রাহেলা আপাকে দেখতে গিয়েছিলেন। তাদের এই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা কেবল আল্লাহরই জন্য। ১৯৮৯ সালের সেই দু'জন রুকন থেকে এখন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ শতাধিক। আলহামদু লিল্লাহ।

৫ই আগস্টের গণঅভ্যত্থানের পরে তাঁর এক ছেলের হদিস পাচ্ছেন না। জামায়াতের কর্মী এবং ইতোপূর্বে জেল খেটেছেন। ৮ তারিখে ফরিদপুর যাওয়ার পরে ২/১ দিন বাদে আর মোবাইলে যোগাযোগ হয় না। অপেক্ষা করছেন শীঘ্রই ফিরে আসবে কিন্তু আসেনি। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে সুস্থ অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন।

Comments