Skip to main content

কে বলে আমরা এক বিশ্বাসী জাতি?


মদ-জুয়া, চুরি-ডাকাতি, ঘুষ-দুর্নীতি, নগ্নতা- বেয়াহাপনার এক সয়লাব বয়ে চলেছে আমাদের এই প্রিয় দেশে। অথচ এই দেশের শতকরা নব্বই জন মুসলিম, আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী। এ সব অপকর্ম সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ এবং পরিণতি জাহান্নাম। সর্ষেকণা ঈমান রয়েছে এমন কারো পক্ষে এসব পাপাচারে জড়িত হওয়া সম্ভব নয়। দেশে এসব সর্বনাশা অপরাধ সংঘটন আমাদের ঈমানহীনতারই পরিচয় বহন করে। তওবা করে নিজেকে সংশোধন করে নেয়া ছাড়া নাজাতের কোনো পথ নেই।

দেশের সাধারণ মানুষ বড়ো বড়ো অপকর্মের সাথে জড়িত নয়। সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট ও কাছের মানুষগুলোই এসব পাপাচারে লিপ্ত। জনস্বার্থ বিরোধী বা জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত হওয়া অনেক বড়ো অপরাধ এবং এর শাস্তিও ভয়াবহ। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘আপনার দৃষ্টিতে ভয়াবহ অপরাধ কোনটি?’ আমি বলবো, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভন্ডুল করে দেয়া ও জনগণের অধিকার হরণ করা। এতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ফাঁসি দিয়ে এ জঘন্য অপরাধের প্রায়শ্চিত্য সম্ভব নয়। প্রায়শ্চিত্য তখনই সম্ভব, যখন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা খালেছ দিলে তওবা করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে।

আল্লাহপাক নারী জাতির জন্য জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ করে দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য, নারী তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। রসুল (সা) মিরাজ থেকে ফিরে এসে জানালেন, জাহান্নামে দেখলাম অধিকাংশই নারী। রাস্তাঘাটে নারীর চলাফেরায় মনে হয় জাহান্নামে যাওয়ার জন্য তারা প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ও হাটেবাজারে অধিকাংশ নারী তাদের সতর অনাবৃত অবস্থায় চলাফেরা করে। এটা এক ধরনের উলঙ্গপনা বৈ আর কিছু নয়।

আল্লাহর নির্ধারিত ফরজ অমান্য করা কবিরা গুনাহ এবং নামাজ-রোজা বা কোনো আমল দিয়ে কবিরা গুনাহ দূর করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তওবা করে নিজেকে সংশোধন করে নেয়া। আল্লাহপাক এ জাতিকে তওবা করার সুযোগ দিক এবং তওবার মাধ্যমে আমরা একটি সুখি ও সমৃদ্ধশালী ও নিরাপদ দেশ গড়ি।

Comments