Skip to main content

Posts

Showing posts from 2024

প্রসঙ্গ : জাতীয় সরকার

  সকলের অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সরকারের দাবি দিনদিন জোরালো হচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে বলেন, 'স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত সকল দলকে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করবো।' তাঁর বক্তব্যের ফলে জাতীয় সরকার ইস্যু আরো গতি লাভ করেছে। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার সাধন। ব্যক্তি না হয়ে দল, দলীয় আদর্শ ও প্রতীকে ভোট দিলে সংসদে সকলের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়। এক শতাংশ ভোট পেলেও সংসদে সেই দলের আসন দাঁড়াবে ০৩। সংসদ হবে যোগ্যদের এবং সেটি হবে প্রাণবন্ত এক সংসদ। জাতীয় সরকার হবে না জোট সরকার হবে সেটা নির্বাচনের পর বিবেচিত হবে। ব্যক্তি বা প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে দল বা প্রতীকে ভোট দিলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ কোনো দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। ৫০%-এর অধিক ভোট একক কোনো দলের নেই। এই ব্যবস্থাপনায় ভোট নষ্ট না হয়ে প্রতিটি ভোট মূল্য বহন করবে এবং পেশিশক্তি ও টাকার ছড়াছড়ি দূর হবে। পৃথিবীর অনেক দেশে আছে। আমি বেশ কিছুদিন এমন ব্যবস্থার কথা বলে আসছি।

ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি বনাম রাজনীতি নিরপেক্ষ ধর্ম- এই দুইয়ের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক আছে কি?

  ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির প্রবক্তরা বলেন, ধর্ম ব্যক্তিগত আচার-আচরণের সাথে সংশ্লিষ্ট। ধর্ম পবিত্র জিনিস। তাদের মতে, রাজনীতির মতো নোংরা মাঠে ধর্মকে নিয়ে আসা ঠিক নয়। এই ধারণায় বিশ্বাসীরা হাতে তসবিহ, মাথায় কালো হেজাব, নিয়মিত কুরআন পাঠে মগ্ন ও তাহাজ্জুদ গুজারও হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে রাজনীতির মাঠে এই অতি ধার্মিকরা এক একজন দানব। ভোট ডাকাতি, গুম-খুন, আয়নাঘরে এনে নজিরবিহীন জুলুম-নির্যাতন এবং রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচারে ওদের ধর্মে বাধা হয় না। বরং ওরা জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় আচার হিসেবে ঈদে মিলাদুন্নবি সা. ও শবেবরাত পালন করে থাকে। ওরা যে ভণ্ড ও প্রতারক, অজ্ঞ জনগণ তা বোঝে না এবং বুঝতে দেয়ও না। রাষ্ট্রের টাকা ব্যয় করে ওরা একদল দরবারি আলেম রাখে যেমনটি রেখেছিল নমরুদ আজরকে যে তার পুত্র নবি ইব্রাহিম আ.-এর দীন কবুল করতে পারেনি। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো নমরুদ, ফেরাউন, আবু জেহেল, আবু লাহাব ও তাদের উত্তরসূরিরা। এরা সকলেই নিজেদেরকে বড়ো ধার্মিক মনে করতো কিন্তু রাজনীতির অঙ্গনে ছিল ধর্মনিরপেক্ষ। বরং নবি-রসুলদেরকে অধার্মিক মনে করতো। এসব ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিকরা জান...

জুমার খুতবা ১৩.০৯.২০২৪

  ঈদে মিলাদুন্নবি সা. উপলক্ষে বিশেষ কোনো ইবাদত নেই বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাইয়াফ শুরুতে আল্লাহপাকের হামদ ও রসুলুল্লাহ সা.-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করেন। তিনি বলেন, এটি রবিউল আউয়াল মাস এবং এ মাসে আমাদের প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা. জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আগমন ছিল এক আলোকবর্তিকা যার ফলশ্রুতিতে পৃথিবী থেকে অন্ধকার দূরীভূত হয়েছে। আমরা সেই মহান নবি সা.-এর উম্মত হওয়ায় গর্বিত। তাই মহান রবের দরবারে শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদু লিল্লাহ। প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা.-এর জীবনাদর্শ আলোচনা করে কূল-কিনারা পাওয়া যাবে না। আমরা তাঁর জন্ম নিয়ে আজকে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ। মিলাদ শব্দের অর্থ জন্ম। মিলাদুন্নবি সা. অর্থ নবি সা.-এর জন্ম। রসুলুল্লাহ সা.-এর জন্মের সঠিক দিন তারিখ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। মোটামুটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, তাঁর জন্ম হস্তিবর্ষে। অর্থাৎ যে বছরে ইয়ামেনের শাসক আবরাহা বিশাল হস্তিবাহিনী নিয়ে কাবা ধ্বংস করতে এসেছিল সে বছরে তাঁর জন্ম। আবরাহা হস্তির পিঠে চড়ে সেই বাহ...

দাওয়াতে দীন ও সঙ্ঘবদ্ধ জীবন যাপন

  হে রসুল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যা কিছু নাজিল করা হয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি তুমি তা না করো তাহলে তুমি তাঁর রিসালাতের হক আদায় করলে না। মানুষের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কখনো কোনো কাফের জাতিকে পথ প্রদর্শন করেন না- সুরা মায়েদা ৬৭। অতঃপর রসুলুল্লাহ সা. নির্দেশ দিলেন, আমার পক্ষ থেকে মানুষের নিকট পৌঁছাতে থাকো, যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়। মুসলমান মাত্রই দায়ী ইলাল্লাহ। স্রেফ ঈমান ও নেক আমল মানুষকে ধ্বংস ও বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে না। এর সাথে অবশ্যম্ভাবী মানুষকে হকের দাওয়াত দিতে হবে ও ধৈর্য ধারণের উৎসাহ যোগাতে হবে। কথাগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা আসরে কসম খেয়ে বলেছেন। সাথে এটিও বলে রাখি, আমাকে-আপনাকে পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল হতে হবে। আংশিক দীন মানা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহর বাণী, তোমরা পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল হও। জীবনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার মতো সুযোগ ইসলামে রাখা হয়নি। আপনার ঘর, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থাৎ আপনার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনসহ সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে একনিষ্ঠভাবে মানতে হবে। যদি মানতে পারেন তাহলে আপনি মুসলিম অর্থাৎ অনুগত। সাথে সাথে...

ফিতনা-ফাসাদ (সন্ত্রাস) সৃষ্টি হত্যা অপেক্ষাও মারাত্মক অপরাধ।

  সমাজে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আইন নিজ হাতে তুলে নেয়, চাঁদাবাজি করে, জনজীবনে শান্তি বিনষ্ট করে ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে - তারা দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু। ওদের শক্তহাতে দমন করা দরকার। আল্লাহর ভাষায় ওদের শাস্তি হলো হত্যা করা বা নির্বাসনে দেয়া বা আরো বিকল্প রয়েছে, সেটা নির্ধারণ করবে আদালত। আদালতের দীর্ঘসূত্রিতা আইনের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে। দু'জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত দণ্ড দিতে পারে। মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর বিচারের নামে চলে প্রহসন। বিচারব্যবস্থার আশু সংস্কার দরকার। সম্প্রতি ঢাবিসহ বিভিন্ন জায়গায় আইন নিজ হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির কথাও শোনা যাচ্ছে। এখন চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। এরমধ্যেও যারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তারা জনদুশমন। ওদের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচিতি না দেখে আটক করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং সেই সাথে গণহত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আটক না করলে জনরোষ সামলানোও কঠিন হবে।

নড়াইলে মসজিদ মিশন পুনর্গঠন

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার বাদ আসর নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সম্মানিত খতিব মুফতি মাওলানা মো. ওয়াকিউজ্জামানের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মাহফুজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মুফতি মাওলানা মো. ওয়াকিউজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন নড়াইল মসজিদ মিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী। তিনি দীর্ঘ আট বছরের (১৯৯৬-২০০৪) তাঁর নড়াইলে অবস্থানের স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন, মসজিদ মিশন নড়াইল জেলা শাখা অতীতের মতো আবার দেশসেরা হবে ইনশা-আল্লাহ। মুক্ত পরিবেশে দীনের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন এবং ৫ই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করেন ও অসুস্থদের সুস্থতা কামনা করেন। প্রফেসর হিলালী বলেন, স্বৈরাচারী শাসনের ফলে দেশে ইসলামের নামে সকল কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছিল। এরই মাঝে আমাদের অনেক সহকর্মী দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেছেন। আবার অনেকেই মাজুর হয়ে পড়েছেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন : ১. মো. ওয়াকিউজ্জামান ০১৯২০-৬৯০৫০৫ ২. ম. শফিউর রহমান (শফিউল্লাহ) ০১৭৯৫-১৬০১০০ ৩. মো. ...

একজন জেলা আমির

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ অধ্যাপনার পাশাপাশি বাংলাদেশ মসজিদ মিশন নড়াইল জেলা শাখার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ধর্মপ্রাণ সকলের সাথে ছিল নিবিড় সম্পর্ক। তৎকালীন জেলা আমির মাওলানা নুরুন্নবী জিহাদীকে খুব নিকট থেকে জানি। এতবড় নির্লোভ ও মুখলেস লোক পাওয়া বিরল। সুদীর্ঘকাল জেলা আমির (১৯৯৩ সাল থেকে ১০ই জানুয়ারি ২০১৪ অসুস্থতার পূর্ব পর্যন্ত জেলা আমির এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে জেলা সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দেশে রাজনীতি যখন বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া তখন জামায়াতের একজন জেলা আমির টিকে থাকার সংগ্রাম সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। মাওলানা জিহাদী একজন স্কুল শিক্ষক এবং উঁচুস্তরের আলেম। রুটি-রুজির জন্য শিক্ষকতা এবং বাকি সময় আল্লাহর দীনের জন্য উৎসর্গ করেছেন। অতীতে কখনো তাঁর বাড়ি যাওয়া সম্ভব হয়নি। স্ট্রোক করে এখন তিনি চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। নড়াইল শহরে তাঁর বাড়িঘর নেই। গ্রামে বসবাস করেন। বাড়িতে না আছে কোনো বাউন্ডারি ওয়াল আর না আছে কোনো দালান ঘর কিন্তু আছে মনের প্রশান্তি ও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ। চেহারা আগেও যেমন দেখেছি এখনো তাই। একটা নূরানি ভাব চে...

আমাদের মোনজেল মোরশেদ ভাই

  বাংলাদেশ মসজিদ মিশন নড়াইল জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর কুরআনের দরস শোনার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকতো। চাকরি করতেন এসপি অফিসের স্টেনোগ্রাফার পদে। ভালো ইংরেজি জানতেন। ছিলেন অসম্ভব সৎ। ফলে সকল এসপি সাহেব তাঁকে ভালো জানতেন এবং তাঁর একটা প্রভাবও ছিল। তৎকালীন এসপি জনাব শেখ সাজ্জাত আলী সদর থানা মসজিদে সাপ্তাহিক দরসুল কুরআন ক্লাস চালু করেছিলেন তাঁরই স্টেনোগ্রাফার জনাব মো. মনজেল মোরশেদ ভাইকে দিয়ে। তাঁর মেয়ে ও আমার মেয়ে একই ক্লাসে পড়ার কারণে একটা বাড়তি সম্পর্কও ছিল। আল কুবা স্কুলের অধ্যক্ষ মহোদয়কে সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করলাম। অনেক স্মৃতি। স্ট্রোক করে উনি চলাচল করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সুস্থ করে দিন।

প্রফেসর শেখ আব্দুর রউফ

  স্যারের বাসায় আমরা সস্ত্রীক। দুপুরের দাওয়াতে স্যারের বউমাদের অনেক আয়োজন। ৮৬ বছর বয়সেও স্যার একজন তরতাজা তরুণ। প্রতিদিন এক ঘন্টা হাঁটেন। নিয়মিত বাগান পরিচর্যা করেন এবং রাত দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। সুস্থতার জন্য যা করণীয় স্যার তা করেন এবং নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায় করেন ও বুঝে বুঝে কুরআন পড়েন। আমার স্যার প্রফেসর শেখ আব্দুর রউফ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে প্রায় তিন বছর (০১.০৩.৯৬- ২৭.০১.৯৯) কর্মরত ছিলেন। স্যারকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে সহকর্মী এবং নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পেয়েছিলাম। স্যারকে অত্যন্ত সৎ ও সজ্জন হিসেবে আমরা সবাই জানি। স্যারের দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং সাত নাতি-নাতনির দাদা ও নানা। আল্লাহ তায়ালা স্যার ও তাঁর পরিবারের প্রতি রহম করুন।

নড়াইলের আর একজন দায়ী

  মাওলানা মির্জা আশেক এলাহী একজন দায়ী ইলাল্লাহ। ৭৯ বছর বয়সে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা থাকলেও এখনো দীনের কাজে সক্রিয়। কর্মজীবনে মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম ছিলেন। তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা জেসমিন (নড়াইলের মহিলা অঙ্গনে সবার পরিচিত বুলু আপা) কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। এই শিক্ষক দম্পতির নড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রয়েছে। মাওলানা আশেক এলাহী একসময় জামায়াতের জেলা আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি হাসিনা সরকারের আমলে নয় মাস কারাগারে ছিলেন এবং তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা জেসমিনও জেল খেটেছেন। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী অঞ্চল টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এই দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ে এবং ছেলে- মেয়েদের ঘরে দশ নাতি-নাতনি নিয়ে এক সুখী জীবন যাপন করছেন। আমরা আশেক এলাহী ও হোসনে আরা দম্পতি ও তাঁদের পরিবারের জন্য আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনা করি।

বিশ বছর পর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে

  নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে আমার কর্মকাল (১৯৯৬-২০০৪) আট বছর। ছিলাম ঐ কলেজের শিক্ষক পরিষদ ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সম্পাদক। আমার আট বছরের কার্যকালে অধ্যক্ষ হিসেবে পেয়েছিলাম প্রফেসর মো. আব্দুল গফুর (মরহুম), প্রফেসর শেখ মো. আব্দুর রউফ, প্রফেসর মো. রুস্তম আলী শিকদার, প্রফেসর মো. আহমদ আলী সরদার (মরহুম), প্রফেসর ঘোষ মধুসূদন, প্রফেসর মো. আব্দুল হাই (মরহুম), প্রফেসর মো. নূরুল ইসলাম ও প্রফেসর ফিরোজ আহামদ। এছাড়া অনেকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শহীদ লতিফ এবং প্রফেসর অসীম কুমার সরকার (পদার্থবিজ্ঞান) ও জনাব মো. হায়দার আলী দেওয়ান ( সহযোগী অধ্যাপক, গণিত)-কে পেলাম। কর্মচারীদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা, কল্যাণ কুমার ও মোহাম্মদ আলী রয়েছে। তাদের সাথে ছবি উঠালাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমার দু'জন সহকর্মীসহ ছবি লক্ষ করছি না। কলেজে বর্তমানে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রফেসর মো. শহীদ লতিফ, উপাধ্যক্ষ ড. মো. রবিউল ইসলাম এবং সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস দায়িত্ব পালন করছেন। নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এক ঐতিহ্যবাহী কলেজ। কলেজে অবকাঠামোগত কোনো স...

এক রাহেলা আপার গল্প

মানুষটি দরিদ্র কিন্তু মনটা বড়ো উদার এবং এটিই স্বাভাবিক। ইসলাম মানুষকে উদার করে। ধনী-দরিদ্র কোনো বৈষম্য ইসলাম স্বীকার করে না। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো তার তাকওয়া। এদিক দিয়ে রাহেলা আপা অনন্যা। নড়াইলের মাটিতে তিনি প্রথম দিকের ইসলামী আন্দোলনের কর্মী। আজ সকালে মাওলানা আশেক এলাহী ভাইয়ের বাসায় আপার সাথে কথা হলো। বয়স নব্বই ঊর্ধ্বে কিন্তু দীনের কাজে অত্যন্ত সক্রিয়। ১৯৭৪ সনে তিনি জামায়াতে যোগদান করেন এবং ১৯৮৯ সনে রুকন হয়েছেন। মহিলা অঙ্গনে রাহেলা আপা দ্বিতীয় রুকন। প্রথম রোকন হলেন হোসনে আরা জেসমিন (বুলু আপা)। রাহেলা আপার আট ছেলে-মেয়ে। পরিবারটি পুরোপুরি ইসলামী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাঁর ছেলে-ছেলেবৌ এবং মেয়ে ও মেয়ে-জামাই মিলে মোট এগারো জন রুকন। এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত। নড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে এই পরিবারটি এক প্রেরণা এবং পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার। বিশ বছর পরে নড়াইল এসে গতকাল আমার স্ত্রীসহ চারজন বুলু আপার নেতৃত্বে রাহেলা আপাকে দেখতে গিয়েছিলেন। তাদের এই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা কেবল আল্লাহরই জন্য। ১৯৮৯ সালের সেই দু'জন রুকন থেকে এখন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ শতাধিক। আলহামদু লিল...

কে বলে আমরা এক বিশ্বাসী জাতি?

মদ-জুয়া, চুরি-ডাকাতি, ঘুষ-দুর্নীতি, নগ্নতা- বেয়াহাপনার এক সয়লাব বয়ে চলেছে আমাদের এই প্রিয় দেশে। অথচ এই দেশের শতকরা নব্বই জন মুসলিম, আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী। এ সব অপকর্ম সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ এবং পরিণতি জাহান্নাম। সর্ষেকণা ঈমান রয়েছে এমন কারো পক্ষে এসব পাপাচারে জড়িত হওয়া সম্ভব নয়। দেশে এসব সর্বনাশা অপরাধ সংঘটন আমাদের ঈমানহীনতারই পরিচয় বহন করে। তওবা করে নিজেকে সংশোধন করে নেয়া ছাড়া নাজাতের কোনো পথ নেই। দেশের সাধারণ মানুষ বড়ো বড়ো অপকর্মের সাথে জড়িত নয়। সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট ও কাছের মানুষগুলোই এসব পাপাচারে লিপ্ত। জনস্বার্থ বিরোধী বা জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত হওয়া অনেক বড়ো অপরাধ এবং এর শাস্তিও ভয়াবহ। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘আপনার দৃষ্টিতে ভয়াবহ অপরাধ কোনটি?’ আমি বলবো, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভন্ডুল করে দেয়া ও জনগণের অধিকার হরণ করা। এতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ফাঁসি দিয়ে এ জঘন্য অপরাধের প্রায়শ্চিত্য সম্ভব নয়। প্রায়শ্চিত্য তখনই সম্ভব, যখন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা খালেছ দিলে তওবা করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। আল্লাহপাক নারী জাতির জন্য জান্নাতে যাওয়ার প...

একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রসুলুল্লাহ সা.

  (★ প্রবন্ধটি সিরাতুন্নবি সা. উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পঠিত।) মানুষে মানুষে ভেদাভেদ বা বৈষম্য সুদূর অতীত থেকে চলে এসেছে। এই বৈষম্য সংকীর্ণ জাতীয়তা ছাড়াও ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-লিঙ্গ নানাভাবে সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যের ফলে মানুষে মানুষে আশরাফ-আতরাফ (শ্রেষ্ঠ-নিকৃষ্ট) ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে। এই বৈষম্য স্রেফ জন্মগত যাতে স্রষ্টার ইচ্ছা ছাড়া মানুষের কোনো হাত নেই। এমন অবস্থায় মনে করা হয়, একজন ইংরেজ বা আমেরিকান বা আরব বা শ্বেতাঙ্গ অতএব সে শ্রেষ্ঠ পক্ষান্তরে একজন আফ্রিকান, উপজাতি বা কৃষ্ণাঙ্গ অতএব সে নিকৃষ্ট। জন্মের ভিত্তিতে উত্তম -অনুত্তম বৈষম্য না রেখে মহান আল্লাহপাক স্পষ্ট করেছেন, মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব হলো তার নৈতিক মান ও চরিত্রে। চরিত্রের দিক দিয়ে যে উত্তম সেই উত্তম। আমাদের স্রষ্টা ও মালিক মহান আল্লাহ মানুষের তৈরি সকল বৈষম্যের মূলোৎপাটন করে ঘোষণা করেছেন, সমগ্র মানবজাতি একই উৎস থেকে সৃষ্টি হয়েছে। দেশভিত্তিক জাতীয়তা বা ধর্ম -বর্ণ-ভাষা-লিঙ্গ সবকিছু মিলে একটিই পরিচিতি এবং সেটি হলো মানবজাতি। আল্লাহর বাণী, ‘হে মানবজাতি, আমি তোমাদের একজন পুরুষ এবং একজন নারী...

বিশ বছর পর নড়াইলের মাটিতে

সময়টা বেশ দীর্ঘ। নড়াইল শহরের অনেক পরিবর্তন। চিত্রা নদীর উপরে দুটি ব্রিজ, কালনা ব্রিজ এবং পদ্মাসেতু হওয়ায় নড়াইল ঢাকার খুব কাছাকাছি। ২০শে সেপ্টেম্বর নড়াইল এক্সপ্রেসে রূপগঞ্জে পৌঁছলে মাস্টার জাকির ভাই রিসিভ করে তাঁর বাসায় নেন। ঘরে স্ত্রী নেই (স্বল্প সময়ে স্ত্রী বিয়োগ ঘটেছে) তারপরও ছেলেমেয়েদের যত্নের কোনো ঘাটতি নেই। পরিবারটি পুরোপুরি ইসলামী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট। জাকির ভাইয়ের স্ত্রী জামায়াতের রুকন ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল খেদমত কবুল করে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা করুন এবং পরিবারের প্রতি রহম করুন। জুমার নামাজ আদায় করি নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। অনেক স্মৃতি। পুরাতন স্থাপনা ভেঙ্গে বর্তমান রূপ গ্রহণ করা যাদের হাত ধরে তন্মধ্যে অন্যতম সম্পাদক কাজী ইসমাইল হোসেন লিটন ভাই, যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাই এবং আমি ছিলাম অর্থ সম্পাদক। আমরা সবাই ছিলাম মসজিদ মিশনের সাথে সংশ্লিষ্ট। সেসময়ে মসজিদ পরিচালনার জন্য একটি গঠনতন্ত্রও প্রণয়ন করা হয়। কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মুফতি আশরাফ আলী মসজিদ মিশনের সভাপতি এবং আমি ছিলাম সম্পাদক। এই মসজিদ ছিল আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার কেন্দ্র। খতিব মহোদয়ের জুমা বক্তৃত...

ভুল মানুষেরই হয়

  ভুল করা মানুষের স্বভাব। মানুষের দ্বারা ভুল হবে না, এমনটি আল্লাহ বলেননি বা আল্লাহ তা আশা করেন না। বরং ভুল করার পর সে অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসবে- সেটিই আল্লাহ তায়ালার চাওয়া। কেউ তার আমল দ্বারা জান্নাতে যাবে না বরং আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ দ্বারা মানুষ জান্নাতে যাবে। আমাদের সমাজে লক্ষ করা যায়, কারো সাথে মতের একটু ভিন্নতা হলেই সে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে এবং সমালোচনা করতে গিয়ে অনেক সময় ইসলাম থেকেই খারিজ করে দিতে চায়। এসবই বাড়াবাড়ি ও গুনাহের কাজ। অনেক সময় ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বা বিশেষ কোনো স্কলারকে সমালোচনার টার্গেট করে অনেক বাজে কথাবার্তা বলা হয়। এসবই ঘৃণ্য আচরণ যা ইসলাম সমর্থিত নয়। যারা ইকামতে দীনের কাজে নিয়োজিত তারাও মানুষ এবং তাদের ভুল-ভ্রান্তি অস্বাভাবিক নয়। করণীয় হলো, তাদের সংশোধনের জন্য দরদের সাথে তাঁদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। মুসলিম উম্মাহ বড়ো সংকটকাল অতিক্রম করছে। এখন প্রয়োজন উম্মাহর ঐক্য, বিশেষ করে বিভিন্ন নামে যারা একামতে দীনের কাজে নিয়োজিত। এ জাতীয় লোকদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বড়ো সুসংবাদ, আল্লাহ তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন ও জান্নাতে দাখিল করাবেন (সুরা সফ)। আল্লাহর ক্ষমালাভে ধ...

আল্লাহর কাছে আমাদের চাওয়া

দুনিয়ার এ স্বল্পকালীন জীবনে লোভ-লালসা ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে আল্লাহপাক বড়ো দয়া করে আমাদেরকে তাঁর পথে চলার তৌফিক দান করেছেন। আমরা তাঁর বাছাইকৃত বান্দা। তাঁর অনুগ্রহ ছাড়া এ পথে টিকে থাকা সম্ভব নয়। সরল পথের নানা মঞ্জিলে শয়তান ওঁত পেতে বসে আছে। এজন্য প্রয়োজন সর্বদা আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় ও কাতরভাবে তাঁরই শেখানো ভাষায় দোয়া করা। 'হে আমাদের রব! তুমি যখন একবার আমাদের হেদায়াত দান করেছো, তখন আর আমাদের অন্তরকে বাঁকা করে দিয়ো না, আমাদের দান করো তোমার রহমত। নিশ্চয়ই তুমি মহান দাতা'- সুরা আলে ইমরান ০৮। দীন প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রামে তুমি আমাদের আমৃত্যু টিকে রেখো। আমাদের দ্বারা দীনের বিজয় দান করো। আমরা যেন কখনোই মুনাফিক সরদার আব্দুল্লাহ ইবনে উবায়েরের উত্তরসূরী না হয়ে পড়ি।

আল্লাহর দৃষ্টিতে মানুষের বিভাজন

  জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-লিঙ্গ ভিত্তিক পার্থক্য বড়ো কথা নয় এবং এর দ্বারা শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই সর্বোত্তম যে তাকওয়ায় অগ্রগামী। বিশ্বাসের ভিত্তিতে দুটি বিভাজন আল্লাহপাক নিজেই উল্লেখ করেছেন। এক. মুমিন দুই. কাফের। এদের কর্মতৎপরতাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আপনার। আপনি কোন পক্ষে যাবেন- ঈমানের পক্ষে না কুফরির পক্ষে এবং তৃতীয় কোনো পক্ষ আল্লাহ রাখেননি। যদি তৃতীয় কোনো পক্ষ আবিষ্কার করতে চান, সেটি পারেন এবং সেটি হবে নেফাকি (কুফরি ও নেফাকি দুটোর পরিণতি একই জাহান্নাম)। অর্থাৎ আমি আপনি কোন পক্ষের তা আমার আপনার কাছে স্পষ্ট না হলেও আল্লাহর কাছে তা স্পষ্ট। আল্লাহর বাণী - 'যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে আর যারা কুফরি করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। তোমরা শয়তানের সাথিদের বিরুদ্ধে লড়াই করো। আর বিশ্বাস করো, শয়তান -এর ষড়যন্ত্র আসলেই দুর্বল'- সুরা নেসা ৭৬। একজন ঈমানদার সার্বক্ষণিক মুজাহিদ। একটি মুহূর্ত সে স্থির থাকতে পারে না। জমিনে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত হোক- সে প্রচেষ্টায় মুমিন থাকে পাগলপ্রাণ। পক্ষান্তরে তাগুতকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ক...

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মব্যস্ততা

আমার বড়ো ছেলে প্রকৌশলী ড. মো. মাহমুদুর রহমান আমেরিকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ফোনে কথা বলে জিজ্ঞেস করলাম, এখন তুমি কোথায়? বললো, অফিসে। কতো বাজে? বললো রাত ন'টা। বললাম, বাসায় যাবে না? বললো, এখনই বের হবো। আবার বললাম, ক্লাস ছিল, কখন এসেছো? বললো, আজ ক্লাস ছিল না। ফজর পড়ে এসেছি। ডিপার্টমেন্টে কাজ ছিল। আমেরিকার জীবনটা এমনই। একজন শিক্ষকের সামগ্রিক কাজের মধ্যে ভাগ করা আছে ক্লাসে কতটুকু সময় দিতে হবে, ল্যাবে কতো সময় এবং ফান্ডিং-এর জন্য (শিক্ষার্থীদের গবেষণা) কতো সময় তা উল্লেখ করা আছে; সম্ভবত বেতন সেভাবেই নির্ধারণ করা হয়। সেখানকার ছাত্র- শিক্ষকের মৌলিক কাজ হলো জ্ঞানচর্চা। এজন্যই তারা বিশ্ব শাসন করছে। ইউরোপ-আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মূলে রয়েছে জ্ঞানের রাজ্যে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব। আমরাও চাই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনীতি চর্চা নয় জ্ঞান চর্চার তীর্থকেন্দ্র এবং হয়ে উঠুক দলমতের ঊর্ধ্বে সকলের সহাবস্থান। আল্লাহপাক ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের তৌফিক বর্তমান প্রজন্ম ও তাদের অভিভাবকদের দান করুন।

ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুর তাঁর রবের কাছে ফিরে গেলেন

তমুদ্দুন মজলিসের নেতা প্রিন্সিপ্যাল আবুল কাশেম ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের আমাদের স্যার অধ্যক্ষ মু. আব্দুস সাত্তার স্যারের বন্ধু অধ্যাপক আব্দুল গফুর আজ শুক্রবার জুমাবাদ পৌনে তিনটায় ৯৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। তিনি রাজবাড়ি জেলায় ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রয়ারি এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন। সে সময়ে বাংলা বিভাগে তাঁরা মাত্র তিনজন ছিলেন। তিনি ছাড়া নূরুল ইসলাম পাটোয়ারী ও মমতাজ বেগম। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তাঁর লেখাপড়া ব্যাহত হয় এবং ১৯৬২ সালে সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী ছিলেন। একাধারে শিক্ষক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ভাষাসৈনিক। ২০০৫ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত আবু জর গিফারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৮০-৮৯ পর্যন্ত তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা পরিচালক ছিলেন। আমরা এই গুণী শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও ভাষাসৈনিকের মাগফেরাত কামনা করি এবং শোক-সন্তপ্...

হিংসা ও বিদ্বেষমুক্ত সমাজ চাই

সমালোচনা সবসময় খারাপ নয়। সমালোচনা চলার পথে মানুষকে সতর্ক করে। সাধারণত যারা খুব নিন্দিত, ঘৃণিত মানুষ তাদেরই বেশি সমালোচনা করে এবং সেটি তাদের প্রাপ্য। আবার আদর্শিক কারণে যাকে পছন্দ করা হয় না তাঁরও সমালোচনা হয়। পৃথিবীর সর্বোত্তম মানুষটি সর্বাধিক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। মুহাম্মদ সা. ছিলেন মানবীয় সকল গুণাবলীতে ভূষিত। সততা, বিশ্বস্ততা, প্রতিশ্রুতি পালন, পরোপকারিতা সকল সৎ গুণাবলীর কারণে সমাজের মানুষ তাঁকে আল আমিন ও আস সাদিক ডাকতেন। সুদীর্ঘ চল্লিশটি বছর তিনি তাঁর সমাজে বসবাস করেছেন; কোনো অভিযোগ ছিল না কিন্তু যখনই মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান জানিয়েছেন তখনই বিরোধিতা শুরু হয়। তিনি যা নন তাঁকে তাই বলা হতো। আল্লাহপাক নিজেই তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছেন এই বলে, ‘আমি জানি, লোকেরা যা বলে তাতে তোমার বড়োই মনোকষ্ট হয় কিন্তু এই জালেমরা তোমাকে নয়, তারা আল্লাহর নিদর্শন মানতেই অস্বীকার করে’- সুরা আনয়াম ৩৩। সাংবাদিক নেতা স্বৈরাচারের আতঙ্ক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মরহুম রুহুল আমিন গাজীর জানাজা উপলক্ষে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টেল...

সকলের অংশগ্রহণমূলক সরকার চাই

এখন প্রয়োজন দেশের পুনর্গঠন। দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। দলাদলি নয়, দরকার সুদৃঢ় ঐক্য। আমিরে জামায়াত ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঐক্যের পক্ষে কথা বলছেন। ইতোপূর্বে তারেক জিয়া স্পষ্ট বলেছেন, আন্দোলনরত সকলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। জাতীয় সংসদে সকল দলের প্রতিনিধিত্ব চাই। এজন্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা কার্যকর করা হলে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় এবং জাতীয় সংসদ যোগ্যদের মিলনমেলায় পরিণত হবে। এর ফলে পেশিশক্তি ও অর্থের ছড়াছড়ি দূর হবে ইনশা-আল্লাহ। মোট কাস্টিং ভোটের আনুপাতিক হারে তখন সদস্য পদ লাভ করবে। আমাদের পার্লামেন্ট ৩০০ আসনের। কোনো দল ১% ভোট পেলে সংসদে তাদের আসন হবে ৩টা। দলের বাইরে স্বতন্ত্র দাঁড়াতে চাইলে ভোট পেতে হবে ০.৩৩%। ভোট বেশি পেলেও স্বতন্ত্রের জন্য আসন একটিই হবে। এখানে ভোট নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে প্রত্যেকে তার ভোটকে কাজে লাগাতে পারবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ একত্রে বা পৃথকভাবে দাঁড়াতে পারবে। কোনো দলের একটি আসনও না হলে সে দল আর রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত হবে না। ফল দলভাঙার প্রবণতা লোপ পাবে। এমন ব্যবস্থায় এক...

শিবির কেন গোপন ছিল?

দুর্ভাগ্য, এমন কথা কেহ বলে না, শিবিরকে কেন গোপন থাকতে হলো? একটু পেছন ফিরে দেখি। প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা. ছিলেন এক সম্ভ্রান্ত ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। দাদা আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন কাবা ঘরের মুতাওয়াল্লী এবং চাচা আবু তালেব ও আমির হামজা কম নয়। আর ব্যক্তি হিসেবে তিনি ছিলেন সবার সেরা। শৈশব থেকেই পরিচিতি লাভ করেন আল আমিন ও আস সাদিক হিসেবে। নবুয়ত লাভের পর মানুষকে দাওয়াত দিলেন কালিমা তাইয়েবার। না না তাঁর জীবনে কোনো একাত্তর ছিল না। ছিল না জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কোনো অভিযোগ। নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী। অথচ এই মানুষটি যখন কাবা চত্তরে নামাজ আদায় করছিলেন তখন উটের নাড়িভুড়ি তাঁর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিলাল রা. ইসলাম গ্রহণের পর প্রকাশ করতে পারেননি, গোপনেই ছিলেন। মনিব টের পেয়ে কী অত্যাচারটাই না করেছিল? তাই, শুধু তিনি নন, মুহাম্মদ সা.সহ সকল সাহাবি গোপনে ছিলেন এবং গোপন থাকতে বাধ্য করেছিল আবু জেহেল ও আব লাহাবরা। আজও রয়েছে আবু জেহেল ও আবু লাহাবের উত্তরসূরী। উমর রা. ইসলাম গ্রহণ করার পর জানতে চাইলেন, তোমাদের সংখ্যা কতো? বলা হলো চল্লিশ। সেদিন মিছিল করে এসে কাবা চত্তরে নামাজ আদায় করলেন। হ্যাঁ, শিবিরও ৫ই ...

জুমার খুতবা ০৪.১০.২০২৪

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম রসুলপ্রেম ঈমানের অপরিহার্য দাবি বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাইয়াফ শুরুতে আল্লাহপাকের হামদ ও রসুলুল্লাহ সা.-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করেন। খতিব মহোদয় কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, একজন মুমিন তার নিজের জান- মাল, পিতা-মাতা ও সবকিছু অপেক্ষা আল্লাহ, তাঁর রসুল ও তাঁর পথে জিহাদকে অগ্রাধিকার দিবে। এ প্রসঙ্গে কুরআনের বাণী, ‘হে নবি! বলে দাও, যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের আত্মীয় -স্বজন, তোমাদের উপার্জিত সম্পদ, যে ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দেয়ার ভয়ে তোমরা তটস্থ থাকো এবং তোমাদের যে বাসস্থানকে খুবই পছন্দ করো- এসব যদি আল্লাহ ও তাঁর রসুল এবং তাঁর পথে জিহাদ অপেক্ষা অধিক প্রিয় হয়, তাহলে আল্লাহর ফয়সালা তোমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করো। আল্লাহ ফাসেকদের কখনো হেদায়াত (সত্য পথের সন্ধান) দান করেন না’- সুরা তওবা ২৪। যেসব জিনিস মানুষের খুব প্রিয় এবং যার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত সেসব একে একে উল্লেখ করে আ...

দরসুল কুরআন সুরা আল হাজ ৪৮-৫১

ঈমানদারদের জন্য ক্ষমা ও উত্তম রিজিকের প্রতিশ্রুতি রয়েছে- ‘আরো কতো জনপদ! তারা ছিল দুরাচার, আমি প্রথমে তাদেরকে অবকাশ দিয়েছি, তারপর পাকড়াও করেছি। আর সবাইকে তো আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। হে মুহাম্মদ! বলে দাও, হে লোক সকল, আমি তোমাদের জন্য শুধুমাত্র একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী। কাজেই যারা ঈমান আনবে ও সৎ কাজ করবে তাদের জন্য রয়েছে মাগফেরাত ও সম্মানজনক জীবিকা। আর যারা আমার আয়াত ব্যর্থ করার চেষ্টা করবে তারা হবে জাহান্নামের অধিকারী’। শানে নজুল : বর্ণনাভঙ্গি ও বিষয়বস্তুর প্রেক্ষিতে বলা যায় সুরা হজের একটি অংশ মক্কার শেষ দিকে ও বাকি অংশ মদিনার শুরুতে নাজিল হয়। মদিনায় হিজরত করার পর হজের মওসূমে আল্লাহর ঘর জিয়ারতের আকাঙ্ক্ষা স্বাভাবিকভাবে মুসলমানদের অন্তরে জাগে। এই ঘরটি তৈরীই হয়েছিল আল্লাহর স্মরণের লক্ষ্যে, কিন্তু তা মুশরিকদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তাওহিদের পরিবর্তে সেটি শিরকের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এবং আল্লাহর ইবাদতকারীদের জন্য মসজিদে হারামের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই দুরাচারদের সেখান থেকে হটিয়ে কাবার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং একটি কল্যাণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মুসলমানদের প্রতি এই প্রথম যুদ্ধের অনুমতি প্রদান...

রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি ব্যক্তি ও দলেরও সংস্কার চাই

  রাষ্ট্রযন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি। দেশের প্রশাসন, বিচার, পুলিশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন কোনকিছু সুষ্ঠুভাবে চলছে না। তাই দাবি উঠেছে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের এবং সরকার ইতোমধ্যেই সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগে কমিশন গঠন করেছেন। রাজনীতিক দল ও সুশীল সমাজ এবং সরকার সবাই সংস্কারের পক্ষে। প্রশ্ন হচ্ছে ব্যক্তি ও দলের সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্রের সংস্কার পুরোপুরি সুফল দেবে কি? আমাদের ব্যক্তিচরিত্র কদর্যপূর্ণ। মিথ্যা-শঠতা- ধোঁকা-প্রতারণা-হিংসা-বিদ্বেষে আমরা পুরোপুরি নিমজ্জিত। সমাজে এতো দুর্নীতি ও গুম-খুনের অন্যতম কারণ আমাদের চরিত্রহীনতা। চরিত্রের উৎকর্ষতা আসে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ থেকে। সমাজে মানুষের জন্য যা অকল্যাণকর তা সকল ধর্মে নিষিদ্ধ। ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের মাঝে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসহীনতার কারণে সহজেই অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। আমরা যদি মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তিতে শিশু-কিশোর-যুবক সর্বস্তরের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারতাম তাহলে ব্যক্তিচরিত্রের সংস্কার সহজেই সম্ভব হতো। নৈত...

অনলাইন আলোচনা তারিখ : ১১.১০.২০২৪ আয়োজনে : বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা সোসাইটি

  সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের ভূমিকা বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম আল্লাহপাক এই বিশ্বজাহানের খালিক (স্রষ্টা), মালিক (শাসক), রব (ব্যবস্থাপক), হাকিম (বিচারক) এবং এভাবে তাঁর ৯৯টা সুন্দর নাম রয়েছে। এগুলো তাঁর সিফাত (গুণবাচক নাম) এবং এসব গুণের মধ্য দিয়ে আল্লাহপাক তাঁর ক্ষমতা ও গুণাবলী প্রকাশ করেছেন। সৃষ্টির সেরা হওয়ার সাথে মানুষ আল্লাহ তায়ালার খলিফা (প্রতিনিধি)। প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে আল্লাহপাক তাঁর গুণাবলীর এক সীমিত অংশ মানুষকে দান করেছেন যাতে মানুষ আব্দুল মালিক হয়ে সুশাসন এবং আব্দুল হাকিম হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এজন্যই বলা হয় আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও, আল্লাহর রঙে রঞ্জিত হও। আল্লাহ তায়ালার অগণিত সৃষ্টি রয়েছে এবং সবাই তাঁর তাসবিহ করছেন অর্থাৎ প্রশংসা করছেন। আল্লাহর এই সাম্রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর রয়েছে অগণিত ফেরেশ্তা এবং এই ফেরেশ্তাদের সংখ্যা তিনি ছাড়া আর কেহ জানেন না। ফেরেশ্তারা সর্বদা আল্লাহর প্রশংসায় নিয়োজিত। সকল সৃষ্টিই আল্লাহর গোলামী করছে। মানুষ ছাড়া আল্লাহর কোনো সৃষ্টির স্বাধীনতা নেই। স্বাধীন সত্তার অধিকারী হয়েও আল্ল...