Skip to main content

Posts

প্রসঙ্গ : জাতীয় সরকার

  সকলের অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সরকারের দাবি দিনদিন জোরালো হচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে বলেন, 'স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত সকল দলকে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করবো।' তাঁর বক্তব্যের ফলে জাতীয় সরকার ইস্যু আরো গতি লাভ করেছে। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার সাধন। ব্যক্তি না হয়ে দল, দলীয় আদর্শ ও প্রতীকে ভোট দিলে সংসদে সকলের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়। এক শতাংশ ভোট পেলেও সংসদে সেই দলের আসন দাঁড়াবে ০৩। সংসদ হবে যোগ্যদের এবং সেটি হবে প্রাণবন্ত এক সংসদ। জাতীয় সরকার হবে না জোট সরকার হবে সেটা নির্বাচনের পর বিবেচিত হবে। ব্যক্তি বা প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে দল বা প্রতীকে ভোট দিলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ কোনো দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। ৫০%-এর অধিক ভোট একক কোনো দলের নেই। এই ব্যবস্থাপনায় ভোট নষ্ট না হয়ে প্রতিটি ভোট মূল্য বহন করবে এবং পেশিশক্তি ও টাকার ছড়াছড়ি দূর হবে। পৃথিবীর অনেক দেশে আছে। আমি বেশ কিছুদিন এমন ব্যবস্থার কথা বলে আসছি।

ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি বনাম রাজনীতি নিরপেক্ষ ধর্ম- এই দুইয়ের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক আছে কি?

  ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির প্রবক্তরা বলেন, ধর্ম ব্যক্তিগত আচার-আচরণের সাথে সংশ্লিষ্ট। ধর্ম পবিত্র জিনিস। তাদের মতে, রাজনীতির মতো নোংরা মাঠে ধর্মকে নিয়ে আসা ঠিক নয়। এই ধারণায় বিশ্বাসীরা হাতে তসবিহ, মাথায় কালো হেজাব, নিয়মিত কুরআন পাঠে মগ্ন ও তাহাজ্জুদ গুজারও হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে রাজনীতির মাঠে এই অতি ধার্মিকরা এক একজন দানব। ভোট ডাকাতি, গুম-খুন, আয়নাঘরে এনে নজিরবিহীন জুলুম-নির্যাতন এবং রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচারে ওদের ধর্মে বাধা হয় না। বরং ওরা জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় আচার হিসেবে ঈদে মিলাদুন্নবি সা. ও শবেবরাত পালন করে থাকে। ওরা যে ভণ্ড ও প্রতারক, অজ্ঞ জনগণ তা বোঝে না এবং বুঝতে দেয়ও না। রাষ্ট্রের টাকা ব্যয় করে ওরা একদল দরবারি আলেম রাখে যেমনটি রেখেছিল নমরুদ আজরকে যে তার পুত্র নবি ইব্রাহিম আ.-এর দীন কবুল করতে পারেনি। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো নমরুদ, ফেরাউন, আবু জেহেল, আবু লাহাব ও তাদের উত্তরসূরিরা। এরা সকলেই নিজেদেরকে বড়ো ধার্মিক মনে করতো কিন্তু রাজনীতির অঙ্গনে ছিল ধর্মনিরপেক্ষ। বরং নবি-রসুলদেরকে অধার্মিক মনে করতো। এসব ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিকরা জান...

জুমার খুতবা ১৩.০৯.২০২৪

  ঈদে মিলাদুন্নবি সা. উপলক্ষে বিশেষ কোনো ইবাদত নেই বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাইয়াফ শুরুতে আল্লাহপাকের হামদ ও রসুলুল্লাহ সা.-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করেন। তিনি বলেন, এটি রবিউল আউয়াল মাস এবং এ মাসে আমাদের প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা. জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আগমন ছিল এক আলোকবর্তিকা যার ফলশ্রুতিতে পৃথিবী থেকে অন্ধকার দূরীভূত হয়েছে। আমরা সেই মহান নবি সা.-এর উম্মত হওয়ায় গর্বিত। তাই মহান রবের দরবারে শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদু লিল্লাহ। প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা.-এর জীবনাদর্শ আলোচনা করে কূল-কিনারা পাওয়া যাবে না। আমরা তাঁর জন্ম নিয়ে আজকে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ। মিলাদ শব্দের অর্থ জন্ম। মিলাদুন্নবি সা. অর্থ নবি সা.-এর জন্ম। রসুলুল্লাহ সা.-এর জন্মের সঠিক দিন তারিখ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। মোটামুটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, তাঁর জন্ম হস্তিবর্ষে। অর্থাৎ যে বছরে ইয়ামেনের শাসক আবরাহা বিশাল হস্তিবাহিনী নিয়ে কাবা ধ্বংস করতে এসেছিল সে বছরে তাঁর জন্ম। আবরাহা হস্তির পিঠে চড়ে সেই বাহ...

দাওয়াতে দীন ও সঙ্ঘবদ্ধ জীবন যাপন

  হে রসুল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যা কিছু নাজিল করা হয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি তুমি তা না করো তাহলে তুমি তাঁর রিসালাতের হক আদায় করলে না। মানুষের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কখনো কোনো কাফের জাতিকে পথ প্রদর্শন করেন না- সুরা মায়েদা ৬৭। অতঃপর রসুলুল্লাহ সা. নির্দেশ দিলেন, আমার পক্ষ থেকে মানুষের নিকট পৌঁছাতে থাকো, যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়। মুসলমান মাত্রই দায়ী ইলাল্লাহ। স্রেফ ঈমান ও নেক আমল মানুষকে ধ্বংস ও বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে না। এর সাথে অবশ্যম্ভাবী মানুষকে হকের দাওয়াত দিতে হবে ও ধৈর্য ধারণের উৎসাহ যোগাতে হবে। কথাগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা আসরে কসম খেয়ে বলেছেন। সাথে এটিও বলে রাখি, আমাকে-আপনাকে পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল হতে হবে। আংশিক দীন মানা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহর বাণী, তোমরা পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল হও। জীবনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার মতো সুযোগ ইসলামে রাখা হয়নি। আপনার ঘর, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থাৎ আপনার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনসহ সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে একনিষ্ঠভাবে মানতে হবে। যদি মানতে পারেন তাহলে আপনি মুসলিম অর্থাৎ অনুগত। সাথে সাথে...

ফিতনা-ফাসাদ (সন্ত্রাস) সৃষ্টি হত্যা অপেক্ষাও মারাত্মক অপরাধ।

  সমাজে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আইন নিজ হাতে তুলে নেয়, চাঁদাবাজি করে, জনজীবনে শান্তি বিনষ্ট করে ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে - তারা দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু। ওদের শক্তহাতে দমন করা দরকার। আল্লাহর ভাষায় ওদের শাস্তি হলো হত্যা করা বা নির্বাসনে দেয়া বা আরো বিকল্প রয়েছে, সেটা নির্ধারণ করবে আদালত। আদালতের দীর্ঘসূত্রিতা আইনের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে। দু'জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত দণ্ড দিতে পারে। মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর বিচারের নামে চলে প্রহসন। বিচারব্যবস্থার আশু সংস্কার দরকার। সম্প্রতি ঢাবিসহ বিভিন্ন জায়গায় আইন নিজ হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির কথাও শোনা যাচ্ছে। এখন চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। এরমধ্যেও যারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তারা জনদুশমন। ওদের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচিতি না দেখে আটক করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং সেই সাথে গণহত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আটক না করলে জনরোষ সামলানোও কঠিন হবে।

নড়াইলে মসজিদ মিশন পুনর্গঠন

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার বাদ আসর নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সম্মানিত খতিব মুফতি মাওলানা মো. ওয়াকিউজ্জামানের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মাহফুজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মুফতি মাওলানা মো. ওয়াকিউজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন নড়াইল মসজিদ মিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী। তিনি দীর্ঘ আট বছরের (১৯৯৬-২০০৪) তাঁর নড়াইলে অবস্থানের স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন, মসজিদ মিশন নড়াইল জেলা শাখা অতীতের মতো আবার দেশসেরা হবে ইনশা-আল্লাহ। মুক্ত পরিবেশে দীনের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন এবং ৫ই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করেন ও অসুস্থদের সুস্থতা কামনা করেন। প্রফেসর হিলালী বলেন, স্বৈরাচারী শাসনের ফলে দেশে ইসলামের নামে সকল কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছিল। এরই মাঝে আমাদের অনেক সহকর্মী দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেছেন। আবার অনেকেই মাজুর হয়ে পড়েছেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন : ১. মো. ওয়াকিউজ্জামান ০১৯২০-৬৯০৫০৫ ২. ম. শফিউর রহমান (শফিউল্লাহ) ০১৭৯৫-১৬০১০০ ৩. মো. ...

একজন জেলা আমির

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ অধ্যাপনার পাশাপাশি বাংলাদেশ মসজিদ মিশন নড়াইল জেলা শাখার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ধর্মপ্রাণ সকলের সাথে ছিল নিবিড় সম্পর্ক। তৎকালীন জেলা আমির মাওলানা নুরুন্নবী জিহাদীকে খুব নিকট থেকে জানি। এতবড় নির্লোভ ও মুখলেস লোক পাওয়া বিরল। সুদীর্ঘকাল জেলা আমির (১৯৯৩ সাল থেকে ১০ই জানুয়ারি ২০১৪ অসুস্থতার পূর্ব পর্যন্ত জেলা আমির এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে জেলা সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দেশে রাজনীতি যখন বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া তখন জামায়াতের একজন জেলা আমির টিকে থাকার সংগ্রাম সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। মাওলানা জিহাদী একজন স্কুল শিক্ষক এবং উঁচুস্তরের আলেম। রুটি-রুজির জন্য শিক্ষকতা এবং বাকি সময় আল্লাহর দীনের জন্য উৎসর্গ করেছেন। অতীতে কখনো তাঁর বাড়ি যাওয়া সম্ভব হয়নি। স্ট্রোক করে এখন তিনি চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। নড়াইল শহরে তাঁর বাড়িঘর নেই। গ্রামে বসবাস করেন। বাড়িতে না আছে কোনো বাউন্ডারি ওয়াল আর না আছে কোনো দালান ঘর কিন্তু আছে মনের প্রশান্তি ও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ। চেহারা আগেও যেমন দেখেছি এখনো তাই। একটা নূরানি ভাব চে...