বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ قُل لِّأَزْوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ
مِن جَلَٰبِيبِهِنَّ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰٓ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
হে নবি! তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মু’মিন নারীদের বলে দাও তারা যেন তাদের চাদরের প্রান্ত তাদের ওপর টেনে নেয়। এটি অধিকতর উপযোগী পদ্ধতি, যাতে তাদেরকে চেনা যায় এবং উত্যক্ত না করা হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।- সুরা আহযাব ৫৯।
পর্দা মেনে চলার কল্যাণকারিতা স্বয়ং আল্লাহপাক নিজেই এভাবে বর্ণনা করেছেন, যারা চাদরের একটি অংশ দিয়ে নিজেদের আড়াল করে (অর্থাৎ ঘোমটা দেয়) তাদেরকে চেনা যায় অর্থাৎ তারা সম্ভ্রান্ত, বনেদি ঘরের মেয়ে ও আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন। এমন অবস্থায় তাদেরকে উত্যক্ত করার মতো দুঃসাহস কেউ রাখে না। আজকাল পথেঘাটে, বাজারে, বাস-ট্রেনে নারীদের প্রায়ই উত্যক্ত করা হয়। উত্যক্ত করা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় হিসেবে আল্লাহ তায়ালা পর্দার বিধান দান করেছেন। পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য পর্দা মেনে চলা ফরজ।
আমাদের নানা দুর্বলতা রয়েছে। পর্দার এই আয়াতটি নাজিল হয় ৫ম হিজরি সনে। আগে যে দুর্বলতা ছিল সেজন্য আল্লাহ পাকড়াও করবেন না। তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ার্দ্র। বর্তমানে পর্দাহীনতার যেন মহোৎসব চলছে। পর্দা যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নামাজ-রোজার মতোই একটি ফরজ বিধান সে উপলব্ধি অনেক মুসলমানের মাঝে নেই। সতর ঢাকার গুরুত্বও হারিয়ে ফেলেছে। যার পরিণতিতে আজ দেশে ধর্ষণসহ নানাবিধ নারী নির্যাতনের কথা প্রায়ই আমর শুনে থাকি। তাই আসুন, আমরা সবাই পর্দা মেনে চলি ও নিরাপদ থাকি।
তওবা করে পর্দা মেনে চলা শুরু করলে আশা করা যায়, মহানুভব আল্লাহ তায়ালা আমাদের অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহপাক তাঁর বিধান মেনে চলার তৌফিক আমাদের দান করুন।
Comments
Post a Comment