আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি সা. বলেছেন, 'নারীরা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমজান মাসে সিয়াম পালন করে, নিজের লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে সে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে প্রবেশ করবে'- আল মুজামুল আওসাত হাদিস নং ৮৮০৫।
(এই হাদিসটি মাসিক পৃথিবী আগস্ট সংখ্যা ৯ পৃষ্ঠার দরসুল হাদিস হিসেবে ছাপানো হয়েছে।)
নারী-পুরুষ নিয়েই মানবসমাজ। আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈমান ও নেক আমলের বিনিময়ে উভয়কেই দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ দানের ওয়াদা রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাঁর কিতাবে নর ও নারীকে পরস্পরের বন্ধু ও সাথী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পুরুষ ও নারী উভয়ই দায়িত্বশীল এবং দায়িত্বের ব্যাপারে তাদের উভয়কেই জবাবদিহি করতে হবে। সংসারে পুরুষকে উপার্জন ও নারীর ভরণপোষণ এবং নারীকে গৃহের রাণী হিসেবে দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহপাক পুরুষকে নারীর উপর কর্তৃত্বশীল করেছেন।
রসুলুল্লাহ সা. নারীর সহজ জান্নাত প্রাপ্তির কিছু আমল বলে দিয়েছেন। আমলসমূহ নিম্নরূপ :
★ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। নারী হোক ও পুরুষ হোক মুসলমান হওয়ার জন্য সালাত প্রধান শর্ত।
★ রমজান মাসে রোজা পালন করা।
★ নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করা। কুরআন মজিদে নারী-পুরুষ উভয়কেই লজ্জাস্থান হেফাজতের কথা বলা হয়েছে। লজ্জা নিবারণের জন্য আমরা নারী- পুরুষ উভয়কেই ন্যূনতম সতর আবৃত করার কথা বলতে পারি। পুরুষের সতর নাভি থেকে হাঁটুর নিচ এবং নারীর সতর মুখমণ্ডল এবং হাতের কব্জি ও পায়ের পাতা বাদে সারা শরীর আবৃত করে রাখা। নামাজ- রোজার মতই সতর আবৃত করে রাখা ফরজ। মুসলমান দাবিদার কারো পক্ষে বেপর্দা চলাফেরা এবং ফেসবুকে মাথা খোলা রেখে ছবি পোস্ট স্বাভাবিক নয়। হাদিসের বর্ণনানুসারে পর্দাহীন চলাফেরার কারণে অনেক নারী ও তার অভিভাবক জাহান্নামে যাবে।
★ স্বামীর আনুগত্য করা। নামাজ-রোজার মতোই স্বামীর আনুগত্যও ফরজ। আল্লাহ ও তাঁর রসুল সা.- এর আদেশের বিপরীত না হলে স্বামীর আনুগত্য বা তাকে সন্তুষ্ট করে চলা স্ত্রীর জন্য ফরজ যেমন মায়ের আদেশ মেনে চলা সন্তানের জন্য ফরজ।
চারটি হুকুম মান্যকারী নারীর জন্য রসুলুল্লাহ সা. জান্নাতের গ্যারান্টি হয়েছেন। আমরা আশা করি, আমাদের মা ও বোনেরা রসুলুল্লাহ সা.-এর ঘোষিত নির্দেশসমূহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে জান্নাতের অধিকার লাভ করে ধন্য হবে।
Comments
Post a Comment