গণপরিবহনে উঠলে তাই মনে হয়। কিছুদিন আগেও ঢাকা শহরে সিটিং বাস সার্ভিস ছিল। একটু স্বস্তির সাথে যাতায়াত করা যেত। মাঝে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সাথে একটা সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার নিজেই সিটিং সার্ভিস বা গেটলক উঠিয়ে দেয়। বর্তমানে বাস মালিকরা বাসের সংখ্যা কমিয়ে দিয়ে বাসে যতো সিট তার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে থাকে। তাদের একই কথা পেছনে ফাঁকা আপনারা পেছনে যান। মনে হয় যেন ছাগল-গরুর ট্রাক।
উচ্চবিত্তদের নিজস্ব গাড়ি আছে তাদের চলাচলে কোনো সমস্যা নেই। উচ্চবিত্তদের একটা বড় অংশ লুটেরাদের দলভুক্ত। বাজারে মূল্যবৃদ্ধি বা গণপরিবহনে যাতায়াত নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। হ্যাঁ আছে, রোডে বাসের সংখ্যা বাড়লে জ্যাম বাড়বে এবং তাতে তাদের সময়ের অপচয় হবে। কিন্তু আমরা যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। বাজারে গেলে আমরা ক্ষুব্ধ হই এবং আরো ক্ষুব্ধ হই যখন বাসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভীড় ঠেলে উঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মনে হয়, আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য এ সরকার নয়, এ সরকার দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের।
বাসের ভাড়া বাড়িয়ে হলেও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য সিটিং সার্ভিস বা গেটলক বাস সার্ভিস চাই। মিরপুর থেকে আমরা ট্রান্সসিলভা, বাহন, দিশারী নানা ধরনের সিটিং সার্ভিসে স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করেছি। আমরা আবার সেই সুবিধা ফেরত পেতে চাই।
Comments
Post a Comment