বান্দার প্রতি আল্লাহর কতো দয়া, কতো অনুগ্রহ। বান্দার অপরাধ মাফ করেই যেন তাঁর যতো আনন্দ। আরাফার দিনের রোজা বিগত ও অগ্রিম দুই বছরের গুনাহ মাফ। লাইলাতুল কদরের রাত্রি জাগরণ যেন তার সমগ্র জীবনের গুনাহ মাফ। শুধু কি তাই? প্রতি রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহপাক নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে জানতে চান, বান্দা তাঁর কাছে কী চায়? এবং তিনি তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
বান্দাকে দেয়ার মধ্যেই তাঁর আনন্দ। তাঁর ভাণ্ডার অফুরন্ত, বান্দাকে দিয়ে শেষ করা যায় না, আর তিনি দাতাও। কার্পণ্য কখনোই তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না। মানুষ যা পায় সবই আল্লাহর অনুগ্রহ। মানুষের জান্নাত প্রাপ্তি একান্তভাবে আল্লাহর মর্জি। রসুলুল্লাহ সা. নিজে বলেছেন, মানুষ তার আমলের বিনিময়ে জান্নাতে যাবে না। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রসুলুল্লাহ সা.! আপনি নিজেও। জবাবে বলেছেন, হ্যাঁ। আমলের বিনিময়ে হলে বান্দার মধ্যে অহমিকা দেখা দেবে। বিনয় ও নম্রতা বান্দার বড় গুণ। বিনয় ও নম্রতা যার মধ্যে রয়েছে সেই সফলকাম।
পক্ষান্তরে আল্লাহ তাঁর অনুগত ও বিনয়ী বান্দার আমলগুলোকে অনেক বড় করে দেখাবেন। আসলের চেয়ে বোনাস অনেক বেশি। আমলের বিনিময়ে সমপরিমাণ নয় দশ থেকে সাতশ গুণ বাড়িয়ে দেবেন। আবার গুনাহ মাফ। হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম ঘোষিত দিনক্ষণ রয়েছে এবং সবই রয়েছে তাঁর অনুগত বান্দাদের জন্য।
আসুন, আমরা আল্লাহর ক্ষমাপ্রার্থী ও বিনয়ী বান্দা হই। আশা করি আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করবেন ও তাঁর জান্নাতে একটু জায়গা করে দেবেন।
Comments
Post a Comment