Skip to main content

দ্বায়ী ইলাল্লাহর কোনো শত্রু নেই

প্রশ্ন উঠতে পারে, আল্লাহপাকের অগণিত নবী-রসূল ও তাঁদের সঙ্গী-সাথী এবং পরবর্তীকালে ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও উলামায়ে কেরামের ওপর সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন কি এ কথার যথার্থতা প্রমাণ করে? আমাদের প্রিয়তম নবী ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের ওপরও কি কম নির্যাতন হয়েছে? সবই সত্য। কিন্তু আমি বলতে চাই, এতো হত্যা, জেল-জুলুম, নিপীড়ন-নির্যাতন কোনো কিছুই তাঁদের ব্যক্তিগত কারণে নয়। মুহাম্মদ (সা) তাঁর পুরো যৌবনকাল (সুদীর্ঘ ৪০টি বছর) তাঁর সমাজে বসবাস করেছেন, কখনো তিনি বিরোধীতার সম্মুখীন হননি। বরং জাতির কাছে সর্বদা সমাদর পেয়েছেন, তিনি ছিলেন তাদের মাথার মুকুট। কিন্তু যেদিনই তিনি মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান জানান সেদিনই তিনি জাতির শত্রুতে পরিণত হন। তাতে বোঝা যায়, আরবের কাফির-মুশরিকদের শত্রুতা ব্যক্তি মুহাম্মদ (সা)-এর সাথে নয়, বরং তাদের শত্রুতা মুহাম্মদ (সা)-এর রব মহান আল্লাহর সাথে। আরবের কাফিরদের শত্রুতা ছিল আল্লাহর দ্বীনের সাথে। দ্বীনের প্রচার থেকে মুহাম্মদ (সা)-কে বিরত রাখার জন্য তাঁকে নানাবিধ প্রলোভন দেয়া হয়েছে, আবার কখনো ছাড় দিয়ে কিছু গ্রহণ-বর্জনের কথা বলা হয়েছে; ব্যর্থ হওয়ার পর মুহাম্মদ (সা) ও তাঁর সাথীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে। মুহাম্মদ (সা) আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত এবং তাঁর দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে কাফিরদের সকল প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন (সূরা লাহাব)। কুরআনের প্রতি ছিল কাফিরদের প্রচন্ড বিদ্বেষ। কুরআন শোনার ক্ষেত্রে তারা নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে যা বর্তমানও অব্যাহত রয়েছে। কাফিরদের এই ঘৃণ্য আচরণের কারণে আল্লাহ তাদেরকে নিজের দুশমন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন- ‘এসব কাফেররা বলে, এ কুরআন তোমরা কখনো শুনবে না। আর যখন তা শুনানো হয় তখন হট্টগোল বাধিয়ে দেবে। হয়তো এভাবে তোমরা বিজয়ী হবে। আমি এসব কাফেরদের কঠিন শাস্তির মজা চাখাবো এবং যে জঘন্য তৎপরতা তারা চালিয়ে যাচ্ছে তার পুরো বদলা তাদের দেবো। প্রতিদানে আল্লাহর দুশমনরা যা লাভ করবে তা হচ্ছে দোযখ। সেখানেই হবে তাদের চিরদিনের বাসস্থান। তারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করতো। এটা তাদের সেই অপরাধের শাস্তি’- হা-মীম আস্-সাজদা ২৬-২৮। মক্কার কাফিররা রসূল (সা)-এর দাওয়াতে নিজেদের জন্য বিপদ অনুভব করে। তারা মনে করতো মুহাম্মদ (সা)-এর দাওয়াতের ফলে সমাজে তাদের কর্তৃত্ব ও শোষণের সমাপ্তি ঘটবে এবং মুহাম্মদ (সা)-এর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। নবী-রসূলদের সাথে সমসাময়িককালের স্বৈরশাসকদের বিরোধের মূল কারণ ছিল রাজনীতিক। কালিমা তাইয়্যেবাহ স্রেফ কোনো ধর্মীয় বাণী নয়, এটি ছিল সমাজ পরিবর্তনের এক বিপ্লবাত্মক ঘোষণা। এর আঘাতে স্বৈরশাসক ও তার তাবেদারদের হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল। এ বাণী আল্লাহর এবং দ্বীনের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার কাজও আল্লাহর। আল্লাহর খলিফা হিসেবে সবার সেটিই দায়িত্ব। দুর্ভাগ্য, মানুষ যে আল্লাহর খলিফা সে উপলব্ধি ভুলে গিয়ে সে হয়েছে শয়তানের অনুসারী। শয়তানের মোকাবেলায় যারা আল্লাহর দ্বীনের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে তারা হলো ‘আল্লাহর সাহায্যকারী’ এবং আল্লাহ হলেন তাদের অভিভাবক। যারা আল্লাহর দ্বীনের দ্বায়ী তারা যেমন আল্লাহর সাহায্যকারী ও বন্ধু, তেমনি যারা এর বিরোধী তারা তাঁর শত্রু। এ দুনিয়াটি কর্মক্ষেত্র, ফল ভোগের জায়গা আখিরাত। শাস্তি ও পুরস্কার দুনিয়ায় কিছুটা দেখালেও এটি খুবই গৌন। আসল শাস্তি ও পুরস্কার হলো আখিরাতে। আল্লাহর প্রকাশ্য ঘোষণা, যারা তাঁর পথে প্রচেষ্টাকারী (অর্থাৎ সাহায্যকারী) তাদের সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে জান্নাতে দাখিল করানো হবে (সূরা সফ ১২)। পক্ষান্তরে যারা তাঁর পথে চেষ্টাকারীদের ওপর যুলুম-নির্যাতন করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি (সূরা বুরুজ ১০)। ঈমান ও কুফর সম্পূর্ণ বিপরিত। ঈমানদার অর্থই হলো আল্লাহর পথে প্রচেষ্টাকারী, পক্ষান্তরে কাফির হলো তাগুতের (আল্লাহদ্রোহী) পথে প্রচেষ্টাকারী। শয়তান ও তার চেলা-চামুন্ডাদের সাথে লড়াই করার জন্য আল্লাহপাক ঈমানদারদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং বলে দিয়েছেন শয়তানের ষড়যন্ত্র একান্তই দুর্বল (সূরা নেসা ৭৬)। মাঝামাঝি কোনো পথ আল্লাহ রাখেননি। ঈমান ও কুফরের লড়াইকে তামাশা মনে করে যারা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে চায় তাদের ঈমান মূলত সন্দেহপূর্ণ। হক ও বাতিলের দ্বন্দ্ব-সংগ্রামে হকের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে প্রচেষ্টা চালানো ঈমানেরই দাবী এবং নানা কারণে সম্ভব না হলে সমর্থন, ভালোবাসা ও হকের বিজয় কামনা মু’মিনের জন্য অবশ্যম্ভাবী। জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর সূচনা হয় মানুষকে দ্বীনের পথে ডাকার মধ্য দিয়ে এবং এ কাজটি আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়। আল্লাহর বাণী, ‘তার চেয়ে ভালো কথা আর কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে ও নিজে নেক আমল করে এবং বলে যে, আমি একজন মুসলমান’- হা-মীম আস্-সাজদা ৩৩। মক্কার সেই কঠিন পরিস্থিতিতে সাহস নিয়ে এ কথা বলা (আমি একজন মুসলমান) অতো সহজ ছিল না। আমরা লক্ষ্য করি, ঈমান পোষণের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে নেক আমল করা তেমন কঠিন নয়, কিন্তু দ্বীনের দ্বায়ী হিসেবে মানুষকে ডাকা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, যেটা ঘটেছিল নবী মুহাম্মদ (সা) ও তাঁর সাথীদের জীবনে। নানাভাবে তাঁকে উত্যক্ত করা হয়েছে। রসূল (সা)-এর নেতৃত্বে দ্বীন কায়েমের যে মিশন তা ছিল একান্তভাবে আল্লাহ দ্বারা গাইডেড এবং আল্লাহ নিজে তাঁর নবী (সা)-কে করণীয় বলে দিয়েছেন। তাঁর বাণী, ‘হে নবী! ভালো ও মন্দ কখনো এক নয়। তুমি মন্দকে দূর করো সেই ভালো দ্বারা যা অতীব উত্তম। তাহলে দেখবে তোমার জানের দুশমনরা প্রাণের বন্ধু হয়ে গেছে। এ গুণ কেবল তারাই লাভ করতে পারে যারা অতীব ধৈর্যশীল এবং অতি ভাগ্যবান ছাড়া এ মর্যাদা কেউ লাভ করতে পারে না। যদি তোমরা শয়তানের পক্ষ থেকে কোনো প্ররোচনা অনুভব করো তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো। তিনি সবকিছু শোনেন ও জানেন’- হা-মীম আস্-সাজদা ৩৪-৩৬। ব্যক্তিগত শত্রুদের সাথে এমন আচরণ লক্ষণীয় নয়। আমরা লক্ষ্য করি, মানুষ হয় প্রতিশোধপরায়ণ। সেখানে ক্ষমা করাকে দুর্বলতা মনে করা হয়, আর এখানে শুধু ক্ষমা নয় তার সাথে উত্তম আচরণ করার কথা বলা হয়েছে। এটা তাদের পক্ষেই সম্ভব যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাকে তাদের সকল কর্মতপরতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে সক্ষম হয়। একজন দ্বায়ীর যে কোনো শত্রু নেই, সে সবার কল্যাণকামী, এমন কি তার হন্তারও, সেটি উপলব্ধি করা যায় সূরা ইয়াসিনের দ্বিতীয় রুকুতে একটি কাহিনীর উল্লেখ থেকে। একটি জনপদে দু’জন রসূলকে প্রেরণ করা হয় এবং পরবর্তীতে তাঁদের সাহায্যার্থে আরো একজনকে রসূল হিসেবে পাঠানো হয়। দীর্ঘ চেষ্টা-প্রচেষ্টায় মাত্র একজন লোক ঈমান এনে মুসলমান হন। ঈমান আনার পর সে তার জাতির কাছে ছুটে আসে ও দ্বীনের দাওয়াত পেশ করে। দাওয়াত কবুল না করে সবাই মিলে তাকে হত্যা করে। সে সময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়- যাও, জান্নাতে প্রবেশ করো। জবাবে সে বলে, হায়! আমার জাতির লোকেরা যদি বুঝতো কিসের বিনিময়ে আমার রব আমাকে ক্ষমা করলেন এবং সম্মানিত লোকদের মধ্যে গণ্য করলেন (সূরা ইয়াসিন ২৬-২৭)। কতো উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সেই মুসলিম ভাইটি যিনি জাতির জন্য কোনো বদ দুআ নয়, অকল্যাণ কামনাও নয় বরং তার আফসোস, তার জাতি দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদের অভিভাবক। আল্লাহর যারা সাহায্যকারী (ঈমানদাররা) দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সাহায্য করাটা তিনি নিজের জন্য কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন এবং তাদের জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। তাঁর বাণী- ‘যারা ঘোষণা করেছে, আল্লাহ আমাদের রব, অত:পর তার ওপরে দৃঢ় ও স্থির থেকেছে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশ্তা আসে এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও, তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখেরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাবে তাই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাঙ্ক্ষা করবে তাই লাভ করবে। এটা সেই মহান সত্তার পক্ষ থেকে মেহমানদারীর আয়োজন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান’- সূরা হা-মীম আস সাজদাহ ৩০-৩২। কুরআনের বর্ণনা থেকে উপলব্ধি করা যায়, আল্লাহর দুশমনদের বিষয়টি একান্তভাবে তাঁর ওপর ছেড়ে দিয়ে যারা দ্বায়ী ইলাল্লাহ (ঈমানদার জনগোষ্ঠী) তাদেরকে ইতিবাচক কাজ করার তাগিদই আল্লাহপাক দিয়েছেন। সব সময়ই যে এমনটি হতে হবে তা অবশ্য নয়। মু’মিনদের শত্রু তারাই যারা আল্লাহর শত্রু। আল্লাহপাক কখনো নিজে তাঁর দুশমনদের পাকড়াও করেছেন, আবার কখনো ঈমানদারদের দ্বারা শায়েস্তা করেছেন। শত্রুর মোকাবেলায় সব সময় প্রস্তুত থাকা, গিরায় গিরায় আঘাত হানা, যুদ্ধের ময়দানে দৃঢ় থাকা এবং যেখানে পাও সেখানেই হত্যা করো-এমন কথাও আল্লাহ তাঁর মু’মিন বান্দাদের বলেছেন। শত্রুর আঘাতে পাল্টা আঘাত এবং অন্যায়ের প্রতিবিধান সম পরিমাণ অন্যায় সবই ঠিক আছে। সাথে সাথে এ কথাও বলেছেন, কেউ যদি ক্ষমা করে দেয় ও সংশোধন করে নেয় তার পুরস্কার আল্লাহর জিম্মায়। আল্লাহর রসূল (সা) ব্যক্তিগত ব্যাপারে কখনই প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি, আবার আল্লাহর হকের ব্যাপারে কখনই ছাড় দেননি। এখানে আমি স্পষ্ট করতে চাই একজন দ্বায়ী ইলাল্লাহর (মু’মিন মাত্রই দ্বায়ী ইলাল্লাহ) ব্যক্তিগত কোনো শত্রু নেই। আল্লাহপাক কুরআন মজিদে মু’মিনের যে চিত্র অঙ্কন করেছেন তাতে বোঝা যায় মু’মিন শত্রু-মিত্র সবার কল্যাণকামী এবং একজন সৎ ও চরিত্রবান ব্যক্তি। আল্লাহর নাফরবানি হয় এমন কোনো কাজের সাথে সে সংশ্লিষ্ট নয়। মানুষ তার দ্বারা শুধুই উপকৃত হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে অনেক উক্তি রয়েছে। তন্মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি হাদিস উল্লেখ করা যায়- ‘ঐ ব্যক্তি মু’মিন নয়, মু’মিন নয়, মু’মিন নয় যার হাত ও মুখের অনিষ্ট থেকে অন্যরা নিরাপদ নয়’। মু’মিন ক্ষমা করার মধ্য দিয়ে তার রবের ক্ষমা আশা করে। রসূল (সা)-এর উক্তি, ‘যে তার ভাইকে ক্ষমা করে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাকে ক্ষমা করবেন’। আমরা একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝাতে পারি। মনে করুন, এক চাকর আপনার বাগান পাহারা দিচ্ছে। কিছু বখাটে যুবক জোরপূর্বক বাগান থেকে আম পাড়তে চাইলে চাকরটি বাধা প্রদান করে। তাতে সে বেশ মার খায়। তার নিজের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই। সে বাগানের মালিককে (আপনাকে) জানিয়ে দিয়ে নিজে স্বস্তি অনুভব করে। আপনি তো তাকে এ কথাই বলবেন, তুই আমার কাজ করতে গিয়ে মার খেয়েছিস, সে মার তো তোকে নয়, আমাকেই মারা হয়েছে, আমি তার বদলা নেব। দ্বায়ী ইলাল্লাহ আল্লাহর পক্ষে কাজ করেন (তার নিজের কোনো বিষয় নয়) এবং এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার সাথে আল্লাহর দুশমনরা যে পীড়াদায়ক আচরণ করে সেটি তো আল্লাহর কাছে পেশ করে মু’মিন নিজেকে ঝামেলামুক্ত মনে করতে পারে। আল্লাহর তখন দায়িত্ব হয়ে যায় তাঁর শত্রুদের বিরুদ্ধে বদলা গ্রহণের ও তাঁর মু’মিন বান্দাকে পুরস্কৃত করার। সংগঠনের দায়িত্বশীলরাও আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন। সংগঠনকে অবহিত করেও সে নিজের মধ্যে স্বস্তি অনুভব করতে পারে। লোভ-লালসা, ভয়-ভীতি, বিপদ, বিদ্বেষ সবকিছু উপেক্ষা করে একনিষ্ঠভাবে নিজেকে আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়ে একজন দ্বায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে আল্লাহর বান্দাদের কাছে দরদ দিয়ে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার যোগ্যতা ও সুযোগ আল্লাহপাক আমাদেরকে দান করুন। আমিন। ২০.০৮.২০২০

Comments

  1. তাদের শত্রুতা ছিল আল্লাহর দ্বীনের সাথে..

    ReplyDelete

Post a Comment