Skip to main content

এবারের কুরবানি

আল্লাহর রাহে যথাসর্বস্য বিলিয়ে দেয়ার প্রতীক হলো কুরবানি। করোনার কারণে সারা বিশ্বে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মানুষ আর্থিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে গেছে। ফলে পশু কুরবানি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ঈদের দিন নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিককে কুরবানি দেয়া একটি ওয়াজিব ইবাদত। কুরবানির কোনো বিকল্প নেই। কুরবানির অর্থ দুস্থদের মাঝে দান করে দিলে কুরবানি আদায় হবে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকে কুরবানির বিকল্প হিসেবে ঐ অর্থ দুস্থদের মাঝে বিলি করে দেয়ার কথা বলেন। এমন কথাবার্তা ইসলাম বিদ্বেষীদের মুখ থেকেই বেরিয়ে আসে। কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষ এমন কথা ভাবতেই পারে না। ইসলামের দু’টি পর্বের সাথে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেরও যোগসাজস রয়েছে। দেশে কেনাকাটা বাড়ে এবং অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হয়। কুরবানির চাহিদা মেটানোর জন্য দেশে গড়ে ওঠেছে অনেক খামার। সাধারণত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি এই পেশার সাথে জড়িত আছেন। অগণিত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। নেতিবাচক প্রচারণার কারণে খামারের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কুরবানির গোশত কুরবানিদাতার সাথে গরীব-মিসকিনদেরও হক রয়েছে। এমন অনেকে আছেন, এই বিশেষ দিন ছাড়া যাদের গোশত খাওয়ার সুযোগ কমই হয়ে থাকে। সাধারণত আমাদের সমাজে কুরবানির গোশত তিনভাগ করে একভাগ কুরবানিদাতা, একভাগ হাদিয়া হিসেবে আত্মীয়-স্বজন ও একভাগ গরীব-মিসকিনের মধ্যে বন্টন করা হয়। উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে, করোনা পরিস্থিতির কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের মাঝে অগ্রাধিকারভিত্তিতে গোশত বন্টন করা। যারা পূর্ব থেকে নিয়মিত কুরবানি দিয়ে আসছেন এবারে করোনার কারণে আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলে তাদের পক্ষে কুরবানি দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। নামায বাদে সকল ইবাদতের ক্ষেত্রে সামর্থের বিষয়টি জড়িয়ে আছে। রোযার ব্যাপারে অতি বৃদ্ধ বা চিররুগ্নদের ফিদিয়া দেয়ার সুযোগ আছে এবং যাকাত, হজ্জ ও কুরবানি কেবল ধনীদের জন্য। করোনার কারণে শহর এলাকায় পশুক্রয়, গোশত তৈরী ও বিলি-বন্টনে কেউ ঝামেলা বোধ করলে নিজের আত্মীয়-স্বজন বা সংস্থার মাধ্যমে সহজেই কুরবানি দেয়া যেতে পারে। টাকাটা দিয়ে বলে দিতে হবে তার পক্ষ থেকে কুরবানি দিয়ে দিতে। আল্লাহপাক আমাদেরকে করোনা থেকে হেফাজত এবং তাঁর কাছে পূর্ণভাবে প্রত্যাবর্তনের তাওফিক দান করুন। আমিন। ১১.০৭.২০২০

Comments