Skip to main content

কুরবানির বিধান

নিজের ও পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশুই যথেষ্ট কুরবানি একটি ওয়াজিব ইবাদত। আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে স্বতস্ফুর্তভাবে আমাদের কুরবানি করা উচিত। লৌকিকতা, প্রদর্শনী বা গোশত খাওয়া যেন উদ্দেশ্য না হয়। আল্লাহর হুকুমের কাছে পূর্ণ আত্মসমর্পনের নিদর্শন হলো কুরবানি যা পিতা ইব্রাহিম (আ) দেখিয়ে গিয়েছেন। আমরা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের জনে জনে কুরবানি করে থাকি। প্রয়োজন নেই। একটি পরিবারের জন্য একটি পশুই যথেষ্ট। রসূলুল্লাহ (সা) মদীনায় থাকা অবস্থায় সাধারণত দু’টি দুম্বা কুরবানি করতেন। একটি তাঁর ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এবং অপরটি উম্মতের পক্ষ থেকে। মৃত ও জীবিত সব উম্মত তাতে শামিল রয়েছে। মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকাবস্থায় অসিয়ত করে গেলে ওয়ারিসদের অসিয়ত পূরণ করা কর্তব্য। তা না হলে আলাদা কুরবানির প্রয়োজন নেই। নিজের পক্ষ থেকে দেয়ার পর চাইলে মৃত ব্যক্তির পক্ষে দেয়া যায়। এ ছাড়া ছওয়াবে শরীক করে নেয়া যায়। জবেহকারী যদি বলে আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে; তাহলে মৃত ও জীবিত সবাই শামিল হয়ে যায়। মা আয়িশা (রা) বলেন, রসূলুল্লাহ (সা) একটি শিংওয়ালা সুন্দর সাদা-কালো দুম্বা আনতে বললেন, অতঃপর দু’আ পড়লেন-- ‘আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ ও তার পরিবার-পরিজন এবং তার উম্মতের পক্ষ থেকে কবুল করে নিন’। এরপর উক্ত দুম্বা দ্বারা কুরবানি করলেন। (সহীহ মুসলিম ১৯৬৭) বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে রসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘হে জনগণ! নিশ্চয়ই প্রত্যেক পরিবারের উপরে প্রতি বছর একটি করে কুরবানি’। (তিরমিযী, আবু দাউদ) রসূলুল্লাহ (সা) মদীনায় মুকিম অবস্থায় নিজ পরিবার ও উম্মতের পক্ষ থেকে দু’টি করে খাসি এবং হজ্জের সফরে মিনায় গরু ও উট কুরবানি করেছেন। (বুখারি ও আবু দাউদ) সাহাবায়ে কেরামের (রা) আমলও তাই ছিল। তাঁরা নিজ পরিবারর পক্ষ থেকে একটি ছাগল বা দুম্বা যথেষ্ট মনে করতেন। উট ও গরু একটি পরিবার বা সর্বোচ্চ ৭টি পরিবার মিলে কুরবানি করা যাবে। অর্থাৎ ভাগে কুরবানি জায়েজ। ১৫.০৭.২০২০ বি.দ্র. : আমার কোনো ফতোয়া নয়। কুরআন, হাদিস ও বই-পুস্তক পড়ে মানুষকে অবহিত করি মাত্র। মাসালা ব্যাপারে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে। মতপার্থক্য যেখানে রয়েছে সেখানে যে কোনো একটি গ্রহণের এখতিয়ার রয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি সহজটাকে গ্রহণ করতে চাই। নিজে হানাফী হলেও চার মাযহাব ও আহলে হাদিস সবাইকে সত্যাশ্রয়ী মনে করি।

Comments