নড়াইল সরকারি কলেজে বদলী হওয়ার পর আমার জীবনে লেখালেখি শুরু। কুষ্টিয়ায় মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি থাকাকালীন আমার সম্পাদনায় প্রথম একটি বই প্রকাশিত হয় এবং নড়াইলে তিনটি ও যশোরে একটি প্রকাশিত হয়। সংগঠন মানুষকে যোগ্য করে তুলে। মসজিদ মিশনে দায়িত্ব পালনের ফলেই আমার এ সুযোগ হয়েছিল বলে আমি মনে করি। যে সব সঙ্গী-সাথীকে নিয়ে আমি দায়িত্ব পালন করেছি তার মধ্যে অধ্যক্ষ মু. আব্দুস সাত্তার, অধ্যক্ষ আ ফ ম নাজমুস সালেহীন, এড. সা’দ আহমদ, প্রফেসর আ ব ম মখলেছুর রহমান, প্রফেসর মো. সাইফুল ইসলাম, কাজী জুলফিকার হায়দার, অধ্যাপক ইউসুফ সালেহ আজীজ, মো. নূরুজ্জামান, নড়াইলের মৌলভী আব্দুল মান্নান মল্লিক, আলহাজ্জ মো. লুৎফর রহমান, মো. নূরুল হুদা, আলহাজ্জ নওশের আলী, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা এ বি এম এ রব, ডা. সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, আলহাজ্জ মো. সিরাজুল ইসলাম. ক্কারী শেখ আব্দুল ওহাব, মো. লুৎফর রহমান লায়েক এবং যশোরের আলহাজ্জ মাওলানা এ টি এম শোয়াঈব, আলহাজ্জ আব্দুল হামিদ মৃধা, শেখ জাফর উদ্দিন কচি প্রমুখ তাঁদের রবের কাছে ফিরে গেছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে তাঁদের স্মরণ করছি ও মাগফিরাত কামনা করছি। আর যাঁরা জীবিত আছেন তাঁদের শারীরিক সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
লেখালেখি চলতে থাকলেও অবসরগ্রহণের পরে আমার লেখায় গতি আসে। ফেসবুক ও পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখি এবং আমার লেখার উপজীব্য বিষয় ইসলাম ও সমাজে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী। আমি সংগঠনপ্রিয় মানুষ এবং সব সময় সংগঠনভুক্ত থাকতে ভালোবাসি। চাকুরিরত অবস্থায় শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলাম। অবসর গ্রহণের পরে সহকর্মীদের নিয়ে গড়ে তুলি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ। এ ব্যাপারে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমার শ্রদ্ধাভাজন স্যার প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল হুদা, প্রফেসর মুহ. ইদ্রিস আলী, প্রফেসর মো. মুসা উদ্দীন বিশ্বাস, সহকর্মী প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন প্রমুখকে।
আমি আমার গ্রাম, আমার ইউনিয়ন, আমার উপজেলা, জেলা ও দেশকে ভালোবাসি এবং এই ভালোবাসা আমার জন্মের সাথে সংশ্লিষ্ট। সাথে সাথে আমার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমার কর্মস্থলসমূহকে। এ ভালোবাসা প্রকৃতিপ্রদত্ত (ফিতরাত)। যাদের সাথে আমি সংশ্লিষ্ট তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে আমি আগ্রহী এবং চেষ্টাও করেছি। সাফল্য একেবারে শূন্য নয়। কুষ্টিয়া সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বেশ অগ্রসর। মীর মশাররফ হোসেনসহ অনেক খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকের আবাসভূমি এ কুষ্টিয়া। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ড. দীপু মাহমুদ একটি প্রিয়মুখ। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ কুষ্টিয়াবাসীর গর্ব ও অহঙ্কার। এই কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও উপাধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্তি টানা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলার পর আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস রচনা। অনেক সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা সত্ত্বেও কুষ্টিয়াবাসীর কাছে তাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের একটি ইতিহাস তুলে ধরতে পারায় আল্লাহপাকের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। পরবর্তীতে আমরা বইমেলা উপলক্ষে ‘উদ্দীপন’ নামে একটি বই প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি। প্রকাশনা সংস্থা ‘সূচীপত্র’ আমাদের বইটি তাঁদের স্টলে রেখেছিলেন। আমি তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম প্রতি ‘বইমেলায়’ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ পরিবার ও কুষ্টিয়াবাসীর লেখা নিয়ে একটি করে বই প্রকাশের। আমাদের শ্লোগান ছিল : ‘আমরা হবো লেখক, পাঠক ও ক্রেতা’। আমরা এ আহবানে সাড়া পাইনি। ফলে আর এগোতে পারিনি।
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের স্বনামধন্য শিক্ষকদের নিয়ে একটি স্মরকগ্রন্থ রচনার। দশজন শিক্ষকের জীবন ও কর্ম নিয়ে হবে এই গ্রন্থটি। সেখানে তাঁদের পরিবার, সহকর্মী, শিক্ষার্থীদের লেখা ও ছবি নিয়ে সেটি প্রকাশিত হবে। বই প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় বিড়ম্বনা বইবিক্রি। আমরা চেয়েছিলাম বই প্রকাশের খরচটি বহন করবে স্যারদের পরিবারসমূহ। একহাজার কপি বই ছাপানোর খরচের বিনিময়ে ৮০০ কপি বই তাঁদেরকে প্রদান করা হবে এবং ২০০ কপি আমাদের থাকবে। তাতে বড়জোর খরচ হতো পরিবার প্রতি দশ হাজার টাকা। কিন্তু আমরা সাড়া জাগাতে পারিনি। আরো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা মিলে আমরা হবো একটি পরিবার এবং পরিবারের সকল সদস্যের ছবিসহ একটি এ্যালবাম হবে। ২/১ জন বাদে কোনো সাড়া মেলেনি।
বড় ইচ্ছা ছিল যাকাতভিত্তিক একটি ‘ছাত্রকল্যাণ তহবিল গঠন’ করার। কুষ্টিয়া কলেজেরে অনেক কৃতি শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে ভালো অবস্থানে রয়েছেন। প্রস্তাব করেছিলাম- মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি মাসিক ২০০০/- টাকা করে বছরে ২৪,০০০/- এবং প্রথম বছরে ২০ জনকে প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজন হবে ৪,৪৮,০০০/-। তাতেও ব্যর্থ হয়েছি।
আমরা নিজেরা (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে) একটি কল্যাণ তহবিল গঠন করেছি। উদ্দেশ্য, মাসে ১০০/- হিসেবে বছরে ১২০০/- টাকা প্রদান সাপেক্ষে সদস্যের মৃত্যুর পর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনের সাথে সাথে তাদের হাতে ২০,০০০/- টাকা প্রদানের মাধ্যমে সহমর্মিতা প্রকাশ ও পরিবারের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা। আমরা ৩৬ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৫ জন চাঁদা প্রদান করেছি। দুঃখের কথা, আমাদের সহকর্মীদের অনেকেই অবসর গ্রহণের পরে কুষ্টিয়া শহরে বসবাস করলেও তাঁদেরকে আমরা সম্পৃক্ত করতে পারিনি। নতুনদের সংযুক্ত করতে না পারলে সেই সংগঠনের টিকে থাকা বড় দায়। সংগঠনের সেক্রেটারি হিসেবে ব্যর্থতার দায় আমারই, কারণ আমি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে পারিনি।
বিনোদন জীবনেরই অংশ। বনভোজন বিনোদন হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত ও সমাদৃত। হয়তো কেউ দূর-দূরান্তে যায় আবার কেউ ঘরের কাছে পরস্পর মিলিত হয়। বুড়ো বয়সে আমরাও কাছাকাছি চেয়েছিলাম। আমাদের ছিল ব্যাপক আয়োজন। ছাপিয়েছিলাম হাজার কপি স্মরণিকা। তাতে স্বতস্ফুর্তভাবে সহযোগিতা নিয়ে আমাদের প্রিয়ভাজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্খী অনেকেই এগিয়ে এসেছিলেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের একজন সম্মানিত সদস্য ও একজন প্রিয়ভাজন অধ্যক্ষ একটি বড় অংকের সহযোগিতা করেছিলেন। আমেরিকাপ্রবাসী আমাদের একজন প্রাক্তন সহকর্মী সবার জন্য ক্রেস্ট করে দিলেন। কিন্তু কোথা থেকে যেন কী হয়ে গেল? শেষ মুহূর্তে ভ্যেনু নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় ও করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের সাধের বনভোজন স্থগিত করতে বাধ্য হলাম। এটি ছিল আমাদের জন্য খুবই পীড়াদায়ক। বনভোজন সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনজন সহকর্মী অনেক পরিশ্রম করেছিলেন এবং একজন অধ্যক্ষ বলিষ্ঠভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
১৯৭০ এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে তিনটি মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রথম বর্ণাঢ্য মিলনমেলা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের উপস্থিতিতে শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। সাথে প্রকাশিত হয় একটি সুন্দর স্মরণিকা। এ বছরে এসএসসি পাসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বনভোজনের পাশাপাশি আমরা প্রকাশ করি চমৎকার একটি স্মরণিকা। আমাদের বিদ্যালয়ের বয়স (প্রতিষ্ঠা ১৯২৪) শতবর্ষ পূরণ হতে যাচ্ছে। দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল হলে ইনশা-আল্লাহ সাড়ম্বরে শতবর্ষ উদযাপিত হবে। আমাদের স্মরণিকায় বিদ্যালয়ের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আমরা তুলে ধরেছি। পরবর্তী প্রজন্ম এ থেকে অনুপ্রেরণা পাবে এবং শতবর্ষ উদযাপনকারীরা পাবে অনেক তথ্য। এ ব্যাপারে ব্যাচের বন্ধুদের মাঝে ছিল অভূতপূর্ব সাড়া, বিশেষ করে আলহাজ্জ আবু বকর, আলহাজ্জ তাজ মোহাম্মদ, আমেরিকাপ্রবাসী গোলাম রাব্বানী, শিল্পপতি মো. কামরুজ্জামান সাবু, মো. নূরুজ্জামান (গ্যাদা মেম্বর) প্রমুখের নাম উল্লেখ করতেই হয়।
আমাদের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এক সমৃদ্ধ জনপদ। এখানে রয়েছে একটি ডিগ্রি কলেজ, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিশাল পানেরহাটসহ অসংখ্য স্থাপনা। আলহাজ্জ আবু বকরসহ কয়েক বন্ধুর চিন্তার ফসল ইউনিয়নের ইতিহাস রচনা। আমার মনে হয় একটি ইউনিয়নকে নিয়ে ইতিহাস রচনা, ইউনিয়নের কৃতি সন্তানদেরকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন এক দুর্লভ ব্যাপার। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এবং অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে কাজ সম্পন্ন করার শেষ পর্যায়ে আমাদেরই কিছু প্রিয়ভাজন প্রচন্ডভাবে বাধ সাধে। শেষ মুহূর্তে ১৯৭০ ব্যাচের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই আমরা আমাদের প্রকাশনাটি ইউনিয়নবাসীর হাতে তুলে দেই। আমাদের ছিল অনেক স্বপ্ন। চেয়েছিলাম ইউনিয়নের কৃতি সন্তানদেরকে সংবর্ধিত করতে। সহযোগিতা পেলে হয়তো ইউনিয়নকেন্দ্রিক আরো অনেক কিছু করা যেত এবং আমাদের ভাবনাও ছিল। সমাজের বিভাজন সকল কল্যাণ চিন্তাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
কলেজ ও ইউনিয়নকেন্দ্রিক কার্যক্রমে কিছুটা হোঁচট খাওয়া আমার ও আমাদের পরিবারের জন্য কল্যাণই বয়ে এনেছে। বর্তমানে আমার মনোনিবেশ একান্তই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এরই মধ্যে আমার নিজের লেখা কিছু প্রবন্ধ নিয়ে ‘ইসলামের মৌলিক ইবাদত’, আমার আব্বার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবন্ধসমূহ একত্র করে ‘মজবুত ঈমানের চেতনা’ নামে দু’টি বই প্রকাশের পর মাথায় আসে পরিবারের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আব্বাকে নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ রচনার। ‘মো. লুৎফর রহমান : যে জীবন প্রেরণার’ শীর্ষনামে একটি স্মারকগ্রন্থ রচনায় সক্ষম হওয়ায় আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদু লিল্লাহ।
আমাদের নয় ভাই-বোনের সন্তান-সন্ততিসহ সবমিলে ৮৫ জনের ছবি এখানে রয়েছে এবং ২১৬ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ রচনায় পরিবারের সবার অংশগ্রহণ ছিল স্বতস্ফুর্ত। সন্তান হিসেবে পিতাকে নিয়ে আমাদের এই প্রকাশনা বড় স্বস্তি ও আনন্দের। আব্বা আর আমাদের মাঝে নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। ২০১৫ সালে তিনি তাঁর মহান রবের কাছে ফিরে গেছেন। আল্লাহপাকের দরবারে আমি তাঁর মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানী, মাকে তিনি এখনো আমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রেখেছেন, যদিও তিনি খুব অসুস্থ। আল্লাহপাক তাঁকে সুস্থ রাখুন ও ঈমানের ওপর টিকে রাখুন।
লেখালেখি আমার অবসর সময় কাটানোর বড় মাধ্যম। বলা যায়, এটি আমার বিনোদন ও নেশা। আমি আমার লেখনীর মাধ্যমে মানুষের কাছে হকের দাওয়াত পৌঁছে দিতে চাই। আমি জানি, অনেকে আছেন যাঁরা আমার লেখনি পছন্দ করেন, সেটি করেন দ্বীনের প্রতি মুহাব্বতের কারণেই। চেষ্টা করি লেখাটি সার্বজনীন করার, কিন্তু তাই বলে আমার পরিচয় গোপন রেখে নয়। আমি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমা ও আশার কথা শোনাতে চাই। করোনাকালে প্রায় দিনই কিছু না কিছু লিখেছি। চেয়েছিলাম, ‘করোনাকালের কথা’ শীর্ষনামে একটি বই প্রকাশ ও স্বল্পমূল্যে পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে এবং ফেসবুকে প্রচারও করেছিলাম। তাতে একজন লিখেছিলেন, ‘ভাই দশ কপি পাঠাবেন’। তেমন সাড়া না পাওয়ায় পিছিয়ে এসেছি।
আমার লেখা আমপারার দরসুল কুরআন (একটি মাসিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত) প্রেসে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ছাপা হচ্ছে না। বয়স ৬৭। কর্মক্ষমতা আর কত? সুস্থতা আল্লাহ তায়ালার বড় নেয়ামত। আল্লাহ তায়ালার কাছে হায়াত বৃদ্ধি নয়, তিনি যে পর্যন্ত হায়াত রেখেছেন সে ক’টা দিন যেন সুস্থতার সাথে তা ভোগ করতে পারি তাঁর কাছে সেটিই কামনা করি। বই আকারে প্রকাশ করতে না পারলেও পত্র-পত্রিকা, ফেসবুক, হোয়াটসএ্যাপ, মেসেঞ্জার, ই-মেইলে আমার লেখাগুলো নিয়মিত পাঠিয়ে থাকি। পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার, পড়ার দায়িত্ব পাঠকের। হ্যাঁ আমি জানি, আমার অনেক শুভাকাঙ্খী বন্ধু ও প্রিয়ভাজন অনেকেই পড়ে থাকেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আল্লাহপাক আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও তাঁর নেক বান্দাদের মধ্যে শামিল করুন। আমিন। সমাপ্ত। ১৪.০৭.২০২০
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment