ভিন্নতার মাঝে ঐক্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বপ্রকৃতিতে রয়েছে নানা বর্ণ, নানা রূপ এবং এতেই রয়েছে সৌন্দর্য। হরেক রকমের ফুলের সমারোহে তো বাগান, সেখানে রয়েছে নানা রঙ, নানা গন্ধ। মানবজাতির অবস্থা বিবেচনা করলে দেখা যাবে সৃষ্টির সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত, না কিয়ামত পর্যন্ত যতো মানুষ আসবে সবাই স্বতন্ত্র দৈহিক কাঠামো, কণ্ঠস্বর, চেহারা, আকার-আকৃতি নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে বা আসবে। কোটি কোটি মানুষের মধ্যে একজনের সাথে আর একজনের কোনো মিল নেই। একজনের আঙ্গুলের ছাপের সাথে আর একজনের মিল নেই। শুধু কি তাই? প্রত্যেকের রুচি, পছন্দ, চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। এ এক বিষ্ময়! আল্লাহর এই সৃষ্টির কর্ম-কুশলতা নিয়ে ভাবলে দৃষ্টি অবনত হয়ে আসে।
সংসারে স্বামী-স্ত্রী, পিতা-পুত্র, ভাই-বোন, ব্যবসায়ে পার্টনার, রাজনীতিক-সামাজিক সংগঠন সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে পরস্পর মতের ভিন্নতা। তারপরও আমাদের চলার ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছতে হয় এবং এই ভিন্নতার মধ্যে পরস্পর আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমঝোতা করে চলার তাগিদই রয়েছে আল্লাহর বিধানে। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য পরামর্শ ও আনুগত্য করাকে অপরিহার্য করে দিয়েছেন এবং এটি মানুষের ফিতরাতেও রয়েছে। শিশুদের মাঝেও দেখা যায়, কেউ না কেউ নেতা হয়ে পড়েছে এবং তার নির্দেশ বাকিরা মেনে চলছে। নেতা মতামত চাচ্ছে এবং বাকিরা দিচ্ছে।
অজস্র মত ও পথে বিভক্ত উম্মাহর ঐক্য নিয়ে রয়েছে অনেক দুঃখ-ব্যথা-বেদনা ও প্রয়াস। ইসলামের নামে রয়েছে আমাদের সমাজে অনেক সংগঠন। আমাদের মাঝে প্রশ্ন, আমাদের আল্লাহ এক, রসূল এক, কিতাব এক, বিশ্বাস এক, গন্তব্য এক; তাহলে আমরা কেন ঐক্যবদ্ধ হতে পারি না? অথচ আল্লাহর বাণী, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জু শক্তভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’- সূরা আলে ইমরান ১০৩। এর মধ্য দিয়ে আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের ঐক্যবদ্ধ জীবন-যাপনের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
উম্মাহর ঐক্য বিনষ্ট করার বিরুদ্ধে তাঁর হুশিয়ারি বড় কঠোর,
‘তোমরা যেন তাদের মতো হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হেদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। যেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জল হয়ে ওঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নেয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করেছিলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এ নেয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এ অবস্থায় থাকবে’-আলে ইমরান ১০৫-১০৭।
তিনি আরো বলেন- ‘মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা আল্লাহতায়ালার শরিক বানিয়ে উপাসনা করে। তাদের মতও হয়ো না যারা দ্বীনে মতভেদ সৃষ্টি, বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয় আর প্রত্যেক দল উল্লাস করে যে, তারাই সঠিক ও সত্যের পথে আছে’-সূরা রুম ৩১-৩২।
আল্লাহপাক আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য জোর তাগিদ দিয়েছেন এবং এর ভিত্তি হিসেবে একটি পরিচয় দান করেছেন। সেটি হলো, আমাদের দ্বীন ইবরাহীম (আ)-এর দ্বীন, আর তিনি আমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।
আল্লাহর বাণী,
‘তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করো যেভাবে করা উচিত, তিনি (দুনিয়ার নেতৃত্বের জন্যে) তোমাদেরকেই মনোনীত করেছেন এবং এ জীবনবিধানের ব্যাপারে তিনি তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি, তোমরা তোমাদের পিতা ইবরাহিমের দ্বীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকো; সে আগেই তোমাদের নাম রেখেছিল মুসলিম, এর (কুরআনের) মধ্যেও তোমাদের এ নামই দেয়া হয়েছে, যেন রসূল তোমাদের ওপর সাক্ষ্য প্রদান করতে পারে, আর তোমরাও গোটা মানব জাতির ওপর (আল্লাহর দ্বীনের) সাক্ষ্য প্রদান করতে পারো, তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা করো, যাকাত আদায় করো এবং আল্লাহ তায়ালার রশি শক্তভাবে ধারণ করো, তিনিই তোমাদের একমাত্র অভিভাবক, কতো উত্তম অভিভাবক, কতো উত্তম সাহায্যকারী’ -সূরা হজ্ব ৭৮।
আল্লাহ আরো বলেন, ‘তার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে, আমি একজন মুসলিম’-সূরা হামীম আস সেজদা ৩৩।
তিনি আরো বলেন- ‘আমি আদিষ্ট হয়েছি, যাতে করে আমি প্রথম মুসলিম হতে পারি’- সূরা যুমার ১২।
সকল ভেদাভেদ ভুলে ‘আমরা মুসলিম’ অর্থাৎ আত্মসমর্পণকারী- এই পরিচয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি সুযোগ আমাদের রয়েছে।
ইসলামের প্রতি দরদ ও ভালোবাসা রয়েছে এমন সবাই উম্মাহর ঐক্যপ্রয়াসী। পক্ষান্তরে ইসলামের যারা দুশমন তারা চায় অনৈক্য এবং হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি; এরা ইবলিসেরই দোসর। ঐক্যের ভিত্তি হলো ঈমান। যারা কালিমা তাইয়্যেবাহ অন্তরে বিশ্বাস করে ও প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয় তারাই মূলত ইসলামে প্রবেশ করে এবং মুসলিম উম্মাহর অংশ হয়ে পরস্পর ভাই হয়ে যায়। ঐক্যবদ্ধতার নামই হলো ঈমান ও ইসলাম এবং বিচ্ছিন্নতাই হলো কুফুরি (সূরা আলে ইমরানের ১০৩-১০৭ এর ভাবার্থ)। কালেমা তাইয়্যেবাহ্ বিশ্বাসী সবাইকে নিয়েই মুসলিম মিল্লাত এবং পরিশুদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ইসলামে প্রবেশকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে মৌলিক ইবাদতসমূহ পালন এবং ফরজ-ওয়াজিব ও হালাম-হারামে অভ্যস্ত করে তোলা উম্মাহর আলেম সমাজেরই (দায়িত্বশীলদের) দায়িত্ব।
নবী প্রেরণের উদ্দেশ্য ভুলে গেলে চলবে না। আল্লাহ তাঁর সর্বশেষ নবীকে পাঠিয়েছেন তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে। এ কথাটি তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় উল্লেখ করেছেন সূরা তাওবা (৩৩ নং), সূরা ফাতাহ্ (২৮ নং) ও সূরা সফে (৯ নং)। তাঁর বাণী, ‘তিনি আপন রসূলকে হেদায়াত ও সঠিক জীবনব্যবস্থা (দ্বীনে হক) দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে সকল ব্যবস্থার ওপর একে বিজয়ী করে দিতে পারেন, মুশরিকদের কাছে তা যতই অসহনীয় হোক না কেন’- সূরা সফ ৯)। দ্বীনকে বিজয়ী করার চেতনাসম্পন্ন সকলের আমল এক হবে না এবং সম্ভবও না। রসূল (সা)-এর সময়েও ছিল না। আমরা সেই বেদুইনের কথা জানি যার কাছ থেকে নামায-রোযার প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে রসূল (সা)-এর জান্নাতি ঘোষণা করার কথা। আমরা তো এও জানি, যে বললো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সে জান্নাতে প্রবেশ করলো। হ্যাঁ, এটি প্রচার করার মতো বিষয় নয় এবং এ কথা বলে জান্নাতের প্রত্যাশাও ঝুঁকিপূর্ণ। কে জান্নাতি এবং কে নয় সেটি বিবেচনা একান্তই আল্লাহর।
জাহান্নামের যেমন বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ আছে তেমনি জান্নাতেরও রয়েছে। সবার কাছ থেকে সমভাবে খেদমত পাওয়া সম্ভব না এবং প্রয়োজনও না। নীরব সমর্থকের ভূমিকা উপেক্ষা করার নয়। আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সা)-এর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণের বিরুদ্ধে মিছিল দেখে যে রিক্সাওয়ালা রিক্সা বেঁধে রেখে শরীক হয় তার গুরুত্ব হালকা করে দেখার সুযোগ কোথায়? ঐ কৃষক যে মাঠে কাজ ফেলে রেখে দ্বীনের মুহাব্বতে ভোট দিতে যাচ্ছে সে আমাদের মিল্লাতেরই অংশ। সকলকে Accommodated করার মতো উদার ও প্রশস্ত হৃদয়ের নেতৃত্বই পারে উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করতে। যিনি কাউকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে চলার বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হবে।
আমি এখানে বোঝাতে চাচ্ছি যে উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হবে ঈমানের ঘোষণা অর্থাৎ ‘আমি মুসলিম’। যে বলবে, ‘আমি মুসলিম’- সেই আমার ভাই। আমি শ্রেষ্ঠতম উম্মাতের অংশ, মানবজাতির কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যেই আমার উদ্ভব। আমার দ্বারা সৃষ্টির কোনো অকল্যাণের আশঙ্কা নেই, মুসলিম ভাইয়ের তো নয়ই। ভাইয়ের মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকলে তা অত্যন্ত দরদের সাথে দূর করা আমার দায়িত্ব এবং না পারলে চুপ থাকবো। ভাইদের মধ্যে পরস্পর সৌহার্দ-সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য আমাদের মধ্যে থাকবে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা। উম্মাহর ঐক্য বিনষ্ট হয় বা পরস্পর ঘৃণা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কথা, কাজ বা আচরণ প্রকাশিত হওয়া আমার দ্বারা সম্ভব নয়, কারণ এতে আমার ঈমান চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কাজ করা কুফুরিরই নামান্তর। আমার আল্লাহ তাঁর কিতাবে আমাকে এভাবেই উপস্থাপন করেছেন।
দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে অর্থাৎ ফরজ-ওয়াজিব এবং হালাল-হারামে কোনো ভিন্নতা নেই; এব্যাপারে উম্মাহর মাঝে ঐকমত্য রয়েছে। সুন্নাত-মুস্তাহাবে যে ভিন্নতা তা রসূল (সা) থেকে প্রমাণিত। এই ভিন্নতা দলাদলি সৃষ্টির লক্ষ্যে নয়, আল্লাহর বিধান পালনের ক্ষেত্রে সহজতা বিধানের জন্য। কোনো বিষয়ে একাধিক মত থাকলে তখন যে কোনো একটি মত গ্রহণের এখতিয়ার মানুষের রয়েছে। ফলে কাউকে দ্বীন থেকে বের করে দেয়া বা সমালোচনা না করাটাই হবে উত্তম।
আল্লাহর বিধান পালন এবং আনুগত্যের ক্ষেত্রে নামায আমাদের জন্য প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ঈমান আনার পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো নামায। নামাযের মধ্যে ইমাম সাহেব ভুল করলে নামায পুনরায় আদায় করতে হয়। ওয়াজিবে ত্রুটি করলে সাহু সেজদার মাধ্যমে সংশোধন করে নিতে হয়। এর নীচে সুন্নাত-মুস্তাহাবের ত্রুটি ধর্তব্যের মধ্যে নয়। সুন্নাত-মুস্তাহাবের ত্রুটি নিয়ে নামাযের মতো ইবাদত পালনে কোনো সমস্যা না হলে, সমাজে এ সব আমলে একটু এদিক-ওদিক হলে তা নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি হবে কেন? এ সব আমল সৌন্দর্যবর্ধনমূলক এবং বান্দাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে। সুন্নাত-মুস্তাহাব আমলের ক্ষেত্রে ভিন্নতাকে আমরা সমালোচনা না করে যার কাছে যেটি উত্তম বিবেচিত হয় সে সেটি পালন করবে এমন উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের মধ্য দিয়ে সহাবস্থান সম্ভব হতে পারে।
মতের ভিন্নতা সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও ছিল। কিন্তু তা নিয়ে কখনই তাঁদের মধ্যে দল-উপদল বা পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ ছিল না। তাঁরা ছিলেন রুহামাউ বায়নাহুম। ঐক্য বলতে সবাইকে নিয়ে একটি দল গঠন বা একজনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়া বোঝায় না এবং তা সম্ভবও না। আমি উম্মাহর ঐক্য বলতে বুঝি, বিশ্বে কোথাও উম্মাহর ওপর আঘাত আসলে নিজের ওপর আঘাত অনুভব করা এবং পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ বা অকল্যাণ কামনা নয়। চিন্তার জগতে পরস্পর সুধারণা ও কল্যাণ কামনার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে উম্মাহর কাঙ্ক্ষিত ঐক্য।
উম্মাহর ঐক্যের পেছনে বড় অন্তরায় হলো হৃদয়ের সংকীর্ণতা। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের উদার ও প্রশস্ত চিত্তের অধিকারী দেখতে চান। তাঁর বাণী, ‘যে স্বীয় মনের সংকীর্ণতা থেকে নিজেকে রক্ষা করলো সেই প্রকৃত কল্যাণ লাভ করলো’- সূরা তাগাবুন ১৬। জীবনের সকল ক্ষেত্রে উদারতা দরকার। ভিন্নতার মধ্যে ঐক্য তখনই সম্ভব যখন সংশ্লিষ্টদের মাঝে উদারতা থাকে। পরিবার, সমাজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র সর্বত্র একই কথা প্রযোজ্য। আল্লাহপাক ক্ষমা, সহনশীলতা, উদারতা পছন্দ করেন এবং ঘৃণা করেন হিংসা-বিদ্বেষ ও কার্পণ্যকে। হিংসুটে তাঁর কাছে এতো অপছন্দনীয় যে, তিনি নিজে হিংসুকের অনিষ্ট থেকে তাঁর বান্দাদের তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা শিখিয়ে দিয়েছেন (সূরা ফালাক)।
বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা নির্যাতিত, নিপীড়িত। তাদের এই দুরবস্থার পেছনে অনৈক্য বড় কারণ বলে সবাই অনুভব করে এবং আশার কথা হলো সবার মধ্যে ঐক্যের ব্যাপারে পেরেশানি কাজ করছে। তরুণ জনগোষ্ঠী পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি পছন্দ করে না এবং তারা ঐক্যপ্রয়াসী। একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এগিয়ে আসলে হয়তো কাঙ্ক্ষিত ঐক্য সম্ভব হয়ে উঠবে। ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন ধরনের সকল তৎপরতা থেকে দূরে থাকা এবং সকলের কল্যাণ কামনায় এগিয়ে আসার তাওফিক আল্লাহ আমাদের দান করুন। ২১.০৭.২০২০
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment