Skip to main content

চলতে ফিরতে দেখা

আজ ফজরের নামাজ পড়ে আমরা দু'জন একসাথে হাঁটছিলাম। একপর্যায়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাসায় প্রবেশ করলাম। দারোয়ানকে সালাম দিলে উত্তমভাবে তিনি জবাব দিলেন। দাঁড়িয়ে কিছু খোঁজখবর নিলাম। বয়স ৫০ ঊর্ধ্বে। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে। এসএসসি উত্তীর্ণ। একটি মাত্র ছেলে। লেখাপড়া করে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড একাডেমিতে দ্বাদশ শ্রেণিতে। আর একটি ছেলে ছিল। সে ক্যান্সারে মারা গেছে। ছেলের ক্যান্সার চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। বর্তমানে তিন সদস্যের সংসার। তিনজন তিন জায়গায়। বেতন পান মাসে বারো হাজার টাকা। নিজে খরচ করে খান, ছেলেকে দেন ও বাড়িতে পাঠান। কোনো অতৃপ্তি লক্ষ করলাম না।


আমি তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যত লক্ষ করছি। একমাত্র ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী। জুনিয়র (JSC) ও মাধ্যমিক (SSC) পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছে। গোল্ডেন এ+ প্রাপ্ত ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া আটকায় না। সে ডাক্তারি পড়তে চায়। ইনশা-আল্লাহ পারবে। পরামর্শ দিলাম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট যেন ভালো হয়। আল্লাহ তার কষ্ট লাঘব করে দিবেন। আমি তার ছেলের বিষয়ে খেয়াল রাখবো ইনশা-আল্লাহ।

সমাজের এসব মানুষের দিকে তাকালে নিজেদেরকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়। কিন্তু সেই হিসেবে আল্লাহর শুকরিয়া কতটুকু? আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Comments