বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
ধানমন্ডি মসজিদ উত তাকওয়ায় আজ ফজর নামাজে তেলাওয়াত করা হয়েছে সুরা মুলক। নামাজ শেষে তেলাওয়াতকৃত সুরা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন মসজিদের সম্মানিত সহকারী ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশীদ।
মসজিদ উত তাকওয়া একটি জীবন্ত মসজিদ এবং এখানকার খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও সংশ্লিষ্ট সকলেই দ্বায়ী ইলাল্লাহ। এখানকার মুসল্লিরা কুরআনপ্রেমী ও হাদিসের প্রতি মুহাব্বত পোষণকারী। জুমার দিন সাড়ে বারোটায় দ্বিতীয় তলা পূর্ণ হয়ে যায়। পাঁচ ওয়াক্তে গড় মুসল্লি সংখ্যা বেশ সন্তোষজনক। ফজরে কুরআনের সংক্ষিপ্ত দরস ও মাগরিবের পূর্বে হাদিসের জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনায় মুসল্লিদের আগ্রহ উৎসাহব্যঞ্জক।
সুরা মুলুকের দুটি আয়াতের সরল অর্থ -
'মহা বরকতময় সেই সত্তা, সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁর হাতে। আর সবকিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি সেই মহান সত্তা, যিনি সৃষ্টি করেছেন মউত এবং হায়াত তোমাদের এই পরীক্ষা করার জন্য যে, তোমাদের মাঝে আমলের দিক দিয়ে কে উত্তম? তিনি মহাশক্তিমান, অতীব ক্ষমাশীল'- সুরা আল মুলক ১-২।
সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান, চরম ক্ষমতা বলতে যা বোঝায় সবই তাঁর। জীবন ও মৃত্যু অর্থহীন নয়। খেলাচ্ছলেও নয়। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি দেখতে চান, মানুষ কতটুকু উত্তম আমল নিয়ে তাঁর কাছে ফিরে আসে। তিনি আমলের পরিমাণ নয়, গুণ দেখতে চান।
আল্লাহর সৃষ্টির বিশালত্ব উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, তাঁর সৃষ্টির মাঝে কোনো খুঁত নেই। তিনি বলেন, তাকিয়ে দেখ দৃষ্টি ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে ফিরে আসবে। সৃষ্টি দিয়েই স্রষ্টাকে উপলব্ধি করা যায়।
এতকিছু দেখার পরও যারা কুফরি করে তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ আজাব, শুনতে পারবে জাহান্নামের গর্জন। ভয়াবহ আজাবে একের পর নাফরমানরা পতিত হতে থাকলে ফেরেশতারা জিজ্ঞেস করবে, তোমাদের কাছে কি কোনো সতর্ককারী পৌঁছেছিল না? তারা স্বীকার করবে, হ্যাঁ। সেদিন অস্বীকার করার কোনো উপায় থাকবে না। পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনে সৎ কর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।
আল্লাহ শক্তিমান হওয়ার সাথে সাথে বড় ক্ষমাশীল। এই পৃথিবীতে থাকতে থাকতে কুফরি থেকে তওবা করে আল্লাহর নেক বান্দা হওয়ার মাধ্যমে তাঁর ক্ষমা অর্জন সম্ভব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে তাঁর নেক বান্দাদের দলভুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
Comments
Post a Comment