বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মাগরিবের পূর্বে মসজিদ উত তাকওয়ায় মসজিদের সম্মানিত প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারুফ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, দীর্ঘ এক মাস আমরা ফরজ রোজা পালন করেছি এবং এটি ছিল তাকওয়া অর্জনের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ। ইসলামের সকল বিধি বিধান পালনের মধ্যে শুধু পরকালীন মুক্তি নয় দুনিয়াবি কল্যাণও রয়েছে। এই এলাকার মানুষ খুব স্বাস্থ্যসচেতন। অনেকে আছেন ফজরের নামাজ না পড়লেও সকালে এসে হাঁটেন ও ব্যায়াম করেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও নিয়মিত রোজা পালন মানুষকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের পাশাপাশি ডাক্তার সাহেবরাও এখন একথা বলে থাকেন।
রসুলল্লাহ সা. রমজানের রোজা ছাড়াও সারা বছর রোজা পালন করতেন। বিশেষ করে চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ এবং সোম ও বৃহস্পতিবার তিনি নিয়মিত রোজা রাখতেন। মা আয়েশা রা. বলেন, রসুলল্লাহ সা. সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ক্ষেত্রে খুবই যত্নশীল ছিলেন। প্রশ্ন করা হলে তিনি বলতেন, এই দুই দিন বান্দাকে ক্ষমা করা হয়। ক্ষমা করা হয় না তাদের যারা ঝগড়ায় লিপ্ত হয় এবং কথা বন্ধ করে থাকে। আবার বলা হয়েছে এই দুই দিন বান্দার আমলনামা গ্রহণ করা হয় এবং আমি চাই আমার আমলনামা রোজা অবস্থায় আল্লাহর কাছে পৌঁছুক। তিনি নফল রোজা পালনের জন্য তাঁর মুসল্লিদের প্রতি আহবান জানান।
Comments
Post a Comment