আজ ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে মাগরিবের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন মসজিদের প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারুফ। তিনি নিয়মিতই আলোচনা করেন।
কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহ জালেমকে পছন্দ করেন না'। জালেম বলতে সমাজের সাধারণ ধারণা, কেউ কাউকে মারপিট করলে বা গালিগালাজ করলে বা ঘুষ দাবী করলে জুলুম হয় এবং যারা জুলুম করে তারাই জালেম। কিন্তু জুলুম অত্যন্ত বিস্তৃত। জুলুম অর্থ যথাস্থানে কোনো কিছু না রাখা। অর্থাৎ যার যা অবস্থান বা প্রাপ্য তা থেকে বঞ্চিত করা। জুলুম আল্লাহর কাছে খুব ঘৃণ্য এবং জালেমকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
অতিরিক্ত কথা (আমার নিজের)
কুরআন হাদিস পড়ে আমার উপলব্ধি, যেকোনোভাবে কেউ যদি মানুষের অধিকার হরণ করে হোক তা ওজনে কম দিয়ে, ভেজাল দিয়ে, অফিসে ঘুষ নিয়ে, মানুষকে অপদস্থ করে, মারপিট করে বা গীবত করে (যদি তাওবা না করে) তবে এই জালেমদের জান্নাতে কোনো অংশ নেই। হাদিস থাকে জানা যায়, বিচারের দিন মজলুমের পাওনা পরিশোধ করতে গিয়ে জালেম রিক্ত হয়ে পড়বে, অবশেষে মজলুমের গুনাহ মাথায় নিয়ে জালেম জাহান্নামে যাবে।
সরকারি অফিসে আমরা যারা আছি, আখিরাতে জবাবদিহি করতে গিয়ে তাদের পেরেশান হয়ে যেতে হবে। আমার উপলব্ধি, যে কাজ করতে দশ মিনিট সময় লাগে তার জন্য আধা ঘন্টা সময় লাগানোও জুলুম। রাষ্ট্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয় তার নাগরিকদের সেবা দানের জন্য। নাগরিকদের কাছ থেকে এক কাপ চা খাওয়াও হারাম।
সম্প্রতি আমরা মহা হিসাব রক্ষকের দপ্তর থেকে এক জুলুমের শিকার। যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (অব) প্রফেসর আমিরুল আলম স্যার প্রতিকার চেয়ে আজকের দৈনিক প্রথম আলোয় লিখেছেন। এখানে লিংক দেয়া হলো। আমরা সবাই জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো ইনশা-আল্লাহ।
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment