Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2020

মুসলিম ঘরের সন্তানদের ইসলাম বৈরিতার কারণ ও প্রতিকার

আমরা প্রায়ই শুনি ও দেখি পিতা-মাতা দ্বীনদার অথচ তাদের সন্তান-সন্ততি দ্বীন মানে না বা অনেকেই আছেন দ্বীনের কট্টর দুশমন। অথচ মু’মিনদের প্রার্থনা, ‘হে আমাদের রব! তুমি আমাদের স্ত্রী (স্বামী) ও সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম’- সূরা আল ফুরকান ৭৪। একজন মুসলিম পিতা-মাতার কাছে তাদের সন্তানের ইসলামের প্রতি উদাসীন বা বিরোধী হওয়া বড়ই কষ্টের। এমন পিতা-মাতা খুব কমই আছে যারা চায় তাদের পুঁজি (সন্তান-সন্ততি) সব ব্যাংকে জমা থাকুক এবং যখন যেটা প্রয়োজন হবে কাজে লাগাবে। ইসলাম বিজয়ী হলে ইসলামের পক্ষের সন্তানকে সামনে ধরবে, আবার ইসলামের শত্রুরা বিজয়ী হলে ইসলাম না মানা ছেলেকে এগিয়ে দিবে। এমন চরিত্র কারো যদি থেকে থাকে তাহলে সে একজন নিরেট মুনাফিক বৈ আর কেউ নন। ঈমান গ্রহণকারী একজন ব্যক্তির প্রথম কাজ হলো তার স্ত্রী/স্বামী, সন্তান-সন্ততি ও নিকটবর্তী লোকজনকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া। আল্লাহর বাণী, ‘হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা নিজেদের ও পরিবার-পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও, যার জ্বালানি হবে মানুষ আর পাথর’- সূরা আত্ তাহরীম ৬। রসূল (সা) আল্লাহপাকের সেই নির্দেশ অনুসারে প্রথমেই তাঁর পর...

আল্লাহর ক্ষমার দিকে ধাবিত হই

প্রতিনিয়তই আমরা মৃত্যু দেখছি। বিশেষ করে করোনার কারণে সামান্য জ্বর হলেও আমাদের মধ্যে এক অজানা ভয় কাজ করছে। করোনা ও নানাবিধ রোগব্যাধিতে আমাদের অনেক প্রিয়জন তাঁদের রবের কাছে ফিরে গেছেন। আমাদের কখন ডাক আসে কেউ তা জানি না। তবে এটি জানি, এই পৃথিবী আমাদের স্থায়ী ঠিকানা নয়। এক অসীমের পানে আমাদের যেতেই হবে। প্রিয়জন মারা গেলে করোনা পরিস্থিতির কারণে পূর্বের মত জানাযা ও দাফন-কাফনে শরীক হওয়ার সুযোগ এখন আর হচ্ছে না। ফেসবুকে ইন্না লিল্লাহ পড়া ও দুআ করার মধ্যে অনেকটা সীমিত হয়ে পড়েছে। ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেয়ূন’ এই বাক্য উচ্চারণের মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত স্বীকারোক্তি প্রদান করছি ‘নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাব’। আল্লাহ তাঁর গাফেল বান্দাদের তাঁর পথে ফিরে আসার লক্ষ্যেই বিপদ-মুসিবত দেন। আমরা মনে করি, এই করোনার কারণে আল্লাহর অনেক বান্দাহ সম্বিত ফিরে পেয়েছেন। তারা তাওবা করে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করে নিয়েছেন। হ্যাঁ, যারা পারেনি তারা কপালপোড়া, তাদের বদনসিব; ঐ শ্রেণির মানুষ নবী-রসূলদের দাওয়াতেও সাড়া দিতে পারেনি। কুরআনের ভাষায় ওরা অন্ধ (ওরা চোখে দেখে না), ওরা বধির (কানে শুনে না);...

নৈতিক মানস গঠনে বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা)

মানুষ নৈতিক জীব। অন্যান্য জীব থেকে মানুষের পার্থক্যই তার নৈতিকতা। জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক ও ভালো-মন্দের পার্থক্য করার ক্ষমতা মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় আসীন করেছে। মানুষ যখন নৈতিকতা হারিয়ে ফেলে তখন সে পশুত্বের স্তরে নেমে যায়, না তারও অধম হয়ে পড়ে। আরবসহ সমগ্র বিশ্বে মানুষের নৈতিক চরম অধপতনের ফলে যখন সমাজ মনুষ্যবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল সে সময়ে আল্লাহপাক দয়া করে নবী ও রসূল হিসেবে পাঠান আমাদের প্রিয়তম নবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সা)-কে। রসূল (সা)-এর আগমনকালে সমাজ (ঐতিহাসিকরা যেটিকে বলেছে আইয়ামে জাহিলিয়াত বা অন্ধকার যুগ) অধপতনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, মানুষ ভুলে গিয়েছিল সকল নীতিবোধ, আচরণে মানুষ ও পশুতে কোনো পার্থক্য ছিল না; মানবপ্রকৃতি যেটিকে ঘৃণা করে ও অন্যায় বলে জানে এমন সকল অপকর্ম যেমন, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, যিনা-ব্যাভিচার, জুলুম-নির্যাতন-হত্যা, মিথ্যা-শঠতা, ধোঁকা-প্রতারণা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, খেয়ানত, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, নারীর প্রতি অবিচার সবই সেই সমাজে চালু ছিল। এমনি সমাজে মুহাম্মদ (সা) ছিলেন ব্যতিক্রম। সততা-বিশ্বস্ততা ও আমানতদারিতার কারণে তিনি তাঁর জাতির কাছ থেকে আল-আমিন ও আস...

বেশি বেশি সালাম বিনিময়ে পরস্পরের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে

জুমু’আর খুতবা ২৭.১১.২০২০ বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ আজকের খুতবায় কুরআন ও হাদিসের প্রচুর উদ্ধৃতিসহ সালাম নিয়ে আলোচনা করেন। আল্লাহপাক আদম (আ)-কে সৃষ্টি করে জান্নাতেই সালাম শিখিয়েছেন। তিনি আদম (আ) বলেন: যাও, ফেরেশতাদের সালাম দাও। আদম (আ) ফেরেশতাদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দিলে জবাবে ফেরেশতারা বলেন, ‘ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ’। আল্লাহপাক নিজে নবীদের সালাম দিয়েছেন, তাঁর এক নাম সালাম এবং ফেরেশতারা মু’মিনদেরকে সালামের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সালামের অর্থ শান্তি নিরাপত্তা এবং রসূল (সা) বেশি বেশি করে সালামের প্রচলনের জন্য তাঁর উম্মতের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা ততক্ষণ জান্নাতে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ না তোমরা মু’মিন না হও এবং ততক্ষণ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে মুহাব্বত না করো। পরস্পরের মধ্যে মুহাব্বাত ও ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য বেশি বেশি করে সালামের প্রচলন করো’। সাহাবীদের মধ্য থেকে একজন এসে রসূল (সা)-কে ‘আসসালামু আল...

মুহাম্মদ (সা) সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী

কুরআনের পাঠ আল্লাহর বাণী : বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ‘(হে নবী), আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই পাঠিয়েছি’- সূরা ফুরকান ৫৬। কথাটি মূলত কাফিরদের উদ্দেশ্যেই বলা। মক্কায় নবুয়তের মাঝামাঝি সময়ে সূরা ফুরকান অবতীর্ণ। নবুওয়াত লাভের পর মুহাম্মদ (সা) তাঁর জাতির কল্যাণকামী হিসেবেই দ্বীনের দাওয়াত পেশ করছিলেন। অথচ তাঁর জাতির লোকেরা দাওয়াত শুধু প্রত্যাখ্যানই নয় বরং সত্য ও সঠিক পথে ডাকার জন্য তাঁর ও তাঁর সাথীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছিল। জাতির লোকদের এমন আচরণের ফলে তাদের পরিণতি কতো ভয়াবহ হবে রসূল (সা) তা স্পষ্ট উপলব্ধি করছিলেন। ফলে তিনি ভীষণ পেরেশানি অনুভব করতেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলা হয়, পেরেশানি নয় মানুষের কাছে স্পষ্ট পৌঁছে দেয়ায় তাঁর রসূল (সা)-এর দায়িত্ব। আল্লাহর রসূল (সা)-এর দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাত। তাঁর দাওয়াত কবুল করলে আখিরাতে চিরশান্তির স্থান জান্নাত, পক্ষান্তরে অমান্য করলে ভয়াবহ শাস্তি জাহান্নাম। তাঁর দাওয়াতে সাড়া দানকারী বিশ্বাসীদের জন্য তিনি সুসংবাদদাতা এবং অবিশ্বাসীদের জন্য ছিলেন সতর্ককারী। এই কাজের বিনিময়ে রসূল (সা)-এর বৈষয়িক ...

আল্লাহর বান্দা মিথ্যা সাক্ষ্য ও বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে

কুরআনের পাঠ আল্লাহর বাণী : বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ‘(আর রহমানের বান্দা হচ্ছে তারা) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং কোনো বাজে জিনিসের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করতে থাকলে ভদ্রলোকের মত অতিক্রম করে যায়’- সূরা ফুরকান ৭২। সূরা ফুরকানে আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের অনেক গুণাবলীর কথা উল্লেখ করেছেন যা অর্জনের জন্য প্রয়োজন কঠোর ধৈর্য এবং বিনিময়ে দেবেন সুরম্য বালাখানা, যেখানে তারা থাকবে চিরকাল। ৭২ নং আয়াতে দু’টি গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না অর্থাৎ যেটি সত্য বলে জানে না বা যেটি সম্পর্কে নিশ্চিত না সেটিকে সত্য বলে প্রচার বা আদালতে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে না। দ্বিতীয়ত, ইসলাম ছাড়া সকল ব্যবস্থাপনা মিথ্যা বা বাতিল এবং মিথ্যা জেনেও যারা এর পক্ষ অবলম্বন করে তারাও মিথ্যা সাক্ষ্য দানের পর্যায়ে পড়ে। মিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে আল্লাহর রসূল (সা)-এর অবস্থান ছিল অত্যন্ত কঠোর। তিনি বলেছেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া শিরকের সমতুল্য বড় গুনাহ। মিথ্যা সকল কাজের মা। আমার উম্মতেরা সব পারে, পারে না মিথ্যা কথা বলতে ও বিশ্বাসঘাতকতা করতে। অথচ আজ এ উম্মাহর কী দুরবস্থা। সকল ক্ষেত্র...

তাওবা পূর্বের গুনাহকে নেকিতে বদলে দেয়

কুরআনের পাঠ আল্লাহর বাণী : বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ‘কিন্তু যারা তাওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে, আল্লাহতায়ালা এমন সব লোকদের গুনাহসমূহকে তাদের নেক আমল দ্বারা বদলে দেবেন, আল্লাহতায়ালা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’- সূরা ফুরকান ৭০। ক্ষমা, হ্যাঁ ক্ষমা মানুষকে পাপ-পঙ্কিল পথ থেকে নেকি ও কল্যাণের পথে ফিরে আসতে সহায়তা করে। সূরাটি মক্কী সূরা এবং নবুয়তের মাঝামাঝি সময়ে অবতীর্ণ। ইসলাম গ্রহণকারী নারী-পুরুষ অতীতের গুনাহের কারণে বড় পেরেশান থাকতেন। আল্লাহপাক তাদের পেরেশানি দূর করে দিয়েছেন। এটি ছিল এক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা (General Amnesty)। এই ক্ষমার দরজা কিয়ামত পর্যন্ত খোলা রয়েছে। আল্লাহ তাঁর বান্দার ফিরে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। বান্দাহ ভালো কাজের নিয়ত করলেই ছওয়াব লেখা হয় এবং নেক আমল করলে ছওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয় বা তার চেয়েও বেশি। কিন্তু মন্দ কাজে নিয়ত করলে কোনো গুনাহ নেই। মন্দ কাজ করে তাওবা করলে গুনাহের ক্ষমার সুযোগ রয়েছে। তাওবা না করলে যতটুকু অপরাধ ততটুকু গুনাহ লেখা হয়। ক্ষমার বিষয়ে হাদিসে অনেক বর্ণনা রয়েছে। আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন মসজিদে নববীত...

স্ত্রী ও সন্তান দ্বারা চোখকে শীতল করে দাও

কুরআনের পাঠ আল্লাহর বাণী : তারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের রব! তুমি আমাদের স্ত্রী (স্বামী) ও সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম’- সূরা আল ফুরকান ৭৪। আল্লাহর কাছে তাঁর নেক বান্দাদের বিশেষ মোনাজাত। নেক স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহতায়ালার বড় নেয়ামত। এই দুআর মাধ্যমে একজন মু’মিন তার স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির ঈমান ও সৎকাজের তাওফিক কামনা করেন। স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের দৈহিক সৌন্দর্য ও শিক্ষা-দীক্ষা নয় বরং সদাচার ও সচ্চরিত্রতা থেকে যথার্থ প্রশান্তি লাভ করা যায়। একজন সত্যিকার মু’মিন কখনো চাবে না, তার স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির মতো প্রিয়জন জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। এটি তার জন্য চোখের জ্বালা। বড় অস্বস্তির কারণ। তাই তার সর্বক্ষণ প্রচেষ্টা থাকে তাদেরকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসার এবং সাথে সাথে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির জন্য তার মহান রবের কাছে সে কাতর ফরিয়াদ জানায়। স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর পথে চললে গৃহটি হয়ে পড়ে জান্নাতের একটি টুকরা; বিপরিত পক্ষে দুনিয়ায় বাস করেও যেন জাহান্নামের শাস্তি ভোগ অনুভূত হয়। পারিবারিক কলহ মানুষের সুখ-শান্তি ও বেঁচ...

বিপদ মুসিবত উত্তরণে রাসূল (সা) এর নীতি ও আদর্শ

মানুষ আল্লাহর এক অপূর্ব সৃষ্টি, জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন এবং সকল সৃষ্টির সেরা। আল্লাহর সৃষ্টিজগতের সর্বোত্তম মর্যাদার অধিকারী তাঁরই প্রতিনিধি (খলিফা)। জ্ঞান-বুদ্ধির পাশাপাশি আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বোত্তম নেয়ামত হিসেবে নবী-রসূল ও কিতাবের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে হেদায়াত। হযরত আদম (আ)-কে বেহেশত থেকে চলে আসার জন্য যখন বলা হয় তখন তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। সে সময় আল্লাহ তাঁকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন, তাঁর পক্ষ থেকে যে হেদায়াত যাবে যারা তা অনুসরণ করবে তাদের কোনো ভয় নেই (সূরা বাকারা ৩৮)। আল্লাহপাক আদম (আ)-কে তাঁর ত্রুটি ক্ষমা করে একজন নবী হিসেবে দুনিয়ায় পাঠান এবং তিনি প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী। তাঁরই ধারাবাহিকতায় আল্লাহতায়ালা অসংখ্য নবী-রসূল পৃথিবীতে পাঠান এবং সর্বশেষ নবী ও রসূল হলেন আমাদের প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ (সা)। আল্লাহতায়ালা সকল জাতির মাঝে নবী-রসূল পাঠিয়েছেন এবং সকলের দাওয়াত ছিল অভিন্ন। আল্লাহর বাণী, ‘প্রত্যেক জাতির মধ্যে আমি একজন রসূল পাঠিয়েছি এবং তার মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহর বন্দেগী করো এবং তাগুতের বন্দেগী পরিহার করো’- সূরা নাহল ৩৬। আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টি ক...

জিজ্ঞাসার জবাব

মাসিক জিজ্ঞাসা সেপ্টেম্বর ২০২০ সংখ্যায় লাশ দাফন ও লাশ শহর থেকে গ্রামে বা বিদেশ থেকে দেশে আনা প্রসঙ্গে দুটি প্রশ্ন ও তার জবাব পড়লাম। সংক্ষেপে শেয়ার করতে চাই। মুসলমান কেউ মারা গেল যতো দ্রুত সম্ভব দাফন করার কথা হাদিস থেকে জানা যায়। মৃতদেহ নিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আল্লাহর রসূল (সা) বলেছেন, তোমাদের মাঝে কেউ মারা গেলে দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করো। নেককার হলে তাকে তার শুভ ফল ভোগ করতে দাও। আর বদকার হলে তোমাদের ঘাড় থেকে আপদ দ্রুত সরিয়ে ফেলো। মুসলমান কেউ মারা গেলে তার লাশ শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহর বা বিদেশ থেকে দেশে আনার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। বরং যেখানে যার মৃত্যু হয় সেখানেই তার দাফন করা উত্তম। উহুদ যুদ্ধে একজন শহীদের লাশ নিতে চাইলে আল্লাহর রসূল (সা) ঘোষণা দিয়ে সবাইকে উহুদ প্রান্তরে দাফন করেছিলেন। আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা) লাশ মক্কায় এনে দাফন করা হয়েছিল। হজ্জ বা উমরার সময় আয়েশা (রা) তাঁর কবরের নিকটে এসে বলেন, আমি উপস্থিত থাকলে যেখানে তোমার মৃত্যু হয়েছে সেখানেই দাফনের ব্যবস্থা করতাম। মোট কথা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, মানুষ মারা গেলে যতো দ্রুত সম্ভব তার ...

ফজরের না পড়া সুন্নাত

মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহিম তাঁর দাদা কায়স (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন : নবী করীম (সা) বের হয়ে আসলেন, তখন নামাযের একামত হলো এবং আমি তাঁর সাথে ফজরের ফরজ নামায পড়লাম। পরে নবী করীম (সা) (পেছনের দিকে) ফিরলেন ও আমাকে নামায পড়তে দেখতে পেলেন। তখন তিনি বললেন, 'হে কায়েস! তুমি কি একসঙ্গে দুই নামায পড়ছো?' আমি বললাম, ইয়া রসূল (সা)! আমি ফজরের সুন্নাত দুই রাকাত পড়িনি (তাই এখন পড়লাম)। তিনি শুনে বললেন : তা হলে আপত্তি নেই। তিরমিযী। আবু দাউদে একটু ভিন্নভাবে বলা হয়েছে। জবাব শুনে রসূল (সা) চুপ থাকলেন। সাধারণত ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় এবং আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রসূল (সা) নামায পড়তে নিষেধ করেছেন। তবে ফজরের না পড়া দুই রাকাত সুন্নাত পড়া যাবে। এ বিষয়ে ইমামদের মাঝে মত পার্থক্য রয়েছে। ইমাম শাফেয়ী (রহ), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের (রহ) মতে পড়া যায়। ইবনে উমর (রা) এই হাদিস অনুযায়ী আমল করতেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ) সূর্যোদয়ের পরে পড়ার পক্ষে। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, না পড়া সুন্নাত নামায ফরজ নামায পড়ার পরপরই, সূর্যোদয়ের পর এবং যোহরের নামাযের পূর্বেও পড়া যায়। ভুলে যাওয়ার ভয়ে আমি নিজে সাথে সাথে পড়ে ...

পৃথিবী একটি পরীক্ষাগার

আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের নানাভাবে পরীক্ষা নিচ্ছেন। আল্লাহর নিজের কথা, 'আমি অবশ্যই পরীক্ষা নেব'। এর মধ্যে রোগব্যাধি অন্যতম। আল্লাহ তাঁর ঈমানদার বান্দাদের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বেগুনাহ (গুনাহমুক্ত) করে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নিতে চান। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য ও আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকা। রসূল (সা)-এর উক্তি, আমার উম্মতের জন্য উভয় অবস্থাই কল্যাণকর। দুঃখ-ব্যথা-বেদনা-কষ্টে সে ধৈর্য ধারণ করে এবং ভালো কিছু হলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। সুস্থতা আল্লাহতায়ালার বড় নেয়ামত। এই নেয়ামত আমরা যারা ভোগ করছি তাদের উচিৎ বেশি বেশি করে ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর পথে সদকা করার মধ্য দিয়ে তাঁর শুকরিয়া আদায় করা। আমি আমার নিকটতম কয়েকজনের অসুস্থতার খবর জানি। হাসপাতালে যারা দৌড়াদৌড়ি করেন তারা উপলব্ধি করেন সুস্থতা কতো বড় নেয়ামত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গণিতের শিক্ষক প্রফেসর মো. আসাদুজ্জামানের স্ত্রী (মসজিদ মিশন একাডেমি কলেজ শাখার শিক্ষিকা) ৮/১০ দিন হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারের পর আজ রিলিজ নিয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা শেষ নয়, বরং বলা যায় শুরু। ইতোমধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে তিন লক্ষাধিক টাকা (শুধু হাসপাতালের বিল)। আসাদ ভাই ও তাঁর ডাক্তার ...

স্বামী স্ত্রী পরস্পরের সহযোগী

স্বামী স্ত্রী সম্পর্কের টানাপড়েন নতুন কিছু নয়। অথচ পরস্পরের সহযোগি হলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব। স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন মৌলভী স্যার পড়া না পারলে জিজ্ঞাসা করতেন, 'পড়া হয়নি কেন?' অনেকের জবাব ছিল, 'একা পড়তে পারিনি স্যার।' প্রত্যুত্তরে স্যার প্রায়শই বলতেন, 'একা না পারলে আর একটা বিয়া করছ'। অবশ্য একা একটি কাজ না পারলে সঙ্গীসহ কাজটি সহজে হতে পারে। এমন উদাহরণও রয়েছে। স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে এমন বহু উদাহরণ রয়েছে। কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয়ের কাছে একটি গল্প শুনলাম। পূর্বে বিয়েসাদীতে মেয়েদের অতো জানার সুযোগ ছিল না। তার এক চাচার বিয়ের পর চাচী এসে জানতে পারে যে তার স্বামী অষ্টম শ্রেণী পাস। সে তার স্বামীকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, 'স্কুলে ভর্তি না হলে আমার কাছে আসবে না।' সে বলে, 'আমার বয়স হয়েছে, আমার চেয়ে কম বয়সীদের সাথে স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়'।  স্বামীকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে চাচী তার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে একদিন তার চাচা শ্বশুরবাড়ি গেলে স্ত্রী আবার বলে, স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরেই আসবে। জোরাজোরি করলে কিছু ধাক্কা-ধাক্কা এবং একপর্যায়ে শ্যালক...

যারা দুনিয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে আল্লাহ তাদের পরকালে বঞ্চিত করেন

দরসুল কুরআন আল্লাহর বাণী : ‘আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের সুক্ষ্ণাতিসুক্ষ্ণ বিষয় সম্পর্কেও অবহিত আছেন, তিনি যাকে চান রিযিক দেন, তিনি প্রবল পরাক্রমশালী। যে ব্যক্তি পরকালের ফসল কামনা করে আমি তার জন্য তা বাড়িয়ে দেই, আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনের ফসল কামনা করে আমি তাকে তার কিছু অংশ দান করি, কিন্তু পরকালে তার জন্য কোনো অংশ থাকে না’-সূরা আশ শূরা ১৯-২০। বান্দাহ বলতে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সবাইকে বলা হয়েছে। এখানে লতিফ শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, বান্দার প্রতি দয়া-অনুগ্রহ, মায়া-মমতা ও বদান্যতার সাথে তার অতি সুক্ষ্ণাতিসুক্ষ্ণ বিষয়ের প্রতিও আল্লাহ দৃষ্টি রাখেন। অর্থাৎ বান্দার কী প্রয়োজন সেটি সে নিজেও জানে না অথচ আল্লাহ তা দিয়ে যাচ্ছেন। রিযিক বন্টনের ব্যাপারে আল্লাহ সবাইকে সমভাবে দেন না। কাউকে জ্ঞান-মেধা, কাউকে ধন-সম্পদ, কাউকে সন্তান-সন্ততি, আবার কাউকে সৌন্দর্য ও সুস্থতা; এই পার্থক্যের হেকমত আল্লাহই ভালো জানেন। এই দেয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, তিনি সর্বেসর্বে এবং দেয়া থেকে তাঁকে বিরত রাখার ক্ষমতাও কারো নেই। এই দুনিয়ায় বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সবাইকে তিনি দেন। বিশ্বাসী বান্দাকে আল্লাহ দুনিয়া ...

কুরআনের পাঠ সূরা ফুরকান ৭১

কুরআনের পাঠ 'যে ব্যক্তি তাওবা করে সৎকাজের পথ অবলম্বন করে, সে তো আল্লাহর দিকে ফিরে আসার মতই ফিরে আসে'- সূরা ফুরকান ৭১। আল্লাহপাক তাঁর বান্দার ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই একটি দরবার যেখান থেকে বান্দাকে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয় না। যে দরবারে বান্দার অপরাধ পরিমাপ করা হয় না বরং লজ্জাবনত বান্দার অপরাধ ক্ষমা করে নতুন জীবনের সন্ধান দেয়া হয়। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের অপরাধ উপেক্ষা করো, আমরা আমাদের ভুল উপলব্ধি করতে পেরেছি। তুমি মার্জনা করো ও তোমার পথে চলাটা সহজ করে দাও। পরোয়ারদেগার! তুমি আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিকে ক্ষমা করো ও তাদের দ্বারা আমাদের চোখকে শীতল করে দাও।

করোনা অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের উপায়

বছরজুড়ে চলছে করোনার ভয়াবহ তান্ডব। সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিসহ জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ০৭৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৪২ জন। গতকাল ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড ১০,৮০৫ এবং আক্রান্ত ৬ লক্ষ ৬ হাজার ৪১০ জন। একক দেশ হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর আমেরিয়ায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১ কোটি ১৮ লাখ ৮২ হাজার ৯২৭ ও মৃত্যু ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ইউরোপে মৃত্যু ৫ হাজার ২০০ ও আমেরিকায় ১ হাজার ৬১৫ জন। বাংলাদেশে ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ২৩৬৪ ও মৃত্যু ৩০ জন। মোট শনাক্ত ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ১৫৯ ও মৃত্যু ৬,৩০৫ জন। আমি একসময় করোনা নিয়ে নিয়মিত লিখতাম। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল হতদরিদ্র, ঘনবসতি ও বস্তি এলাকায় (এশিয়া ও আফ্রিকা) করোনা ভয়াবহ রূপ নেবে এবং রাস্তঘাটে লাশ পড়ে থাকবে। চিকিৎসা নয়, লাশ দাফনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়বে। বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছিল ৮ কোটি লোক আক্রান্ত হবে এবং ২০ লক্ষ মারা যাবে। না, সে সব সত্য হয়নি। বাংলাদেশে মারা যাওয়ার মধ্যে বস্তিবাসী ও হতদরিদ্রের তেমন উল্লেখ পাওয়া যায় না। ঢাকা শহরে বাসাবাড়িতে বস্তিবাসী হতদরিদ্রদের প্রবেশিধার নিষিদ...

মানুষ তার রবের প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞ

আল্লাহপাকের অগণিত নেয়ামতে আমরা আচ্ছাদিত। তাঁর দেয়া নেয়ামত গণনা করে শেষ করা যায় না। এই পৃথিবী, চন্দ্র-সূর্য, তারকারাজি, সকল সৃষ্টি মানুষের সেবায় নিয়োজিত। সূরা আর রহমানে আল্লাহতায়ালা বারংবার বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের কোন্ নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?’ মানুষ তার নিজেকে নিয়েই চিন্তা করুক। তার সৃষ্টির ব্যাপারে বাবা-মার অবদানই বা কতটুকু। আদম (আ) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষের আগমন ঘটবে সবাইকে স্বতন্ত্র দৈহিক কাঠামো, চেহারা, কণ্ঠস্বর, রুচি-পছন্দ ও জ্ঞান-বুদ্ধির পার্থক্যসহ সৃষ্টি করেছেন। মানুষের সুস্থতা, জ্ঞান-বুদ্ধি, পিতা-মাতা, স্বামী/স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, রিজিক সর্বোপরি হেদায়াত সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত। এ-সব নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা অর্থ আল্লাহর নাফরমানি না করা এবং সর্বদা তাঁর অনুগত হয়ে চলা। এছাড়া মৌখিক উচ্চারণের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। একজন কৃতজ্ঞ বান্দার মুখে সর্বদা উচ্চারিত হয় ছুবহান আল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, আল্লাহু আকবার। হাদিসে বলা হয়েছে, এগুলো উচ্চারণে হালকা কিন্তু ওজনে খুবই ভারি। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি নিজের প্রতি ও তাঁর বান্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্র...

চলতে ফিরতে দেখা

আজ ধানমন্ডিতে মেয়ে-জামাইয়ের বাসা থেকে তাকওয়া মসজিদে যেতে প্রথমেই চোখে পড়লো স্কুলের সম্মুখে ফুটপাতে এক লোক কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে। মনে হলো খুব তৃপ্তির ঘুম। তাকওয়া মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামায আদায় করা হয়। ফজরের নামায আদায় করলাম দ্বিতীয় ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদের ইমামতিতে। উনি ধারাবাহিক তেলাওয়াত করেন। আজ তেলাওয়াত করলেন সূরা ফাতাহ থেকে। সাধারণত তিনি নামায শেষে তেলাওয়াতকৃত আয়াতের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। আজকে সেটি হলো না। বের হওয়ার সময় নোটিশ বোর্ডে লক্ষ্য করলাম গত জুমু'আয় বাক্সে আদায় হয়েছে ৯৪,৮০১.০০ টাকা। তাকওয়া মসজিদে প্রত্যেক ওয়াক্তে প্রচুর ফকির হাজির থাকে। মসজিদের সম্মুখে সারিবদ্ধ বসা ও দাঁড়ানো, গণনা করে দেখলাম ৪৪ জন (আরো বেশি হবে)। মসজিদ থেকে ফেরার পথে এক রিক্সাচালককে দেখলাম তার রিক্সার ওপর ঘুমাতে। এই যে যাদের সম্পর্কে উল্লেখ করলাম এরা কি সুখী না অসুখী? আসলে সুখ/দুঃখ আপেক্ষিক। বাংলাদেশের সেরা ধনী ব্যক্তিটি চায় পৃথিবীর সেরা ধনী হতে। সূরা তাকাসূরে আল্লাহ বলেছেন কবরে পৌঁছা পর্যন্ত সে সম্পদের পেছনে ছুটে। আর আল্লাহর রসূল (সা) বলেছেন, মাটি ছাড়া কোন...

আল্লাহ জালেমকে পছন্দ করেন না

আজ ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে মাগরিবের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন মসজিদের প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারুফ। তিনি নিয়মিতই আলোচনা করেন। কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহ জালেমকে পছন্দ করেন না'। জালেম বলতে সমাজের সাধারণ ধারণা, কেউ কাউকে মারপিট করলে বা গালিগালাজ করলে বা ঘুষ দাবী করলে জুলুম হয় এবং যারা জুলুম করে তারাই জালেম। কিন্তু জুলুম অত্যন্ত বিস্তৃত। জুলুম অর্থ যথাস্থানে কোনো কিছু না রাখা। অর্থাৎ যার যা অবস্থান বা প্রাপ্য তা থেকে বঞ্চিত করা। জুলুম আল্লাহর কাছে খুব ঘৃণ্য এবং জালেমকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। অতিরিক্ত কথা (আমার নিজের) কুরআন হাদিস পড়ে আমার উপলব্ধি, যেকোনোভাবে কেউ যদি মানুষের অধিকার হরণ করে হোক তা ওজনে কম দিয়ে, ভেজাল দিয়ে, অফিসে ঘুষ নিয়ে, মানুষকে অপদস্থ করে, মারপিট করে বা গীবত করে (যদি তাওবা না করে) তবে এই জালেমদের জান্নাতে কোনো অংশ নেই। হাদিস থাকে জানা যায়, বিচারের দিন মজলুমের পাওনা পরিশোধ করতে গিয়ে জালেম রিক্ত হয়ে পড়বে, অবশেষে মজলুমের গুনাহ মাথায় নিয়ে জালেম জাহান্নামে যাবে। সরকারি অফিসে আমরা যারা আছি, আখিরাতে জবাবদিহি করতে গিয়ে তাদের প...

আমেরিকায় গণতন্ত্রেরই জয়

অভিনন্দন জো বাইডেন ও আমেরিকান জনগণকে। ট্রাম্পের যুগ শেষ হতে চলেছে। তিনি আমেরিকায় ঘৃণা ও বিভক্তির চাষ করেছেন। পক্ষান্তরে জো বাইডেন সব সময় ঐক্য, সংহতি, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও গণতন্ত্রের কথাই বলেছেন। নির্বাচনের আগে ও পরে তাঁর কথাবার্তা ছিল অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত। উগ্রতা পরিহার করে তাঁর অনুসারীদের সব সময় শান্ত থাকার কথা বলেছেন। বিশ্ববাসী অধীর আগ্রহ নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ফলাফল ঘোষণা পর্যবেক্ষণ করেছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও ফার্স্ট ল্যাডি শিক্ষিকা জিলসহ ডেমোক্রেটিক নেতাদের কথাবার্তায় ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা ও সকলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প যতো বেয়াড়া ও একরোখা হোক সিস্টেমের কারণে তাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নির্লজ্জ দলীয়করণ করতে সক্ষম হয়নি। ক্ষমতায় থাকার পরও বিরোধী দল নয় সরকারি দল হয়েও ট্রাম্প নির্বাচনে কারচুপির নির্লজ্জ অভিযোগ আনয়ন করেছে। আচরণে মনে হয় ট্রাম্প আসলে আমেরিকান নয়, বাংলাদেশের মতো কোনো উন্নয়নশীল দেশের প্রেসিডেন্ট। এতো বড় নির্বাচন হয়ে গেল, টানটান উত্তেজনা অথচ কোনো খুনোখুনি নেই, রাতের আঁধারে ভোট কাটা নেই, ভোটদানে বা...

রসূল (সা)-এর ওপর দরুদ পাঠের বিনিময়ে রয়েছে আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও নেকি

জুমু’আ বক্তৃতা ০৬.১১.২০২০ আজ মিরপুর কাঁঠালবাগ জামে মসজিদে জুমু’আর খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্জ মুফতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী আল্লাহর হামদ ও রসুল (সা)-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশের পর রবিউল আউয়াল মাসে রসূল (সা)-এর ওপর দরুদ পাঠ নিয়ে আলোচনা করেন। কাফির-মুশরিকরা নানাভাবে রসূলুল্লাহ (সা)-কে অপমান, অপদস্থ করার চেষ্টা করেছে এবং তা বর্তমানও অব্যাহত রয়েছে। তার মোকাবেলায় রসূল (সা)-এর উম্মতরা যুগে যুগে নিজেদের জীবন ও সবকিছু অপেক্ষা প্রিয়তম নবী (সা)-কে অধিক মুহাব্বতের প্রমাণ দিয়ে গেছেন। সম্প্রতি ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া ব্যঙ্গচিত্রের মোকাবেলায় সারা বিশ্বের মুসলমানরা জেগে উঠেছে। আল্লাহপাক নিজেই তাঁর নবীকে মহা সম্মানে সম্মানিত করেছেন এবং তাঁর স্মরণ কিয়ামত পর্যন্ত বিস্তৃত করে দিয়েছেন। কালিমা তাইয়্যেবায় আল্লাহর নাম উচ্চারণের সাথে সাথে তাঁর রসূল (সা)-এর নামও উচ্চারিত হয়। আযানে, নামাযে সর্বত্রই এবং সর্বক্ষণ প্রিয়তম নবী (সা)-এর স্মরণ হয়ে থাকে, সর্বোপরি তাঁর ওপর দরুদ পাঠ তো রয়েছেই। সূরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াত উদ্ধৃত করে খতিব মহোদয় বলেন, মহান আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতামন্ডলি আমাদের নবীর প্রতি দরুদ পাঠান এবং নবীর...

আল্লাহ নিজে উদার এবং উদারতা পছন্দ করেন

হৃদয়ের প্রশস্ততা ও উদারতা আল্লাহপাকের বড় নেয়ামত। আল্লাহর বাণী, ‘যে স্বীয় মনের সংকীর্ণতা থেকে নিজেকে রক্ষা করলো সেই প্রকৃত কল্যাণ লাভ করলো’- সূরা তাগাবুন ১৬। সংকীর্ণমনা মানুষ নিজের ত্রুটি-বিচ্যুতি উপেক্ষা করে কেবল অপরের মধ্যে ভুল-ত্রুটি তালাশ করে। মানুষের দোষ- ত্রুটি উপেক্ষা করা ও ক্ষমা করা তার স্বভাববিরুদ্ধ। ক্ষমা করার মাঝে যে আনন্দ তা থেকে সে বঞ্চিত। ফলে সে যেমন স্বস্তি পায় না, তেমনি অপরকেও স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না। গীবৎ ও পরনিন্দায় সে মজা পায় এবং সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়। সংকীর্ণমনা মানুষের আধিক্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিপদ ডেকে আনে। বাংলাদেশ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মানুষের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করার জন্য প্রয়োজন হৃদয়ের প্রশস্ততা। আল্লাহপাক তাঁর বান্দার অপরাধ ক্ষমা করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন। যতো বড় অপরাধীই হোক, আল্লাহর ক্ষমা থেকে নিরাশ না হওয়ার জন্য তিনি তাঁর বান্দাদের ডেকে বলেছেন। সাথে সাথে আল্লাহও চান, তাঁর বান্দারা তাঁর মতো উদার ও ক্ষমাশীল হোক। জুলুম করা আল্লাহ তাঁর নিজের ওপর হারাম করেছেন এবং কেউ তাঁর বান্দার ওপর জুলুম করুক সেটি তাঁর কাছে অসহ্য ও ভয়ঙ্কর অপরাধ। কারো প্রতি জু...

আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি

আল্লাহ তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাকে পছন্দ করেন। কৃতজ্ঞ বলতে বোঝায়, আল্লাহপাক দয়া করে তাকে যা দিয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকা। সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকতে পারা তাঁর দেয়া এক নেয়ামত। কৃতজ্ঞতা অত্যন্ত ব্যাপক। সন্তান তার পিতা-মাতার প্রতি, শিক্ষার্থী তার শিক্ষকের প্রতি এবং স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি, মোট কথা আমরা পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল ও পরস্পর থেকে উপকৃত হচ্ছি। উপকারের স্বীকৃতির নামই কৃতজ্ঞতা। ছাত্রের সদাচরণের বিনিময়ে শিক্ষক যখন বলে উঠে, বাবা তোমার মতো ছাত্র পেয়ে আমি ধন্য। এমন বাক্য উচ্চারণ ছাত্রের প্রতি শিক্ষকের কৃতজ্ঞতারই প্রকাশ। সমাজে কৃতজ্ঞ লোকের আধিক্যই পারে একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে। আমি আমার গত লেখায় সূরা বনি ঈসরাইলের ৩০ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করে বলেছিলাম, আল্লাহপাক তাঁর সকল বান্দাকে সমভাবে তাঁর অনুগ্রহ (রিজিক) দেননি এবং কমবেশি করেছেন তা তিনি স্পষ্টও করেছেন। আমি আবারও সেটির উদ্ধৃতি দিয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করতে চাই। ‘তোমার রব যার জন্য চান রিজিক প্রশস্ত করে দেন, আবার যার জন্য চান সংকীর্ণ করে দেন। তিনি নিজের বান্দাদের অবস্থা জানেন এবং তাদেরকে দেখছেন’- সূরা বনি ইসরাঈল ৩০। ...

কল্যাণ-অকল্যাণ সবই আল্লাহর হাতে

দুনিয়া ও আখিরাত নিয়েই মানুষের জীবন। দুনিয়া হলো কর্মক্ষেত্র। মানুষ চেষ্টা করবে, চেষ্টার বিনিময়ে দুনিয়ায় সে কতটুকু ফল লাভ করবে তা একান্তভাবে নির্ভর করে আল্লাহর মর্জির ওপর। যেমন, রিজিক বন্টনের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমার রব যার জন্য চান রিজিক প্রশস্ত করে দেন, আবার যার জন্য চান সংকীর্ণ করে দেন। তিনি নিজের বান্দাদের অবস্থা জানেন এবং তাদেরকে দেখছেন’- সূরা বনি ইসরাঈল ৩০। রিজিক শুধু অর্থকড়ি নয়, মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি-যোগ্যতা, স্বাস্থ্য, স্বামী/স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি সবই রিজিক (অনুগ্রহ)। একই মা-বাবার চারটি সন্তান। এই সন্তানদের মাঝে বর্ণ, উচ্চতা, মেধা, যোগ্যতা, স্বাস্থ্য নানা দিক দিয়ে বেশ পার্থক্য। এই পার্থক্যের মধ্য দিয়ে আল্লাহপাক কারো প্রতি বেশি অনুগ্রহ, আবার কারো প্রতি কম অনুগ্রহ করেছেন, এমনটি কি মনে করা যায়? সবাই বলে উঠবে, না না আল্লাহ কারো প্রতি বেইনসাফী করতে পারেন না। কিসে কল্যাণ তা আল্লাহপাকই ভালো জানেন। এটা ঠিক, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ জুলুম করেন না। কাউকে যদি কম অনুগ্রহ করেন সেটি তাঁর জানা আছে এবং কিভাবে পুষিয়ে দেবেন তাও তিনি জানেন। একই সমাজের মানুষ। কেউ উচ্চ প...

শয়তানের ভাই না হয়ে আমরা আল্লাহর বান্দাহ হই

শয়তানকে কেউ বন্ধু মনে করে না। এমন কি চোর-ডাকাত-বদমাইশরাও স্বার্থের হানি হলে একে অপরকে গালি দিয়ে বলে, শয়তানটা আমাকে ঠকিয়েছে। মানুষ তার কাজে-কর্মে-আচরণে অজ্ঞাতসারেই শয়তানের ভাই-বন্ধু হয়ে যায়। আজকে আমরা শয়তানের এক ভাইয়ের পরিচয় জানার চেষ্টা করবো। আল্লাহপাক নিজেই শয়তানের ভাইয়ের পরিচয় প্রদান করেছেন এভাবে- ‘বাজে খরচ করো না। যারা বাজে খরচ করে তারা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ’- সূরা বনী ইসরাঈল ২৬-২৭। ‘তোমার হাত গলার সাথে বেঁধে রেখো না, আবার একেবারে ছেড়েও দিয়ো না, তাহলে তুমি নিন্দিত ও অক্ষম হয়ে পড়বে’- সূরা বনী ইসরাঈল ২৯। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের বাজে খরচ করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহর কোনো নেক বান্দাহ কখনই বাজে খরচ করতে পারে না। সাথে সাথে বলেছেন, যারা বাজে খরচ করে তারা তাঁর বান্দাহ নন, বরং শয়তানের সহচর ও ভাই। শেষে শয়তানের পরিচয় দিয়ে বলেছেন, সে তার রবের প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ। ২৯ নং আয়াতে মধ্যম পন্থা অবলম্বনের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, তোমরা কার্পণ্য করো না আবার বাহুল্য খরচ করে নিজেকে বিপদগ্রস্তও করো না। সতর্ক করে দেয়া হয়েছে এই বলে যে, লাগামছাড়া খরচ করলে নিন্দিত ও অক্ষম (পরমুখাপেক্ষি) হয়...

আমরা সবাই ইতিবাচক হই

দোষে-গুণে আমরা মানুষ। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ভালোর পাশাপাশি মন্দও রয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, ভালোর চেয়ে আমরা মানুষের মাঝে মন্দটা বেশি তালাশ করি। কেউ যদি মানুষের মাঝে তার মন্দটা তালাশ করে তাহলে অবশ্যম্ভাবী সে তার চলা, বলা, খাওয়া, পরা নানা কাজে অনেক মন্দ খুঁজে পাবে। অথচ আল্লাহপাক মানুষের ত্রুটি তালাশ করতে নিষেধ করেছেন এবং সুধারণা পোষণ করতে বলেছেন। এতে লাভ, দুনিয়ার জীবনে মানুষের সাথে তার বন্ধুত্ব বাড়বে এবং পরিবার ও সমাজে সে প্রশান্তির জীবন যাপন করতে পারবে; আখিরাতে আল্লাহপাক তাঁর সেই বান্দার ত্রুটি-বিচ্যুতি গোপন ও ক্ষমা করবেন। সাধারণত অনুদার বা কৃপণ ব্যক্তি (অর্থে নয়, মনে) মানুষের মাঝে ভালো কিছু খুঁজে পায় না এবং সে মানুষের প্রশংসা নিজে যেমন করতে পারে না, আবার তার সম্মুখে কারো প্রশংসা সে শুনতেও রাজি নয়। সবকিছুর মধ্যে সে নেতিবাচক কিছু খুঁজে। এটি একটি মানসিক রোগ। সামনা-সামনি প্রশংসা পছন্দনীয় নয় যা সাধারণত তৈলবাজরা করে থাকে। কিন্তু ভালো কাজের স্বীকৃতি একজন মানুষের প্রাপ্যও বটে। মুসলমান হিসেবে প্রশংসা করার ভাষাও একটু ভিন্ন। যেমন, ভালো কিছু শুনলে বা ভালো কিছু করলে আমরা বলে উঠি, আলহামদু লিল্লাহ...