Skip to main content

আল্লাহ ক্ষমাকারী


যে ব্যক্তি কোনো গুনাহ করে অথবা নিজের ওপর জুলুম করে এবং এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে সে আল্লাহকে ক্ষমাকারী ও পরম দয়ালু হিসেবেই পাবে'- সূরা আন নিসা ১১০।
বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া-অনুগ্রহ অসীম। মানুষের দ্বারা ভুল-ত্রুটি হবে না, এটি মানবপ্রকৃতি নয়, মানুষ অন্যায় করবে কিন্তু সেই অন্যায়ের ওপর অনঢ় হয়ে থাকবে না, সে তার রবের কাছে ফিরে আসবে। ফিরে আসলেই সে আল্লাহর ক্ষমা লাভে ধন্য হবে। পক্ষান্তরে শয়তান ভুলকে স্বীকার না করে দম্ভ ও অহংকার প্রকাশ করে, ফলে তার ক্ষমা নেই।
আল্লাহর কাছে ফিরে আসা (তাওবা) অর্থ সেই গুনাহ আর না করা। যেমন, সে নামায না পড়ে থাকলে নামায শুরু করবে, বেপর্দা চলাফেরা করলে পর্দা মেনে চলবে, মানুষের অধিকার হরণ করে থাকলে তা ফিরিয়ে দিবে ইত্যাদি।
গুনাহ অর্থ আল্লাহর নাফরমানি করা। অর্থাৎ আল্লাহ ও তাঁর বান্দার হক নষ্ট করা। আল্লাহ ও তাঁর রসুল (সা)-এর সকল হুকুম নিঃশর্তভাবে মেনে চলার (আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম) নামই ইসলাম এবং যারা মেনে চলে তারাই মুসলিম (আত্মসমর্পণকারী)।
এই নিঃশর্ত আনুগত্য আমাদের ব্যাবহারিক জীবনেও আমরা লক্ষ্য করি। সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবী করেন তাঁর অধীন সকল শিক্ষক-কর্মচারী তাঁরই আনুগত্য করবে। একটি দিন কোনো আদেশ অমান্য করা হলে অধ্যক্ষ মহোদয়ের চেহারা পাল্টে যায়। অথচ তাঁর ক্ষমতা কতো সীমিত।
পক্ষান্তরে আল্লাহর ক্ষমতা অসীম। আমাদের সুস্থতা, বেঁচে থাকা, আয়-রোজগারসহ মৃত্যু পরবর্তী জীবনে জান্নাত -জাহান্নাম সবই নির্ভর করে আল্লাহর মর্জির ওপর। তাই আল্লাহর দাবী, তাঁকে ভয় করো করার মতো। অর্থাৎ দুনিয়ার সকল কিছু অপেক্ষা তাঁকে ভয় করতে হবে সর্বাধিক।
করোনা ভাইরাসের এই কঠিন মুহূর্তে (প্রতিনিয়ত আমরা মৃত্যুর কথা শুনছি এবং আমাদের জীবনেও যে কোনো সময় ডাক আসতে পারে) আমাদের জীবনের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হই, বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
পরোয়ারদেগার! তুমি আমাদের ক্ষমা করো ও বিশ্ববাসীকে তোমার সৃষ্ট করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করো।

Comments