১. সকল
রোগের চিকিৎসা রয়েছে :
হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী
করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার কোনো ঔষধ সৃষ্টি করেননি।
বুখারি শরীফ ৫২৭০।
২. ছোঁয়াছে/সংক্রামকতা
বলে কোনো রোগ নেই :
হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ছোঁয়াছে বলে কোনো রোগ নেই এবং ছফর মাস ও পেঁচার মধ্যে
অমঙ্গল বলে কিছু নেই। তখন একজন গ্রাম্য লোক বললো, হে আল্লাহর রসুল (সা)! তবে আমার এ
উটগুলোর এ দশা হলো কেন? এগুলো ছিল চারণভূমিতে, দেখতে বণ্য হরিণের মত সুন্দর। তারপর
সেখানে একটি চর্ম রোগাক্রান্ত উট আসলো। আমার উটগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়লো এবং সেগুলোকে
চর্ম রোগাক্রান্ত বানিয়ে দিল। তখন রসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তবে প্রথম উটটির মধ্যে রোগ
সৃষ্টি করলো কে? বুখারি শরীফ ৫৩০২।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, রোগে কোনো সংক্রামতা নেই। অশুভ ও কুলক্ষণ বলেও
কিছু নেই। বুখারি শরীফ ৫৩৫৩
৩. মহামারি
আক্রান্ত এলাকায় যেও না :
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে
বর্ণিত। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) তাঁর খেলাফতকালে মদীনা হতে সিরিয়া সফর করলেন। সারগ
নামক স্থানে পৌঁছার পর সেনাবাহিনী প্রধান আবু ওবায়দাহ ইবনে জাররাহ (রা) ও তাঁর সঙ্গীরা
ওমর (রা)-এর সাথে দেখা করলেন। অতপর তাঁকে সংবাদ জানালেন, সিরিয়ায় প্লেগ মহামারি দেখা
দিয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, ওমর (রা) সে সময়ে প্রবীণ মুহাজিরীনদের তাঁর কাছে ডেকে
আনলেন এবং বললেন, সিরিয়ায় প্লেগ মহামারি দেখা দিয়েছে। সিরিয়ায় যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে
তিনি তাঁদের কাছে পরামর্শ চাইলেন, মুহাজিরীনদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিল। কেউ বললেন,
আপনি যে উদ্দেশ্যে বের হয়ে এসেছেন তা হতে ফিরে যাওয়া আমাদের মত নয়। আর কেউ কেউ বললেন,
আপনার সাথে রসুলুল্লাহ (সা)-এর প্রবীণ সাহাবীরা রয়েছেন; সুতরাং প্লেগ মহামারির মুখে
তাঁদের তুলে দেয়া আমরা ঠিক মনে করি না। তখন ওমর (রা) তাঁদেরকে চলে যেতে বললেন। তারপর
নির্দেশ দিলেন, মদীনার আনসারদের ডেকে আনতে। তাঁদের মাঝেও মতানৈক্য দেখা দিল। তিনি আনসারদেরও
বিদায় করে দিলেন। এবার তিনি কুরাইশদের প্রবীণ ও বয়োজ্যেষ্ঠ লোকদের আসতে বললেন। তাঁদের
মধ্যে দু’জন একমত হয়ে বললেন,
আমাদের অভিমত হলো, এই বিশিষ্ট লোকদেরসহ আপনার প্রত্যাবর্তন করা। আর তাদেরকে প্লেগ মহামারির
মধ্যে তুলে না দেয়াই উচিত। অতএব ওমর (রা) ঘোষণা করে দিলেন, আগামীকাল খুব ভোরে ফিরে
যাওয়ার জন্য বাহনারোহণ করবো। অতপর লোকেরা খুব ভোরে তাঁর কাছে আসলো। আবু ওবায়দাহ ইবনে
জাররাহ (রা) জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি আল্লাহর তাকদীর থেকে পলায়ন করতে চান? ওমর (রা)
বললেন, হে আবু ওবায়দাহ! তুমি ভিন্ন অন্য কেউ যদি এ কথা বলতো! হ্যাঁ, আমরা আল্লাহর এক
তাকদীর থেকে আল্লাহর অন্য তাকদীরের দিকেই পালাচ্ছি। বলো তো, তোমার কাছে উষ্ট্র আছে-তুমি
তা চরাতে এক উপত্যকায় নিয়ে গেলে, সেখানে দু’টি প্রান্তর আছে-একটি
সবুজ শ্যামল, অপরটি শুষ্ক ধুসর। ব্যাপারটি এমন নয় কি, যদি তুমি সবুজ-শ্যামল প্রান্তরে
চরাও তবে আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ীই তা করলে। আর যদি শুষ্ক ও ধুসর প্রান্তর নির্বাচন
করো, তাও আল্লাহর তাকদীরের কারণেই করলে। বর্ণনাকারী বলেন, অতপর আব্দুর রহমান ইবনে আউফ
(রা) এসে পৌঁছলেন। কোনো কারণবশত তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, আপনাদের বিতর্কিত
বিষয়ে একটি হাদিস আমার জানা আছে। আমি রসুলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা শুনতে
পাও, কোনো স্থানে প্লেগ মহামারি দেখা দিয়েছে, তবে সেখানে যেও না। আর যখন কোথাও ছড়িয়ে
পড়ে এবং তুমি সেখানে থেকে যাও, তাহলে সেখান হতে বের হয়ে পলায়ন করো না। বর্ণনাকারী বলেন,
এই হাদিস শুনে ওমর (রা) আল্লাহর প্রশংসা করলেন। অতপর মদীনার দিকে ফিরে চললেন। বুখারি
শরীফ ৫৩১২।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমের (রা) কর্তৃক
বর্ণিত। ওমর (রা) সিরিয়া যাত্রা করলেন। যখন সারগ নামক স্থানে উপনীত হলে খবর পেলেন,
সিরিয়ায় প্লেগ মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তখন আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা) বললেন,
রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যখন তোমরা শোনো যে, কোনো স্থানে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে,
তবে তোমরা সেখানে যেও না। আর যখন কোনো স্থানে তা দেখা দেয়, আর তোমরাও সেখানে অবস্থান
করতে থাক, তবে সেখান থেকে বাইরে যেও না। বুখারি শরীফ ৫৩১৩।
ব্যাখ্যা :
১. এখানে
বুখারি শরীফ থেকে কয়েকটি হাদিস উদ্ধৃত করা হয়েছে। বুখারি শরীফ ৫২৭০ নং হাদিস থেকে উপলব্ধি
করা যায় যে সম্প্রতি নতুন ভাইরাস করোনার কোনো ঔষধ আমাদের সম্মুখে দৃশ্যমান না হলেও
বিশ্বপ্রকৃতিতে রয়েছে। মানুষ গবেষণা করছে এবং সহসাই তার ভ্যাক্সিন বা ঔষধ পাওয়া যাবে
ইনশা-আল্লাহ। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালার নিয়ম হলো, তাঁর সৃষ্টি নিয়ে যারা চিন্তা-ভাবনা
ও গবেষণা করবে আল্লাহ তার সমাধান তাদেরকে দান করবেন। রসুল (সা) চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার
জন্য তাঁর উম্মতদেরকে উৎসাহ দান করে বলেছেন, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা
করা ৭০ বছর ইবাদত অপেক্ষা উত্তম।
২. হাদিস
৫৩০২ ও ৫৩৫৩ নং হাদিসে বলা হয়েছে যে, ছোঁয়াছে/সংক্রামকতা বলে কোনো রোগ নেই এবং মহামারি
আক্রান্ত এলাকায় যেও না মর্মে ৫৩১২ ও ৫৩১৩ দুটি হাদিস উদ্ধৃত করা হয়েছে। এখানে হাদিসের
মধ্যে বৈপরীত্য আছে বলে মনে হয়। আসলে কোনো বৈপরীত্য নেই (আমার উপলব্ধি)। অবস্থা ও পরিবেশে
দু’টিই সঠিক।
হাদিস সাধারণত ঘটনাকেন্দ্রিক। বিভিন্ন
পরিবেশ, পরিস্থিতিতে সমাধান হিসেবে রসুল (সা) নিজের থেকে বা প্রশ্নের জবাব হিসেবে বলেছেন।
তৎকালে মানুষ ছিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং এখনো রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে শুভ-অশুভ সম্পর্কে
নানা কুসংস্কার এবং রোগ-ব্যাধি নিয়েও কুসংস্কার ছিল। ফলে এ সব নিয়ে সমাজে মানুষের মাঝে
ভেদাভেদ, স্পর্শ করা না করা এবং সেবা-যত্ন নিয়ে নানা বাধা-বিপত্তি ছিল। ফলে মানুষের
মাঝের সংকীর্ণতা দূর করে পরস্পরের প্রতি উদার ও সহমর্মী হওয়ার লক্ষ্যে তিনি বলেছেন।
তৎকালে কুষ্ঠ রোগকে ছোঁয়াছে মনে করা হতো। রসুল (সা) কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাকতে বলেছেন
এবং আবার কুষ্ঠ রোগীর সাথে খানা খাওয়ার কথাও হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায়। আসলে ছোঁয়াছে
বলে কোনো রোগীকে ঘৃণা করা বা অবহেলা করে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে
বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহা আতঙ্ক এবং সমগ্র
বিশ^বাসী এই ভাইরাসে আক্রান্ত। এটি একটি সংক্রামক ভাইরাস যার কোনো চিকিৎসা এখনো উদ্ভাবিত
হয়নি। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশে^ আট লক্ষাধিক লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায়
অর্ধ লক্ষ লোক ইতোমধ্যে মারা গেছেন। এটি বায়ু বা পানিবাহিত কোনো রোগ নয় বরং এটি ছড়াচ্ছে
মানুষের মাধ্যমে (একজন থেকে আরেক জনে)। ফলে এর থেকে মুক্তি লাভের জন্য বিশ্বব্যাপী
চলছে লকডাউন এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। ফলে লোকসমাগম এড়িয়ে ঘরে অবস্থানের জন্য জোর তাগিদ
দেয়া হচ্ছে। সংক্রামকের কারণেই কোনো রোগ মহামারি আকারে দেখা দেয় এবং উল্লেখিত ৫৩১২
ও ৫৩১৩ নং হাদিসে রসুল (সা) সংক্রামিত এলাকায় না যাওয়া এবং সংক্রামিত এলাকার লোকদেরকে
সেখান থেকে না আসার জন্য বলেছেন। তাঁর এই কথা একটি সাধারণ ঘোষণা যাতে মানুষ সচেতন হয়
এবং মহামারির বিস্তৃতি রোধ করা যায়।
আল্লাহ এবং তাঁর রসুল (সা)-এর কথা সর্বকালের
জন্য। মানুষ সেখান থেকে পথ নির্দেশনা খুঁজে নেবে। করোনা ভাইরাসে সাধারণ মানুষের প্রতি
আহবান হলো ঘরে অবস্থান করা। কিন্তু ডাক্তার, নার্স, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেবাদানকারী
প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দেশনা হলো বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সেবাদান অব্যাহত
রাখা।
ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো ছোঁয়াছে বা সংক্রামক
যাই বলি না কেন, সেটা কার্যকর হবে আল্লাহর অনুমতিক্রমে। তাকদীর বিষয়টি আমাদের ঈমানেরই
অংশ। তাই দেখা যায়, ওমর (রা)-এর শাসনামলে সিরিয়া অভিমুখে রওনা হয়ে কাছাকাছি পৌঁছার
পর তিনি জানতে পারেন, সিরিয়ায় প্লেগ মহামারি দেখা দিয়েছে। সে সময়ে সিরিয়া যাওয়া না
যাওয়া নিয়ে সাহাবায়ে কেরাম মতৈক্যে উপনীত হতে পারেননি। আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা)
বর্ণিত হাদিসের প্রেক্ষিতে ওমর (রা) মদীনায় ফিরে আসেন। সেই মহামারিতে সেনাবাহিনী প্রধান
আবু ওবায়দাহ ইবনে জাররাহ (রা) ও পরবর্তী সেনাপ্রধান মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা)সহ ২০ হাজার
মুসলিম সৈনিক মারা যান। পরবর্তীতে আমর ইবনুল (আস) সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়ে বলেন, মহামারি
এক আগুন ও আমরা হলাম তার জ্বালানি, তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড় এবং বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলশ্রুতিতে
অবশিষ্ট সৈনিকরা বেঁচে যান।
হাসপাতাল, বাজার, মসজিদ, অফিস-আদালত, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সর্বত্র লোকসমাগম থেকে দূরে থাকার জন্য বারবার বলা হচ্ছে। আমাদের মাঝেও
মতপার্থক্য রয়েছে। কে ভাইরাস বহন করছে সেটি আমাদের অজানা, তাই নিরাপত্তার খাতিরে অধিকাংশ
মানুষ ঘরে অবস্থান করছে এবং মসজিদে না গিয়ে ঘরে নামায আদায় করছেন। আবার অনেকে আছেন
যারা তাকদীরের ওপর নির্ভর করে বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে মানতে রাজী নন। তবে সবাই ব্যক্তিগত
পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চায়।
ডাক্তার, নার্স, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে অবশ্যই তাকদীরের উপর নির্ভর করে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন
করতে হয়। মানুষ আল্লাহরই প্রতিনিধি। প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহর উপর নির্ভর করার পাশাপাশি
তার নিজের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা
সামগ্রীতে নিজেকে সজ্জিত করার পর একজন মুসলিম ডাক্তার-নার্স বলবে, আমি আমার আল্লাহর
উপর পূর্ণ নির্ভর করে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি, আল্লাহ আমার অভিভাবক ও তিনিই আমার
জন্য যথেষ্ট। এমতাবস্থায় তাঁর বান্দার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব হয়ে যায় আল্লাহর।
আর দায়িত্ব পালনকালে তার মৃত্যু হলে সেটি হবে শাহাদতের, সেটি হবে গৌরবের। জাতি এই সব
বীরদের আজীবন স্মরণ করে।
যুদ্ধের মাঠে কেউ শহীদ হলে মুনাফিকরা বলতো,
সেখানে না গিয়ে আমাদের সাথে থাকলে সে মারা যেত না। আল্লাহ তাদের কথার প্রতিবাদ করে
বলেছেন, মৃত্যুর সময় সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। আল্লাহর উপর এই দৃঢ় বিশ্বাসই
স্বল্পসংখ্যক মুসলিম বাহিনী বিশাল শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসাকিতার সাথে লড়াই করে
জয়ী হয়েছে। ইসলাম তার অনুসারীদেরকে এমন তাকদীরের উপরই নির্ভর করতে বলে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা
ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ ছাড়া আল্লাহর নামে ঝাঁপিয়ে পড়ার নাম তাকদীরের উপর বিশ্বাস
নয়। সেটি হবে পাগলামি। একজন মুসলিম ডাক্তার, নার্স বা সেবাদানকারী ব্যক্তিবর্গ তার
জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ও সব ধরনের সুরক্ষা সামগ্রীতে সজ্জিত হয়েও নিজের ওপর নির্ভর করবে
না, বরং সে বিশ্বাস করবে করোনা ভাইরাস তাকে মৃত্যু দেবে না বরং আল্লাহপাকের ইচ্ছাতেই
তার মৃত্যু হবে। ফলে সে স্বতস্ফুর্ত ও আন্তরিক হয়েই দায়িত্ব পালন করবে। আল্লাহপাক আমাদেরকে
সব ধরনের বিপদাপদ থেকে হেফাজত করুন। ০১.০৪.২০২০
Comments
Post a Comment