ফিলিস্তিনের হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যা করেছে তা এক বিস্ময়। মানুষের জ্ঞানে তা ব্যাখ্যা করা কঠিন। যেমনটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর আমেরিকাকে পরাস্ত করলো আফগানরা। আমি মনে করি সবই আল্লাহপাকের নিদর্শন। আমি করোনাকেও আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন মনে করি। এই করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বর্তমান বিশ্বের পরাশক্তি ইউরোপ ও আমেরিকা। তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান, আবিষ্কার শৌর্যবীর্য, সম্পদ সবকিছুকে আল্লাহ সাময়িকভাবে স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তা থেকে তারা শিক্ষা গ্রহণ করেনি। জালেম কখনোই উপলব্ধি করে না। একজন মুসলমান হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, মহান আল্লাহপাকের ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছু সংঘটিত হয় না।
মানুষের মৃত্যুর কথা শুনে আমরা পড়ে থাকি ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন। নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাবো। এই উক্তির মধ্য দিয়ে আমরা ঘোষণা দেই, আমাদের নিজস্ব বলে কিছু নেই, আমরা পরিপূর্ণ আল্লাহতে সমর্পিত। আমরা না নিজের, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের, আমরা পরিপূর্ণ আল্লাহর। এই সমাজে যা করি তা আল্লাহর পক্ষে, তাঁর মর্জি ও নির্দেশক্রমে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সীমিত জ্ঞান ও যোগ্যতা দিয়েছেন তা তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য। ফলে নিজ ইচ্ছা ও কারো নির্দেশনা মেনে আল্লাহর মর্জির বাইরে চলার কোনো সুযোগ নেই। এই পথে চলতে গিয়ে বিপদ-আপদ যা আসে তা আল্লাহ তায়ালার অনুমতিক্রমেই এবং দেখভাল করার দায়িত্বও আল্লাহর। কারণ তিনিই মুমিনদের অভিভাবক, মুমিনদের উচিত কেবল আল্লাহরই উপর ভরসা করা।
এই ফিলিস্তিনিরা পুরোপুরি আল্লাহরই উপর নির্ভর করেছে এবং তাদের কোনো পিছুটান ছিল না। কারণ তারা জানে ও অন্তরে অনুভব করে যে তারা আল্লাহরই কাছে ফিরে যাবে এবং তাদের দুঃখ-কষ্ট, জ্বালা-যন্ত্রণার চির অবসান ঘটবে। এই বিশ্বাসের বলে তারা হয় অসীম সাহসী, ভয়- ভীতির ঊর্ধ্বে। এমন কঠিন মনোবল ও আল্লাহর উপর নির্ভরতাই তাদেরকে ইসরায়েলের মতো জ্ঞান-বিজ্ঞান-যুদ্ধকৌশল ও তাদের মদদদাতা ইউরোপ-আমেরিকাকে গণনার বাইরে রেখে আক্রমণ করতে সাহস যুগিয়েছে। পরাজয় তাদের অভিধানে নেই। তাদের মৃত্যু শাহাদাতের মৃত্যু- এটা জানে তাদের শিশু-কিশোর-যুবক, বৃদ্ধ ও নারী-পুরুষ সকলে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। বাকি দায়িত্ব মুসলিম বিশ্বের। পরাজয় হলে সেটা হবে মুসলিম বিশ্বের। হে আল্লাহ! তুমি তোমার ও তোমার নবি এবং ঈমানদারদের শত্রু ইহুদিদের উপর মুসলমানদের বিজয় দান করো। আমিন।
Comments
Post a Comment