Skip to main content

এক বিস্ময় : বিগত পঞ্চাশ বছরে এতবড় হামলার সম্মুখীন হয়নি ইসরাইল।

 ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে উপর্যুপরি হামলা, হত্যা ও একের পর এক ভূমি দখল করে অবৈধ বসতি স্থাপন এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসায় নামাজে বাধাদান ও এর মর্যাদা ক্ষুন্ন করাসহ দেশে দেশে ফিলিস্তিনী নেতৃবৃন্দকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের ওপর এক বড়ো ধরনের হামলা করতে সক্ষম হলো সে দেশের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা। সত্যি এটা একটা বিস্ময়! এর ব্যখ্যাদান বড়ো কঠিন। আল্লাহপাকই ভালো জানেন। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে জানা যায় ইসরায়েলের সাতশ জন নিহত হয়েছে। গাজা এলাকায় বিমান হামলায় ৩৭০ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয় এবং কয়েক হাজার আহত হয়। শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দী করে হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে আসে।এটিই তাদের বড়ো সাফল্য। পাঁচ সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি ইসরাইলের কারাগারে বন্দী রয়েছে। যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে ইনশা-আল্লাহ। ইসরায়েলের পার্লামেন্ট এই ঘটনার প্রতিশোধে সর্বাত্মক যুদ্ধের  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ফলে ইসরায়েলের সরকার যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে হামলা করার অনুমতি পেল।

হামাসের সামরিক হামলায় বিশ্বব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকা তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে। ইরান, কাতার ফিলিস্তিনের পক্ষে বলেছে। ইসরায়েলের এক পার্লামেন্ট সদস্য কঠোর ভাষায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন ফিলিস্তিনের উপর দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের ফলশ্রুতিতে আজ ভয়াবহ হামলা। সাধারণ নাগরিকদের হামলার লক্ষবস্তু না বানানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন। তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ও সমাধানের লক্ষ্যে কূটনীতিক তৎপরতা জোরদার করার কথা জানিয়েছে। 

আমরা মজলুমের পক্ষে। ফিলিস্তিনি ভাই- বোনদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানের দায়িত্ব। যুদ্ধের একটি আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি রয়েছে যা রসুলুল্লাহ সা. দেড় হাজার বছর পূর্বে বলে গেছেন। আমরা আশা করবো উভয় পক্ষ সেটি মেনে বেসামরিক নাগরিক বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ এবং দেশের স্থাপনা বিশেষ করে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল যুদ্ধের বাইরে রাখবে। এই যুদ্ধ সহজে থামার নয়, দীর্ঘস্থায়ী রূপ নেবে। ইসরাইল পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র, তা সত্ত্বেও তারা যেকোনো সময় বোমা মেরে রাতারাতি যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে পারবে না। তাকে আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে মুসলিম ভাইদের পাশে দাঁড়ানোর তৌফিক দান করুন এবং এর স্থায়ী সমাধান হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় জোর সমর্থন জানাই। আমিন। ০৯.১০.২০২৩

Comments