Skip to main content

ঘানিম আল মুফতাহা- নিজেই এক প্রেরণা

ঘানিম এবারের বিশ্বকাপে প্রধান আকর্ষণ। সে তার সকল সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে যা আছে তাতে মহান রবের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। পা ছাড়া বাকি অঙ্গ- প্রত্যঙ্গকে কাজে লাগিয়ে সে উন্নতির শীর্ষে আরোহন করেছে। আলহামদু লিল্লাহ। অভিনন্দন ঘানিমের বাবা- মাকে। ঘানিমের মা বলেছিল, আমি হবো আমার ছেলের বাম পা এবং ঘানিমের বাবা হবে তার ডান পা। এই দম্পতি বিকলাঙ্গ সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি না করে এক সংগ্রামমুখর জীবন শুরু করেছিল এবং আজ তারা সাফল্যের চূড়ায়। 

টমাস আলভা এডিসনকে স্থুল বুদ্ধির কারণে স্কুল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এডিসনের হাতে তার মাকে দেয়ার জন্য একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়েছিলেন-  তাতে লেখা ছিল, আপনার ছেলে স্বল্প বুদ্ধির, তাকে আমাদের স্কুলে রাখা সম্ভব নয়। চিঠি পড়ে মা খুব কান্নাকাটি করেছিল। ছেলের জিজ্ঞাসার জবাবে মা এতটুকু বলেছিল, মেধার কারণে তোমার জন্য ঐ স্কুল উপযোগী নয়, আমিই তোমাকে পড়াবো। শুরু হয় মার সংগ্রাম এবং এই এডিসনই হন বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী। অনেক পরে মা নেই, মা'র পুরনো কাগজপত্র ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে সেই চিঠি পায়। চিঠি পড়ে এডিসন নিজেও খুব কান্নাকাটি করেছিল ও বলেছিল, এক মায়ের প্রচেষ্টায় স্বল্প বুদ্ধির এডিসন জগতসেরা মেধাবী হলো।

ভারতীয় প্রেসিডেন্ট ড. এপিজে আবদুল কালাম তাঁর লেখায় মাকে অনেক স্মরণ করেছেন। ড. কালাম যুব সমাজকে অনেক প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর একটি উক্তি - ঘুমিয়ে যা দেখো তা স্বপ্ন নয়, স্বপ্ন তাই যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না। মা-বাবার কাজ সন্তানকে স্বপ্ন দেখানো। সন্তানের সাথে বকাঝকা ও ঝগড়াঝাটি নয়, আদর নিয়ে যত্ন করে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বই। বই নিজেই আপনার সন্তানকে প্রেরণা যোগাবে ও উদ্দীপ্ত করবে। এখানে যেগুলো তুলে ধরলাম সেসবও সহায়তা করবে ইনশা-আল্লাহ।

Comments