আয়কর রিটার্ন তৈরি ও জমাদান এখন অনেক সহজ। আমি সবসময় আমার আয়কর হিসাব নিজেই করে থাকি। নড়াইল থেকে শুরু করেছি এবং সেটি আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন সেখানকার উপকর কমিশনার। তারপর নিজের ও বন্ধুদের কর হিসাব করে আসছি। বর্তমানে শুধু নিজেরটাই করতে হয়। কর্মজীবনে কখনো জাকাত দিতে হয়নি কিন্তু শুরু থেকে একেবারে হিসাব করে কর দিয়েছি। পরীক্ষায় খাতা দেখা অর্থও যোগ করে দেখিয়েছি। কোনো ছলচাতুরী করিনি।
জাকাত দিতে হয় উদ্বৃত্ত অর্থের কিন্তু আয়কর দিতে হয় আয়ের উপর। মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় হলেই তার আয় করযোগ্য হয়ে যায় যা বড়ো অমানবিক। এই অর্থ সচ্ছলতার পরিচায়ক নয়। ফলে তার পক্ষে কর প্রদান বেশ কষ্টদায়ক হয়। আবার আয় বেশি কিন্তু সংসারে লোকজন বেশি, তার পক্ষে কর দেয়াও কষ্টকর। কর দেয়ার ক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত লোকদের সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার।
বর্তমানে অনলাইনে কর দেয়া যায়। এছাড়া করপ্রদান অনেক সহজ করা হয়েছে এবং অফিসে ব্যবহারও ভালো। আমার রিটার্ন গতকাল সুন্দরবন কুরিয়ারে কুষ্টিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছি। পল্টনে আজ স্ত্রীর পক্ষে দিয়ে আসলাম। বর্তমানে আমাদের আয় করযোগ্য নয়। ফলে শুধু রিটার্ন দাখিল করতে হয়। স্বল্প আয় স্বল্প হিসাব এবং ভোগান্তি নেই। ইনশা-আল্লাহ আখেরাতেও আমাদের হিসাবটা হালকাই হবে। ধরুন, এই দাঁড়াবো আর আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হবে, যাও। কারণ আয় স্বল্প এবং আমাদের কোনো অতৃপ্তি নেই বা আল্লাহর প্রতি কোনো ক্ষোভও নেই। সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকলে ইনশা- আল্লাহ আখেরাতে আল্লাহপাকও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।
Comments
Post a Comment