জুয়া, মাদক ও ইন্টারনেট আসক্তি যুবসমাজকে চরম ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে

কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা রোকসানা খানম রুনা হত্যার আসামী আপন ভাইয়ের ছোট ছেলে নিশাতকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। অভিযোগ জুয়া খেলতে বাধা প্রদান। এর পূর্বে আমরা দেখেছিলাম ঐশী  নামে এক মেয়ে নেশার টাকা না পাওয়ায় খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ও মাকে একই সাথে হত্যা করেছিল।

ম্যাডাম রুমার পিতা ভেড়ামারা গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক মরহুম রওশন আলী। ম্যাডাম ছিলেন নিঃসন্তান  এবং পিতৃহীন ভাতিজা নিশাতকে (১৯) অত্যন্ত আদর- যত্নে বড়ো করেছেন। নেশার কাছে ফুপু, পিতামাতা এবং নিজের জীবনও তুচ্ছ। নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি যে কোনো সময়ে আত্মহননও করতে পারে।

আল্লাহপাক সকল নেশার দ্রব্যকে হারাম করেছেন। নেশার কবলে পড়ে কতজনের জীবন বিপন্ন হচ্ছে সে হিসাব আমাদের কাছে নেই। অনলাইনে নাকি জুয়া রয়েছে এবং ফুপু ভাতিজাকে অনলাইনে জুয়া খেলতে নিষেধ করেছিলেন। নিষেধের পরিণতি এই হত্যাকাণ্ড। খুনির হয়তো ফাঁসি হবে এবং ফাঁসি হওয়ায় উচিত। এটা দেখে অন্যরা সতর্ক হবে। 

সন্তান প্রতিপালন বাবা-মার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ছে। প্রযুক্তি যেমন আমাদের জীবনটা সহজ ও আনন্দদায়ক করেছে, তেমনি ভয়াবহ বিপদ নিয়ে এসেছে। আমরা এন্ড্রয়েড ফোন এখন আর বাদ দিতে পারবো না কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এজন্য সন্তানকে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন মিলে প্রচুর সময় দিতে হবে এবং নৈতিক শিক্ষা দান করতে হবে। চরিত্র গঠনে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। ছোট অবস্থায় সন্তানকে সাথে করে মসজিদে যেতে হবে। আল্লাহপাক নিজে নামাজ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।' আমরা যারা বাবা-মা আছি তাদেরকে ধমক না দিয়ে একত্রে খানা খাই, ঘুরে বেড়াই, নামাজে যাই এবং তাদের সাথে খেলাধুলা করি।

আল্লাহপাক সন্তান দ্বারা সকল বাবা-মার চোখকে শীতল করে দিন। 

আমরা ম্যাডামের মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর এই পর্দানশীন দাসীকে ক্ষমা করে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং তাঁর স্বামী ও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করুন। আমিন।