আজ ২৩ সেপ্টেম্বর। ১৯৮২ সালের এই দিনে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম-এ প্রভাষক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে আমার সরকারি চাকুরি জীবন শুরু। বেতন ছিল ৭৫০/- টাকা (বেতন স্কেল ৭৫০-১৪৭০)। অধ্যক্ষ মরহুম আবুল খায়ের চৌধুরী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন। হেডক্লার্ক ফরিদ সাহেব ছিলেন খুবই চৌকস ও আন্তরিক। অত্যন্ত দরদ দিয়ে সব কাজ সম্পন্ন করেন। বিছানাপত্রসহ পূর্ব কর্মস্থল বসুরহাট মুজিব মহাবিদ্যালয় থেকে সকালে রওনা হয়ে দুপুরে পৌঁছেছিলাম। স্থান হলো পুকুরপাড়ে শিক্ষকদের ডরমেটরিতে।
ডরমেটরিতে রুমমেট হিসেবে পেলাম জয়নাল ভাই ও করিমুল হক ভাই (মরহুম)-কে। আমার সাথে সাথেই যোগ দিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানের ড. মো. সিরাজুল হক (ডিজি অফিসে পরিচালক পদে অবসর গ্রহণ করেন) ও ইংরেজির মো. সিরাজুল করিম (রাঙামাটি কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন)। খুবই ঘনিষ্ট হলাম পাশে পরিবারসহ বসবাস করতেন বাংলার জহিরউদ্দিন মো. বাবর ভাইয়ের সাথে।
সকল স্টেশনেই আমি আমার কর্তপক্ষ, সহকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মচারী সবার ভালোবাসা নিয়েই কাটাতে পেরেছি। আমিও নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, সততা ও সদাচরণে কখনই অবহেলা করেনি। পারিবারিক ঐতিহ্য ও ছাত্রজীবনে ইসলামের ওপর চলার সুযোগ পাওয়ায় কর্মজীবনে সততা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে এবং কোনো অনৈতিক কাজ কখনই আমাকে প্রলুব্ধ করেনি। আলহামদু লিল্লাহ।
দীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক স্মৃতি ও ভালো লাগা রয়েছে। সুদীর্ঘকাল পরে বাবর ভাই ও জয়নাল ভাইকে আবিষ্কার করলাম। তাঁদের সাথে কথা হলো। সাতকানিয়ায় থাকাকালে আমাদের প্রথম সন্তানের জন্ম। মাহমুদ নামটি বাবর ভাইয়েরই দেয়া। ড. মো. সিরাজুল হক ভাইয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। অনেকের খোঁজ-খবর জানি না। সে সময়ে তো আর মোবাইল বা যোগাযোগের এতো সহজ মাধ্যম ছিল না।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি শেষে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে প্রফেসর ও উপাধ্যক্ষ পদে ০৫.০৫.২০১১ তারিখে অবসরজীবন শুরু করি। সে সময়ে মূল বেতন ছিল ২৯,৭৫০/- টাকা (বেতন স্কেল ২৫,৭৫০-৩৩,৭৫০)।
স্মৃতিকথা লেখার ইচ্ছা রয়েছে। আল্লাহপাকের মঞ্জুরিকৃত হায়াতটা কাজে লাগানোর জন্য সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকা দরকার। সুস্থতা আল্লাহপাকের বড় নেয়ামত। তাঁর কাছে দীর্ঘ হায়াত নয়, সুস্থ জীবন কামনা করি এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সবার কাছে দুআ চাই।
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment