দুই সপ্তাহ হলো বাড়ি এসেছি। এর পূর্বেও বাড়ি এসে থেকেছি। গ্রামে করোনা নেই এবং কোনো ভয়-ভীতিও নেই। গ্রামের মানুষ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। যেহেতু কোনো ভয়-ভীতি নেই, তাই মাস্ক ব্যবহার বা দূরত্ব বজায় রেখে চলা বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। হাটে-বাজারে, মসজিদে সর্বত্রই মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন। আমি নিজে মাস্ক ব্যবহার করি এবং সুযোগ পেলেই মানুষকে সতর্ক করি। এটি করি দায়িত্ব মনে করে এবং মনে করি, যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তারা উত্তম কাজটিই করে।
আমার বর্তমান উপলব্ধি, মানুষকে সতর্ক করা খুব বেশি প্রয়োজন নেই। কারণ বাস্তবেও করোনা নেই এবং করোনা না থাকার ফলে মানুষ সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনও অনুভব করেন না।
আল্লাহ তায়ালা গ্রামীণ জনপদের বাসিন্দাদের প্রাকৃতিক নিয়মেই সুরক্ষা দান করছেন। এটি তাঁরই অনুগ্রহ। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত পাশাপাশি দুটি ইউনিয়নে (বাহাদুরপুর ও মোকারিমপুর) করোনায় কেউ মারা যাননি। এই তথ্য দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয়দের। তাহলে আমরা কেন ভীতি সৃষ্টি করে তাদের জীবনযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করবো। বিয়েসাদী, খানাপিনা সবই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।
গ্রামে করোনা না থাকলেও দেশে করোনা রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করছে। গবেষকদের এখানে ভাবনা-চিন্তার খোরাক রয়েছে। তারা এটি নিয়ে গবেষণা করতে পারে।
গ্রামে সাধারণ পরিবহন - ভ্যান, অটো ও সিএনজি স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। হাটবাজার, দোকানপাট সবই স্বাভাবিক, বন্ধ কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিশু-কিশোররা শিক্ষাবিমুখ হয়ে নানা প্রকার অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকের নেশাসহ মোবাইল আসক্তি তাদের পেয়ে বসেছে। ফলে শিশু-কিশোররা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে গেছে। পিতামাতার অবাধ্য হওয়ার সাথে সাথে খানাপিনা ও ঘুমসহ সকল কাজেকর্মে অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে। বলা যায় বর্তমান প্রজন্ম বেয়াড়া হয়ে যাচ্ছে। জাতির এই ক্ষতি অপূরণীয়। অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জাতির এই সর্বনাশা অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ কামনা করছি।
Comments
Post a Comment