মমিনুল ইসলামের আইডি থেকে কপিকৃত। সাথে কিছু যোগ করা হয়েছে। মা-বাবাদের উদ্দেশ্যে।
(মোবাইল আসক্ত বলা যায়। বুঝিয়ে বললেও চরম বিরক্ত হয় তারা। এর চেয়ে বেশি শাসন করাও মুস্কিল হিতে বিপরীত হতে পারে। চোখ মাথা সবই যেন যায় যায়। অভিভাবকদের জরুরিভাবে ভাবার দরকার যদিও আমরা অসহায়। যদি শিশুদের জন্য বিকল্প কিছু থাকতো বা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিদ্যালয়গুলো পরিচালনা করা যেত অর্থাৎ শিক্ষাকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের রাস্তা হয়তো পাওয়া যেত। সকলের ভাবা উচিত, নয়তো এর থেকে আমাদের সন্তানেরা মুক্তি পাবে না।) পরের অংশটুকু আমার। শিশুদের জন্য অনলাইনে কোনো ক্লাস নয়। অন্তত এসএসসি পর্যন্ত (কোয়ান্টাম মেথডে ১৮ বছর পর্যন্ত স্মার্ট ফোন নিষিদ্ধ) তো নয়ই। মোবাইলের অধিক ব্যবহার নিয়ে ডা. প্রাণগোপাল দত্ত উপর্যুপরি সতর্ক করে যাচ্ছেন। এসএসসি পর্যন্ত সন্তানদের দেখভাল মা-বাবাকেই করতে হবে। মাতৃস্নেহ দিয়ে মা যেটা পারেন অন্য কেহ তা পারেন না। প্রতিদিন রুটিন করে বসুন এবং আদর-সোহাগ দিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করুন। কোনো বকাঝকা বা মারপিট নয়, সোহাগ দিয়ে যেটা হয় মাত্রাতিরিক্ত শাসন করে সেটি সম্ভব নয়। তাকে মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখার জন্য খেলাধুলার সুযোগ করে দিন এবং সন্তানের বন্ধুদেরও ভালোবাসুন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এ জাতির জন্য ফরজ হয়ে গেছে। চতুর্দিক থেকে জোরালো দাবী উঠছে। হয়তো ২/১ দিনের মধ্যেই খুলে দেয়া হবে। খুলে দেয়া না হলে আপনার সন্তানের জন্য টিউটর দিন। সন্তান আপনার, ধ্বংস হলে ভোগান্তি আপনার। আপনার দুঃখ কেউ বুঝবে না বা কেউ এগিয়েও আসবে না। সন্তান বড় হয়ে গেলে তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দিন। সুযোগ পেলে নছিহত করুন যেমনটি করেন অন্যদের ক্ষেত্রে। তাতে আপনার পেরেশানি কমবে। চাইলেও আপনার মনের মতো সবসময় পাবেন না। হয়তো আল্লাহর মঞ্জুরি নেই। তাই আল্লাহর কাছেই চান। ইংরেজিতে বহুল প্রচলিত Nurse the baby, protect the child and free the adult- সন্তানের জন্য আপনি এটি প্রয়োগ করুন। বয়স বাড়লেও সব গাছ সারি (পরিপক্ব) হয় না। এটি প্রকৃতিরই নিয়ম। তাই অহেতুক দুশ্চিন্তা করে নিজেকে ধ্বংস করতে যাবেন না। মানুষ ঠেকে শিখে। তাই তাকে শিখতে দিন। অনেক বিলম্ব হয়ে যাবে। সন্তানের ক্ষতি হয়ে যাবে। কিছু করার নেই। এটিই প্রকৃতি। আবার বলছি, আপনি যত্ন নিন স্কুলপড়ুয়া সন্তানের প্রতি। এই সময়টা খুবই নাজুক। গড়ে তোলা, গড়ে ওঠার সময়। বিচ্যুতি ঘটলে আপনার সর্বনাশ হয়ে যাবে। সন্তানকে যদি নামাজে অভ্যস্ত করাতে পারেন আপনি একজন সফল মা-বাবা। সন্তানকে মানুষ করার ক্ষেত্রে আপনার ৫০% শ্রম বেঁচে গেল। আল্লাহর রসুল (সা)-এর কথা তো আর মিথ্যা নয়। নামাজের জন্য সাত বছর থেকে তাগাদা এবং দশ বছরে মারতে বলেছেন (শাসন)। নামাজের জন্য সন্তানকে মেরেছেন বা খাবার বন্ধ করেছেন - আপনার কি মনে পড়ে? আল্লাহপাক জোর দিয়ে বলেছেন, 'নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।' মুসলিম হলে আল্লাহর এই ঘোষণার ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রাখুন এবং সন্তানকে মসজিদে পাঠিয়ে আপনি নিরাপদ হয়ে যান। হ্যাঁ, নামাজ মসজিদে পড়ার বিষয় এবং মসজিদেই যেতে হবে যদি সন্তান প্রতিবন্ধী না হয় অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়ার ভয় না থাকে। হতাশ হবেন না, আপনার সন্তান ধ্বংস হয়ে যায়নি। সন্তানকে সময় দিন, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। ইনশা-আল্লাহ সে আপনার মনের মতো হয়ে যাবে। সন্তানের জন্য মাতা-পিতার দোয়া খুবই কার্যকর। দোয়ার সাথে দাওয়া (প্রচেষ্টা) আবশ্যক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবারও বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা সন্তান দ্বারা মাতা-পিতার চোখকে শীতল করে দিন। আমিন।ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment