Skip to main content

তাকওয়া মসজিদে মাগরিব আদায়

আমার পছন্দের একটি মসজিদ। এই মসজিদকে কেন্দ্র করে অনেক সামাজিক কাজ হয়। এখানে রয়েছে একটি হিফজ মাদ্রাসা, এ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি দাতব্য চিকিৎসালয় এবং নিয়মিত সাপ্তাহিক তাফসির ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আলোচনা হয়ে থাকে। মাইয়াতের গোসল ও ফ্রি কাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দুর্যোগে ব্যাপক ত্রাণসামগ্রী এখান থেকে বিতরণ করা হয়। মসজিদে কালেকশনও বেশ ভালো। গত জুমু'আয় দানবাক্সে আদায় হয়েছে নব্বই হাজার টাকা। খতিব মহোদয় ও দুই জন ইমাম খুবই যোগ্য ও আন্তরিক। তাঁদের সাথে আমার বেশ সখ্যতা রয়েছে। আলহামদু লিল্লাহ। মাগরিবের নামাযের পূর্ব দিয়ে প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারুফ খুবই সংক্ষিপ্তভাবে নিয়মিত কিছু বলেন। আযান প্রসঙ্গে আজ তিনি বলেন, আযান দেবেন পুরুষ, বালেগ ও সুস্থ মানুষ। রসূল (সা)-এর সময় মুয়াজ্জিন হিসেবে হযরত বিলাল (রা), উম্মে মাকতুম (রা) প্রমুখের নাম তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রেকর্ড বাজিয়ে আযান দিলে আযান হবে না। নামাযের শেষে সম্মিলিত মোনাজাত খতিব মহোদয় আগেই ছেড়ে দিয়েছেন। আজকে লক্ষ্য করলাম, ইমাম সাহেব নামায শেষ করে মোনাজাত ছাড়াই তাঁর কামরায় চলে গেলেন। ২০১২ সনে হজ্জে গিয়ে ইমামের সাথে হাত তুলে সামষ্টিক মোনাজাত আমি ছেড়ে দিয়েছি। সে সময়ে ড. আব্দুল্লাহ বিন বাজ (রহ)-এর লেখা 'রসূল (সা)-এর নামায' সম্পর্কে খুব সংক্ষিপ্ত একটি বাংলা বই হাজী সাহেবদের দেয়া হয়েছিল। সেই বইটি আমার মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আমি ড. বাজের মাগফিরাত কামনা করি। কোনো কিছু গ্রহণ ও বর্জনে আমার একটুও বাধে না। আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সা)-এর হুকুম সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হলো 'শুনলাম ও মেনে নিলাম'। যেটিকে সুন্নাহ বলে জানি সেটি তাৎক্ষণিক গ্রহণ করি এবং যার পেছনে সুন্নাহর সমর্থন নেই সেটি ছেড়ে দেই। আমি নিজে হানাফি মাজহাবের অনুসারী হলেও মাজহাব নিয়ে বিরোধকে ঘৃণা করি এবং আহলে হাদিসসহ সকল মাজহাবকে সহীহ মনে করি। আল্লাহপাক দ্বীনের উপর অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন। ১৫.১২.২০২০

Comments