Skip to main content

মুসলমানের কল্যাণ কামনা করা

হাদিসের পাঠ জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সা)-এর হাতে সালাত কায়েম, যাকাত দেবার ও প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কল্যাণ কামনা করার শর্তে বায়'য়াত গ্রহণ করেছি। বুখারী ও মুসলিম। বায়'য়াত শব্দের অর্থ বিক্রি করে দেয়া। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যখন কারো হাতে কোনো বিষয়ে বায়'য়াত গ্রহণ করে তখন সে এ ওয়াদাই করে যে, সারাজীবন সে তার ওয়াদা মেনে চলবে। এখানে তিনটি বিষয়ে বায়'য়াত করা হয়েছে। প্রথমত, নামায কায়েম করবে এবং এব্যাপরে কোনো শৈথিল্য প্রদর্শন করবে না। দ্বিতীয়ত, যাকাত আদায় করবে। তৃতীয়ত, কোনো মুসলমানের ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু করবে না এবং সর্বদা কল্যাণ কামনা করবে। দুর্ভাগ্য, মুসলমানদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও কল্যাণ কামনা একেবারেই অনুপস্থিত। তদস্থলে পরস্পরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ-ঘৃণা এবং ক্ষতি সাধনের প্রবণতা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। একে অপরের মান-ইজ্জত-সম্মান ও সম্পদ লুণ্ঠনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এ সম্পর্কীয় অনেকগুলো হাদিস দেখলাম। আর আল্লাহপাক নিজেও মুসলমানদের পরস্পরের ভাই হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে দাও এবং পরস্পরের জন্য সর্বদা কল্যাণকামী হওয়ার তাওফিক দান করো। আমিন। ১৬.১২.২০২০

Comments