জুমের মাধ্যমে সেমিনার
আজ সন্ধ্যা ৬-০০ টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (BIIT) –এর উদ্যোগে ‘আলেম সমাজের ঐক্য : মতবিরোধের ইসলামী পদ্ধতি’ শীর্ষক সেমিনারটি বড় সময়োপযোগী। উম্মাহর মাঝে ঐক্যের প্রচন্ড আকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা আলেম সমাজকেই রাখতে হবে। মতপার্থক্য সাহাবায়ে কেরাম এবং তৎপরবর্তী সময়েও ছিল। মতপার্থক্যের কারণেই বিভিন্ন মাযহাবের উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু এই মতপার্থক্যের কারণে কখনই শত্রুতা বা দলাদলি বা উম্মাহর মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি হয়নি। আলোচকদের মাঝে একজন বলেন, ইমাম শাফেয়ী (রহ) ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ)-এর কবরসংলগ্ন মসজিদে নামায আদায়ের সময় রফে ইয়াদাইন ছেড়ে দেন। তাঁর অনুসারীরা জানতে চান, তিনি রফে ইয়াদাইন একেবারে ছেড়ে দিলেন কি না? জবাবে বলেন, না- এখানে যিনি শায়িত আছেন তাঁর সম্মানার্থে ছেড়ে দিয়েছি। এমন শ্রদ্ধাবোধ ছিল পরস্পরের প্রতি।
মতপার্থক্য সবই সুন্নাত-মুস্তাহাব নিয়ে। উম্মাহর মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি করা কুফুরি (এ প্রসঙ্গে আমার একটি প্রবন্ধ আছে)। আল্লাহপাক বলেন, তোমরা আল্লাহর রজ্জু শক্তভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। অথচ আমরা কী করছি? প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমাদের কী শেখায়? ফরজ লঙ্ঘিত হলে নামায পুনরায় পড়তে হয়, ওয়াজিব ছুটে গেলে সহু সেজদার মাধ্যমে ঠিক করে নিতে হয়; আর সুন্নাত-মুস্তাহাবের ভুলে নামাযের মতো ইবাদতে কোনো সমস্যা হয় না। অথচ এই সব আমল নিয়ে আমাদের যতো ঝগড়া-ঝাটি।
রাত ৮-০০টায় সেন্টার ফর পিস এন্ড ডায়ালগ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘বৈষয়িক উন্নয়নে হালাল-হারাম’ শীর্ষক আর একটি সেমিনার। ইসলাম চায় দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ (আল্লাহর শেখানো মুনাজাত)। নামায সমাপনান্তে রুজির জন্য বেরিয়ে পড়তে বলেছেন এবং সেই অবস্থায় আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করার কথাও বলেছেন। আল্লাহর স্মরণ অর্থ হালাল-হারাম বেছে চলা। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরি, চাষাবাদ সবক্ষেত্রেই হালাল-হারামের প্রশ্ন রয়েছে। হালাল রুজি ইবাদত-বন্দেগীর পূর্বশর্ত। দুর্ভাগ্য, হালাল রুজি অন্বেষণে আমাদের অবস্থান খুবই দুর্বল। হারাম উপার্জন অর্থই আর একজনের প্রাপ্য আত্মসাৎ করা।
সমায়োপযোগী সেমিনার আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা রইলো। ১৯.১২.২০২০।
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment