একজন মুসলিম হিসেবে আত্মোন্নয়ন বলতে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভের লক্ষ্যে নিজেকে গড়ে তোলা বুঝে থাকি। ইসলামে যেমন বৈরাগ্যবাদ নেই, তেমনি নিরেট দুনিয়াপুজারী স্বার্থপরতাও নেই। ইসলাম মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী একটি দ্বীন। দুনিয়ায় ধন-সম্পদ, মান-ইজ্জত ও ক্ষমতায় বড় হওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামে কোনো বাধা নেই। তবে অবশ্যই তা নীতি-নৈতিকতা ও আল্লাহর বিধানের সীমারেখার মধ্যে হতে হবে। ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো, মনিব-ভৃত্য, মালিক-শ্রমিক, শিক্ষিত-অশিক্ষিত ও নারী-পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই এবং কোনো কিছুর মাঝে শ্রেষ্ঠত্বও নেই, শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে কেবল তাকওয়ায়; যে আল্লাহকে বেশি ভয় করে সেই আল্লাহর কাছে বেশি মর্যাদান। হাবশী গোলাম হযরত বেলাল (রা)ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী খলিফা হযরত ওছমান গণি (রা)-এর মধ্যে মর্যাদায় কোনো পার্থক্য ছিল না। মি’রাজ থেকে ফিরে এসে রসূল (সা) বলেন, জান্নাতে বিলালের পদধ্বনি শুনতে পেলাম। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের তাঁর কাছে প্রার্থনার ভাষা শিখিয়ে দিয়েছেন, ‘হে আমাদের রব! তুমি আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দান করো’। দুনিয়ায় কল্যাণ (ধন-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও মান-ইজ্জত) লাভের লক্ষ্যে যে কর্মপ্রচেষ্টা তা দ্বীনে...
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ