ধানমন্ডি মেয়ে-জামাইয়ের বাসায় আসলে তাকওয়া মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়। লেকের পাড়ে খোলামেলা এবং চতুর্দিকে রাস্তা এক মনোরম পরিবেশে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত। মসজিদটি বেশ দৃষ্টিনন্দন। তার চেয়েও বেশি প্রশংসার দাবিদার সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য।
মসজিদ উত তাকওয়া শুধু সেজদাগাহেরই নাম নয়। নামাজের পাশাপাশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং নানাবিধ সমাজকল্যাণমূলক কাজকর্ম পরিচালিত হয় এই মসজিদ থেকে। এই মসজিদের নিচতলা পুরোটাই মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত এবং জুমায় মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যায়।
এখানে একটি উন্নতমানের মাদ্রাসা, এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয়, মুর্দার গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা, সাপ্তাহিক তাফসিরুল কুরআন, বিভিন্ন দিবসে অনুষ্ঠানাদি এবং শীত, বন্যা ও নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা হয়। মাগরিবের পূর্বে সংক্ষিপ্ত হাদিস পাঠ এবং ফজরের পরে পঠিত আয়াতসমূহের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এককথায় এক জীবন্ত মসজিদ।
সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের কারণে এখানকার মুসল্লিরা উদার হস্তে দান করেন। গত ২রা সেপ্টেম্বর জুমায় দানবক্সে আদায় হয়েছে এক লক্ষ সাতানব্বই হাজার টাকা।
★ কুরআন থেকে পাঠ
আজকে ফজরে দ্বিতীয় ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশীদ তেলাওয়াত করেন সুরা তওবার ৯০-১০৪ আয়াত। নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
এই সুরায় অন্যান্য আলোচনার সাথে তবুক যুদ্ধের প্রাক্কালে ও যুদ্ধ শেষে পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওজর ছাড়া যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য যারা রসুলুল্লাহ সা.-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেছিল তাদেরকে মুনাফিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ও তাদের কঠিন পরিণতির কথা বলা হয়েছে। বান্দাদের প্রতি জুলুম করা আল্লাহর ইচ্ছা নয়। তাই যারা শারীরিক অসুস্থতা ও যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে যুদ্ধে যেতে পারেনি তাদেরকে ক্ষমা করার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ ও তাঁর রসুলের সা. প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে অথচ গাফিলতির কারণে যেতে পারেনি অনুতপ্ত হওয়া ও তওবা করার কারণে তাদেরকেও ক্ষমা করা হয়েছে।
এখান থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হলো আল্লাহর ফরজকৃত কোনো বিধান বিনা ওজরে পালন না করার কোনো সুযোগ নেই। নামাজের বিষয়টিও তেমনই। ইমাম সাহেব আল্লাহর সকল বিধান যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পালনের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে তৌফিক কামনা করেন।
Comments
Post a Comment