Skip to main content

মৃত্যু আমাদের কতো নিকটবর্তী!

আমি নিজেই আজকে মৃত্যু নিয়ে দু'টি পোস্ট দিলাম। একটি আমাদের অগ্রজ ইঞ্জিনিয়ার জালাল ভাই ও অপরটি আমার ফুফু শাশুড়ির। দু’টিই আকস্মিক মৃত্যু এবং চিকিৎসার সুযোগও পাননি। করোনা, এক্সিডেন্ট, হার্টএ্যটাক, ব্রেনস্ট্রোক কতোভাবেই না মানুষের মৃত্যু ঘটছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক (অব) ও রাজশাহী মহানগরী মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম স্যার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মসজিদ মিশনের দায়িত্ব পালন করার কারণে স্যারের সাথে আমার পরিচয় ছিল। 

এতো পোস্ট দিচ্ছি, জানাজা ও দাফনে শরীক হচ্ছি এবং প্রতিদিন মৃত্যুজনিত পোস্টে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন পড়ছি, কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো উপলব্ধি নেই। প্রতিটা মৃত্যু ও ইন্না লিল্লাহ পড়ার মধ্য দিয়ে একটিই বার্তা আমরা পাই যে আমরা কেউ এখানে স্থায়ী নই। আমরা শীঘ্রই আল্লাহর কাছে ফিরে যাবো। 

আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের জন্য অত্যন্ত দয়ার্দ্র, তিনি তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে চান। আমরা প্রতিনিয়তই আল্লাহর নাফরমানি করছি। তওবা করে পরিশুদ্ধ হলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন। আর যদি সে সুযোগ না পাই তাহলে পরিণতি কী হবে? আমরা কি সেটা নিয়ে ভাবি? অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, মৃত্যু নিয়ে আমাদের কারো কোনো ভাবনা নেই।

মৃত্যু আসার পূর্বেই সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। আমার ধন-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি, জ্ঞান-বুদ্ধি কোনো কিছুই কাজে আসবে না। আমরা কেন এতো নির্বোধের মতো নির্বিকার রয়েছে? নামাজের মতো মৌলিক ইবাদতেও আমরা নিষ্ঠাবান নই। মৃত্যুর পরে আমাদের প্রথম জবাবদিহি হবে নামাজ নিয়ে। আমরা যে মুসলমান তার প্রমাণ ও দলিল হলো নামাজ। একজন নামাজি ব্যক্তি আল্লাহর দরবারে ক্ষমাপ্রাপ্তির আশা করতেই পারে। অন্যথাই কোনো আশা-ভরসা নেই।

আসুন, আমরা মৃত্যুর জন্য সর্বক্ষণ প্রস্তুত থাকি। সকল হিংসা-বিদ্বেষ ও সবধরনের জুলুম থেকে নিজেকে মুক্ত রাখি এবং নামাজ-রোজার মতো মৌলিক ইবাদতে একনিষ্ঠ হই। মৃত্যু পরবর্তী জীবন অনন্তকালের এবং সেই জীবনের স্থায়ী সুখের জন্য একটু কষ্ট করি। হিংসুক ও জালেমের জন্য জান্নাতে কোনো অংশ নেই। আমরা হিংসা ও জুলুম থেকে নিজেদের মুক্ত রাখি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন।

Comments