করোনা থেকে আত্মরক্ষা

দেশে হঠাৎ করেই করোনার দ্রুত বিস্তার ঘটছে। সাধারণত সর্দি-কাশির মতো ছড়াচ্ছে। আমার নিজের পর্যবেক্ষণ- করোনা শিশু, কিশোর ও যুবকদের জন্য তেমন হুমকি নয়। কিন্তু এরা করোনা ছড়াচ্ছে এবং অনেক সময় বুঝতেও পারছে না। জ্বর, কাশি হলে ২/১টা প্যারাসিটামল খেলে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তারা সহজেই রেহাই পাচ্ছে। বয়স্ক ও বিভিন্ন রোগ-ব্যধিতে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য করোনা ভয়ঙ্কর সমস্যা। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু ১.৫%। এটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। মাস্ক সবাইকে পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া শিশু-কিশোর-যুবক কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এটি অভিভাবকেই নিশ্চিত করতে হবে। দূরত্ব বজায় রেখে চলা ও ঘন ঘন হাত ধোয়ার গড়ে ওঠা অভ্যাস আবার জোরদার করতে হবে। করোনা পরীক্ষা করে পজিটিভ আসলে সেটি গোপন করা ঠিক নয়। তাতে অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সেটি হবে গুনাহের কাজ। সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে শারীরিক পরিশ্রম/ব্যায়াম, প্রতিনিয়ত শরীরে রৌদ্র লাগানো, পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, পরিমিত পানি পান, নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার ইত্যাদির ওপর। ডা. জাহাঙ্গীর কবীরের এ সম্পর্কীয় অনেক ভিডিও রয়েছে। পুরুষের চেয়ে নারীর আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ও মৃত্যু অনেক কম (এক তৃতীয়াংশ)। এই কমের পেছনে কারো কারো পর্যবেক্ষণ, যে সব মহিলা নিজেরা রান্নার সাথে সংযুক্ত তাদের ঝুঁকি কম। অনেক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এসি একেবারেই বাদ দিতে হবে। এবারে করোনাকে যে ক্ষমতা দিয়ে আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন, বলা যায় অনেকটা ভালো। শিশু, খেটে খাওয়া হতদরিদ্র, কুলি-মজুর প্রাকৃতিকভাবেই কিছুটা সুরক্ষা পাচ্ছে। আব্বা-আম্মার কাছে শুনেছি, অতীতে কলেরা গ্রামকে গ্রাম ধ্বংস করে দিয়েছে। সেসময়ে হতদরিদ্ররাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারে আমরা যারা ভদ্রলোক ও ধনী, তারাই বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি যেমনটি বিশ্বের ধনী ও প্রভাবশালীরাই করোনার টার্গেট। আমি বারবার বলতে চেয়েছি, করোনা আমাদেরকে সতর্ক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে অনেকে আল্লাহমুখি হয়ে পড়েছে। যারা পেরেছে তারা সত্যিই ভাগ্যবান। যারা পারেনি তারা দুর্ভাগা। সমাজের প্রভাবশালী ও শাসকগোষ্ঠী যদি সৎ হয় সমগ্র দেশবাসী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৎ হয়ে যায়। এই শ্রেণির লোকদের তাওবা ও সৎ জীবন-যাপনে করোনা দূর হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। আল্লাহপাক তাওবাকারী ও ক্ষমাপ্রার্থীকে পছন্দ করেন। হে আল্লাহ! তুমি করোনা থেকে আমাদের হেফাজত করো এবং তোমার একনিষ্ঠ বান্দা হিসেবে কবুল করো। আমিন। ০২.০৪.২০