আমরা যে যাই বলি, মৃত্যুকে ভয় পায় না এমন লোক বিরল। হয়তো বলবেন, মৃত্যু নয় মৃত্যুর মালিককে আমি ভয় পাই। মৃত্যুর মালিককে ভয় পেলে ভালো হয়ে চলার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকে না।
মৃত্যুর সেই মালিকই সতর্ক করেছেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মরো না।
নিজের মৃত্যুকে স্মরণে রেখে দুনিয়ার জীবন পরিচালনার জন্য একজন বিশ্বাসী বান্দা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে এটিই স্বাভাবিক। আমরা কেউ জানি না, মৃত্যুর ক্ষণটি কখন কার জীবনে কিভাবে চলে আসবে? মৃত্যুর কথা স্মরণে রাখার জন্য রসুলল্লাহ (সা) তাঁর উম্মতকে কতভাবেই না সজাগ করেছেন ও কবর জিয়ারতের তাগিদ দিয়েছেন যে কবরে আমাদের প্রিয়জনরা রয়েছেন।
আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের সতর্ক করার জন্য করোনার মতো মহামারি দিয়েছেন। করোনা ভীতি আমাদের সর্বদা তাড়া করছে। এই মৃত্যুর মিছিলে সমাজের উচ্চবিত্ত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরই আধিক্য লক্ষ করা যাচ্ছে। ফেসবুক তাই বলছে। আমরা প্রতিনিয়তই দোয়া করছি। কিন্তু ব্যক্তি ইমান ও নেক আমলে সমৃদ্ধ না হলে কি কোনো লাভ আছে?
করোনার পাশাপাশি চলছে রমজান মাস। মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র হওয়ার মাস। তারপরও কি জুলুম বন্ধ হয়েছে? আল্লাহপাক জালেম ও জালেমের সহযোগিদের জন্যই তো প্রস্তুত রেখেছেন জাহান্নাম। জালেম করোনা বুঝে না এবং বুঝতে পারে না রমজানের মাহাত্ম্য। বরং করোনা ও রমজানকে আরো জুলুম করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। আসলে এরাই হতভাগা। আখিরাতকে বিসর্জন দিয়ে দুনিয়ার জীবনটাকে গ্রহণ করেছে। আল্লাহ জালেমদের সত্য উপলব্ধি থেকে বঞ্চিত রাখেন। তিনি তাদেরকে ভুলে যান না। শক্ত করে ধরার জন্য অবকাশ দেন মাত্র।
আলহামদু লিল্লাহ। এই করোনা ও রমজানের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর অগণিত বান্দাকে হেদায়াত দান করেছেন। এরাই ভাগ্যবান। অভিনন্দন তাদেরকে।
আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন ও তাঁর পথে চলাটা সহজ করে দিন। আমিন।
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment