Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2021

লকডাউন : দোকানপাট খোলা কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ

প্রতিবারই লকডাউনে দেখা যায় ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে মানুষের স্রোত আবার লকডাউন শিথিল করে দোকানপাট খোলার ঘোষণার প্রেক্ষিতে ঢাকামুখি মানুষের স্রোত। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষের আসা-যাওয়া বন্ধ থাকে না। এতে সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগের সাথে অনেক ব্যয়ও করতে হয়। আমার উপলব্ধি- গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি না হলেও অনেকাংশেই মানা হয়। মাস্ক ছাড়া বাসে উঠা যায় না এবং দুই সিটে একজন করে চলাচল করে। কিন্তু বাস বন্ধ থাকলে ট্রাকে বা নৌকায় ঠিকই ঠাসাঠাসি করে আসে। আবার ঈদ সামনে করে ঘরমুখো মানুষের ভীড় হবে। ২৯ তারিখ থেকে গণপরিবহনে লকডাউন উঠায়ে নিলে মানুষ স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারতো। ঈদের আগে সময় যত কম হবে ভীড় তত বাড়বে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে গণপরিবহন চালু করার জন্য আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি। উন্নত দেশসমূহেও লকডাউনে মানুষের ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং কার্যকর করতে সরকারকে হিমসিম খেতে হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে লকডাউনে মানুষের আয়-রোজগারের ওপর টান পড়ে এবং তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। আসলে লকডাউন না, দরকার কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন। মাস্ক পরা, ঘনঘন হাত ধোয়া ও দূরত্ব বজায় রেখে চলায় অভ্যস্ত করতে পারলে আল্লা...

করোনা নিয়ে যত ভাবনা

বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ে প্রতিদিনই রেকর্ড হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ১৮ কোটি লোকের বাস এই দরিদ্র দেশটি আল্লাহপাকের অশেষ কৃপায় বেশ ভালো ছিল। আমার মনে হয়, আল্লাহর অনুগ্রহের তেমন শুকরিয়া আমরা আদায় করতে পারিনি। করোনা নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। চূড়ান্ত কথা কেউ বলতে পারছে না। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে সেরা দেশগুলো করোনায় বড় নাজেহাল। আমি নিজে করোনা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছি এবং জনসচেতনতার লক্ষ্যে করোনার এখনো আপডেট দিয়ে থাকি। তাতে অনেকে মনে করেন, আমার পোস্টে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আবার অনেকে মনে করেন, এসব তথ্য সঠিক নয়। অন্তত সাধারণ মানুষ তাই মনে করে। করোনার শুরু থেকে একেবারে ঘরে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম এবং ঘরকেই মসজিদ বানিয়ে নিয়েছিলাম। ঈদের নামাজও ঘরে পড়েছি। এবার মনে করছি, গর্তে লুকিয়ে থাকবো না, নিয়মিত মসজিদে যাব এবং সতর্ক থাকবো। বাকিটা দেখভালের দায়িত্ব আল্লাহর। ছেলেকে সাথে করে আজকে বাজারে গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড ভীড়। পা রাখার জায়গা নেই। আমি তো গেলাম ও আসলাম। মাস্ক পরে বাজার করে দ্রুতই ফিরে আসলাম। কিন্তু যারা সর্বক্ষণ বাজারে আছে- দোকানের কর্মচারী, ফলবিক্রেতা, রিক্স...

ফেসবুক প্রতিনিয়ত আমাদের মৃত্যুর কথা স্মরণ করে দিচ্ছে

আমরা যে যাই বলি, মৃত্যুকে ভয় পায় না এমন লোক বিরল। হয়তো বলবেন, মৃত্যু নয় মৃত্যুর মালিককে আমি ভয় পাই। মৃত্যুর মালিককে ভয় পেলে ভালো হয়ে চলার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকে না। মৃত্যুর সেই মালিকই সতর্ক করেছেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মরো না। নিজের মৃত্যুকে স্মরণে রেখে দুনিয়ার জীবন পরিচালনার জন্য একজন বিশ্বাসী বান্দা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে এটিই স্বাভাবিক। আমরা কেউ জানি না, মৃত্যুর ক্ষণটি কখন কার জীবনে কিভাবে চলে আসবে? মৃত্যুর কথা স্মরণে রাখার জন্য রসুলল্লাহ (সা) তাঁর উম্মতকে কতভাবেই না সজাগ করেছেন ও কবর জিয়ারতের তাগিদ দিয়েছেন যে কবরে আমাদের প্রিয়জনরা রয়েছেন। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের সতর্ক করার জন্য করোনার মতো মহামারি দিয়েছেন। করোনা ভীতি আমাদের সর্বদা তাড়া করছে। এই মৃত্যুর মিছিলে সমাজের উচ্চবিত্ত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরই আধিক্য লক্ষ করা যাচ্ছে। ফেসবুক তাই বলছে। আমরা প্রতিনিয়তই দোয়া করছি। কিন্তু ব্যক্তি ইমান ও নেক আমলে সমৃদ্ধ না হলে কি কোনো লাভ আছে? করোনার পাশাপাশি চলছে রমজান মাস। মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র হওয়ার মাস। তারপরও কি জুলুম বন্ধ হয়েছে? আল্লাহপাক জালেম ও জালেমের সহযোগিদের জন্যই তো প্রস্তুত রেখেছ...

করোনায় মৃত্যুর অন্যতম কারণ এসি

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সচেতনা সৃষ্টি ও করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে আমেরিকাপ্রবাসী আমার ছেলে প্রকৌশলী মো. মাহমুদুর রহমান রনি গতকাল পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে রাত দশটায় একটি জুম মিটিং-এর আয়োজন করে। সেখানে ১১ জন সদস্য শরীক হন। পিএইচডি গবেষণারত রনি তার নিজের গবেষণার পাশাপাশি করোনা নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছে। তার গবেষণা আমেরিকায় একটি সায়িন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিতও হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি এবং তার গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশে হঠাৎ করে ব্যাপক করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের সচেতন করার লক্ষ্যেই তার এই আয়োজন। বাংলাদেশে করোনার বিস্তৃতির কারণ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে সে কিছু কাজ করতে চায়। গবেষণার লক্ষ্যে তার তথ্য প্রয়োজন। তথ্য সংগ্রহে ঢাকায় অবস্থানরত তার দুই ভাই লতিফুর রহমান, আতিকুর রহমান, খালাতো ভাই আহমেদ জুবায়ের, ফুফাতো ভাই তামিমসহ আরো অনেকের সহযোগিতা গ্রহণ করছে। তার টিমে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছে লতিফুর রহমান (মোবাইল নং ০১৬৭৮-০৩৬৯৮৪)। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরা রোগীদের প্রশ্নমালার মাধ্যমে তথ্য, হাসপাতালে...

খুতবা

মসজিদ আমাদের মিলনস্থল, শক্তিকেন্দ্র। ইমাম আমাদের নেতা। রসুলল্লাহ (সা)-এর স্থলাভিষিক্ত। প্রতিদিন পাঁচবার আমরা একত্রিত হই। ইমামের আনুগত্যের মহড়া দেই। শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের সবক নেই। একটি সুশৃঙ্খল ও আনুগত্যশীল জাতি বিশ্ব জয় করতে পারে। সাপ্তাহিক জুমায় বড় পরিসরে আমরা হাজির হই। ইমামের খুতবা (বক্তৃতা) শোনা আবশ্যিক (ওয়াজিব) এবং এতো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয় যে, পাশে কেউ কথা বললে ভাই চুপ করো, তাও বলা যায় না। ইমামের প্রতি এতো ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সম্মান এবং তা আল্লাহ ও তাঁর রসুল (সা) প্রদত্ত। ইমাম/খতিবের বক্তৃতা শোনার জন্য মুসল্লিরা প্রস্তুতিসহ সকাল সকাল উপস্থিত হবে এটিই স্বাভাবিক। আগমনের প্রক্ষিতে ফেরেশতারা ছওয়াব লিখতে থাকে- উট, গরু, ছাগল কুরবানির ছওয়াব। খতিব মহোদয় মিম্বরে আরোহনের সাথে সাথে ফেরেশতারা ছওয়াব লেখা বন্ধ করে খুতবা শ্রবণ শুরু করে। এতে উপলব্ধি করা যায়, খুতবা শ্রবণ কতো গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে চেষ্টা করি মনোযোগের সাথে খুতবা শ্রবণের এবং অনেক সময় তা ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি। অধিকাংশ মসজিদে বর্তমানে যোগ্য খতিব রয়েছেন এবং তাঁরা প্রস্তুতিসহ খুতবা প্রদান করে থাকেন। গ্রামে গেলে আমি নিজেও ইমাম স...

করোনা নিয়ে পর্যবেক্ষণ

আমি কোনো বিজ্ঞানী নই। সামাজিক মানুষ এবং সমাজ নিয়ে ভাবি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটি উপেক্ষা না করে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও সমাজের মানুষের ভাবনা-চিন্তাগুলো জানার চেষ্টা করি এবং নিজের উপলব্ধিটা শেয়ার করি। শুরু থেকেই করোনা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছি এবং বিশ্বাসের জায়গা থেকেই লেখার চেষ্টা করেছি। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে একেবারে ঘরে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম এবং ঘরকেই মসজিদ বানিয়ে নিয়েছিলাম। সেই অবস্থা থেকে সরে এসেছি। এখন প্রয়োজনে বাজারে যাচ্ছি এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামায়াতের সাথে আদায় করছি। ২০ রাকাত পুরো তারাবিহ পড়ার মতো সুস্থতা আল্লাহপাক এখনো বহাল রেখেছেন। তাঁর দরবারে শুকরিয়া, আলহামদু লিল্লাহ। আমার বিশ্বাস, মসজিদে ২০ রাকাত তারাবিহ পড়ার মধ্যে করোনা থেকে সুরক্ষাও রয়েছে। আমেরিকাপ্রবাসী ছেলের সাথে কথা বলার সময় রসিকতা করে বললাম, ২০ রাকাত তারাবিহ পড়া মানে ৫/৬ কিলো হাঁটার মতো শারীরিক শ্রম (করোনা নিয়ে আমার ছেলের কিছু গবেষণা আছে এবং সে শারীরিক শ্রমের ওপর খুব গুরুত্ব দেয়, সেই প্রেক্ষিতেই বলা এবং আমার কথা শুনে সে একটু হেসে দিল)। আসলে আল্লাহর বিধান তাঁর বান্দাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতের জন্য সমভাবে...

হে আল্লাহ! তুমি আমাদের ক্ষমা করো ও মুসলমান অবস্থায় মৃত্যু দিও।

ফেসবুকে ঢুকলে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে মৃত্যু সংবাদ। আমি সাধারণত এড়িয়ে যাই না। অন্তত 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন' লিখি। কবর জিয়ারত হয় না। ইন্না লিল্লাহি পড়ার মধ্য দিয়ে সামান্য হলেও নিজের মৃত্যুর কথাটি স্মরণ হয়। সমাজে জুলুম-নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার যেহারে বেড়েছে তাতে মনে হয় না আমরা কোনো বিশ্বাসী জাতি। জীবন-সম্পদ, মান-মর্যাদা সবই ভূলুণ্ঠিত। কারো কথা ও আচরণে কোনো মানুষ যদি কষ্ট অনুভব করে তাহলে এমন ব্যক্তিকে মোমিন, মুসলমান মনে করার কোনো কারণ নেই। এটি আমার কথা নয়, আমার আল্লাহ ও তাঁর রসুল (সা)-এর কথা। আল্লাহ তায়ালার বাণী, 'নিশ্চিত ধ্বংস তাদের জন্য যারা মানুষকে সামনাসামনি গালাগাল ও পেছনে দোষ প্রচার করে'- সুরা হুমাজা। মানুষকে যারা অপমান করে, হেয় করে, ক্ষতি করে, জুলুম করে তাদের বাঁচার কোনো সুযোগ নেই। ওদের জন্যই রয়েছে হুতামা, আল্লাহর আগুন। রসুলল্লাহ (সা) বলেছেন, 'ঐ ব্যক্তি মোমিন নয়, মোমিন নয়, মোমিন নয় যার হাত ও মুখের অনিষ্ট থেকে অন্যরা নিরাপদ নয়।' যে সমাজে ৯০% মানুষ মুসলমান দাবী করে সে সমাজে গুম, খুন, জুলুম-নির্যাতন কল্পনাতীত। আল্লাহ ও তাঁর রসুল (সা)-এর বাণী ...

মুবাহালা কী?

সুরা আলে ইমরানের ৬১ নং আয়াতে আল্লাহপাক তার রসুল (সা)-কে মুবাহালা করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। কোনো বিষয়ে সত্য-মিথ্যা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ হলে এবং যুক্তিতর্কে মিমাংসায় উপনীত না হতে পারলে তারা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে, যে পক্ষ মিথ্যাবাদী সে যেন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহর নামে কসম করে বলবে, আমি বা আমরা যদি মিথ্যা বলে থাকি তাহলে আমি বা আমরা যেন আল্লাহর গজবে নিপতিত হই। আল্লাহর অভিশাপ আমাদের ওপর পড়ে এবং আমরা যেন ধ্বংস হয়ে যাই। কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, উভয় পক্ষ নিজেরা ও সন্তান-সন্ততিসহ উপস্থিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে। ঘটনার পটভূমি হলো, নাজরানের খৃষ্টানদের কাছে রসুলুল্লাহ (সা) এই মর্মে ফরমান পাঠান, (১) তোমরা ইসলাম গ্রহণ করো, (২) অথবা জিযিয়া দিয়ে বশ্যতা স্বীকার করো, (৩) অথবা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। খৃষ্টানরা তাদের মধ্য থেকে তিনজনকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠায়। তাদের ধর্মীয় বিষয়াবলী নিয়ে রসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে বাদানুবাদ হয়। সমাধানের লক্ষ্যে রসুলুল্লাহ (সা) মুবাহালা করার জন্য তাদেরকে আহবান জানান এবং নিজে ফাতিমা (রা), আলী (রা) ও হাসান-হোসাইন (রা)-কে সঙ্গে নিয়ে মুবাহালা করার...

করোনা অপ্রতিরোধ্য, সতর্ক হই

গত দুইদিন আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজারের ওপর। এই সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে। আমরা অনেকেই করোনার উপসর্গ নিয়ে চলি এবং একান্ত বাধ্য না হলে টেস্ট করি না। করোনার দ্রুত বৃদ্ধির পেছনে সময়মত টেস্ট না করা এবং গোপন করার প্রবণতাও অনেকাংশে দায়ী। আর পাঁচটা রোগের মতো করোনাও একটি রোগ এবং ভাইরাসজনিত হওয়ার কারণে দ্রুত বিস্তার ঘটে। বছরাধিক হওয়াতে মানুষ এর প্রতিরোধ অনেকখানি জেনে গেছে। তবে করোনা বহুরূপী। এখনো মানুষ পুরোপুরি আয়ত্ব করতে পারেনি। করোনার প্রকোপ ঢাকাকেন্দ্রিক এবং আরো কিছু জেলায় এর প্রকোপ লক্ষণীয়। করোনার বিস্তার রোধে লকডাউন একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী গৃহিত। উদ্দেশ্য মানুষকে ঘরে আটকে রাখা। আসলে রোগীর সংস্পর্শে আসাতে করোনা ছড়ায়। কিন্তু আমাদের দেশে লকডাউনে মানুষ এক সপ্তাহের ছুটি পেয়ে ঈদের আমেজে বাড়ি ছুটেছে। গ্রামে করোনা ছিল না। এখন সর্বত্র করোনা পৌঁছে গেল। করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো স্বাস্থ্যবিধি পালন। অর্থাৎ মাস্ক ব্যবহার ও ঘন ঘন হাত ধোয়া। করোনা রোগীকে ঘরে রেখে চিকিৎসা দানই উত্তম। একান্ত বাধ্য না হলে হাসপাতালে না নেয়ায় ভালো। ঘরে প্রিয়জনরা যে দরদ ও আন্তরিকতা নিয়ে সেবা...

জান-মাল ও সম্মানহানিকারীদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়

গতকাল বরেণ্য আলেম খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক সস্ত্রীক সোনারগাঁও ঘুরতে গিয়ে একটি হোটেলে কিছু গুণ্ডাপ্রকৃতির লোকের হাতে নাজেহাল হন যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। একটি সরকারের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য তার নাগরিকদের জান-মাল ও সম্মানের নিরাপত্তা বিধান করা। দেশের অধিকাংশ জায়গায় যা ঘটছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সরকারি দলের লোকজনই এসব অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত এবং তারা বিচারের আওতায় আসে না। ফলে তারা বেপরোয়া। আজ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে হেনস্থা করছে এবং আশকারা পেয়ে আগামীতে কোনো কারণে মতদ্বৈততা দেখা দিলে নিজ দলের লোকদের ওপর চড়াও হতে মোটেই পিছপা হবে না। গণতন্ত্রের চর্চা না থাকায় আজকে সমাজের এই করুণ পরিণতি। প্রত্যেক মানুষের একটি প্রাইভেট লাইফ আছে। সাধারণ মানুষের মতো উলামায়ে কেরামেরও স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি রয়েছে এবং তাদের প্রতি ভালোবাসা ও দরদও আছে। স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশেরর অধিকারও তাদের রয়েছে। আল্লামা মামুনুল হক একজন ব্যস্ত মানুষ। ব্যস্ততার মাঝে একটু সুযোগ করে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার মাধ্যমে স্ত্রীর প্রতি হকই তিনি পালন করেছেন। এর মধ্যে দোষের কিছু দেখি না। মানুষ...

করোনা থেকে আত্মরক্ষা

দেশে হঠাৎ করেই করোনার দ্রুত বিস্তার ঘটছে। সাধারণত সর্দি-কাশির মতো ছড়াচ্ছে। আমার নিজের পর্যবেক্ষণ- করোনা শিশু, কিশোর ও যুবকদের জন্য তেমন হুমকি নয়। কিন্তু এরা করোনা ছড়াচ্ছে এবং অনেক সময় বুঝতেও পারছে না। জ্বর, কাশি হলে ২/১টা প্যারাসিটামল খেলে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তারা সহজেই রেহাই পাচ্ছে। বয়স্ক ও বিভিন্ন রোগ-ব্যধিতে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য করোনা ভয়ঙ্কর সমস্যা। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু ১.৫%। এটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। মাস্ক সবাইকে পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া শিশু-কিশোর-যুবক কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এটি অভিভাবকেই নিশ্চিত করতে হবে। দূরত্ব বজায় রেখে চলা ও ঘন ঘন হাত ধোয়ার গড়ে ওঠা অভ্যাস আবার জোরদার করতে হবে। করোনা পরীক্ষা করে পজিটিভ আসলে সেটি গোপন করা ঠিক নয়। তাতে অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সেটি হবে গুনাহের কাজ। সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে শারীরিক পরিশ্রম/ব্যায়াম, প্রতিনিয়ত শরীরে রৌদ্র লাগানো, পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, পরিমিত পানি পান, নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার ইত্যাদির ওপর। ডা. জাহাঙ্গীর কবীরের এ সম্পর্কীয় অনেক ভিডিও রয়েছে। পুর...

নরহত্যা জঘন্য অপরাধ এবং পরিণতি জাহান্নাম

জুমার খুতবা ০২.০৪.২০২১ বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সা্ইয়াফ আজকের খুতবায় কুরআন ও হাদিসের প্রচুর উদ্ধৃতিসহ নরহত্যার পরিণতি এবং তা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। মোমিনের জানমাল অত্যন্ত পবিত্র। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সবকিছু একত্রিত করলেও একজন মানুষের জীবন তার চেয়েও পবিত্র ও মূল্যবান। এ প্রসঙ্গে তিনি সুরা মায়েদার ৩২ নং আয়াত উদ্ধৃত করেন, ‘নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোনো কারণে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে হত্যা করলো। আর যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করলো।’ তিনি প্রচুর হাদিস উদ্ধৃত করেন। রসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘পবিত্র কাবাকে ধ্বংস করার চেয়েও একজন মোমিনকে হত্যা করা কঠিন অপরাধ।’ শিরক সবচেয়ে বড় অপরাধ এবং শিরকের সাথে সাথেই আর একটি বড় অপরাধ হলো মানুষকে হত্যা করা। আখেরাতে আল্লাহর আদালতে হক্কুল্লাহ (আল্লাহর হক) হিসেবে প্রথম ফায়সালা হবে নামাজের এবং হক্কুল ইবাদ (বান্দার হক)...

আল্লাহ যা চান সেটিই হয়

করোনা আবার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। আমাদের দেশে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন পরিস্থিতি বেশ নাজুক। গত বছরের ২ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল ৪০১৯ জন। অথচ গত ২৯, ৩০ ও ৩১ মার্চ শনাক্ত হলো যথাক্রমে ৫১৮১, ৫০৪২, ৫৩৫৮ এবং মৃত্যু ৪৫, ৪৫ ও ৫২ জন; বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৫৪ জন (২৬ আগস্ট ২০২০)। ৮ মার্চ আমাদের দেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ মৃত্যু হয়। ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৫১ ও মৃত্যু ৫ জন। সেসময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় ভয়াবহ অবস্থা চলছিল। গত বছরের ৩১ মার্চ ২৪ ঘন্টায় স্পেনে মৃত্যু হয় ৮৪৯ ও আমেরিকায় ৫৪০। মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ঘরে নিজেদেরকে আবদ্ধ করে নিয়েছিল। এমনকি মসজিদগুলো মুছল্লিশূন্য হয়ে পড়েছিল। আমি নিজেও জুমা ও ঈদের নামাজসহ সব নামাজ বাসায় জামাত করে আদায় করেছি। ঘরগুলো হয়ে পড়েছিল মসজিদ। লকডাউন, সরকারি ছুটিসহ নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এবার চিত্র ভিন্ন। করোনা দ্রুত সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। মাঝে মৃত্যু ৫-এ দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু দ্রুত করোনার বিস্তৃতি রোধে জনসচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ লক্ষণীয় নয়। পূর্বের মতো করোনাভীতি মানুষের মাঝে বর্তমানে নেই। গতকালের নিজের কিছু অভিজ্ঞত...