Skip to main content

দোয়া মাসুরা

দোয়া মাসুরা বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লি মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রহিম। বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ্‌! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই জুলুম করেছি, গুনাহ ক্ষমাকারী একমাত্র তুমিই; অতএব তুমি আপনা থেকে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করো এবং আমার প্রতি দয়া করো। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। আমাদের মসজিদে ইমাম সাহেব কয়েকদিন ধরে মসক করাচ্ছেন ও সাথে অর্থও বলছেন। আলহামদু লিল্লাহ। রসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে নামাযের মধ্যেই দোয়া শিখিয়েছেন। সুরা ফাতিহাও দোয়া এবং সর্বোত্তম দোয়া। প্রতি নামাজে ও প্রতি রাকাতে পড়তে হয়। এ ছাড়াও দুই সেজদার মাঝখানে দোয়া, সেজদায় গিয়ে দোয়া ও সালাম ফেরানোর আগেও দোয়া করা যায়। আল্লাহর রসুল (সা)-এর শেখানো দোয়াকে যথেষ্ট মনে না করে নামায শেষে আবার আলাদা মোনাজাতের প্রচলন। তেমনি জানাযার নামাযে দোয়া রয়েছে, সেখানেও আলাদা মোনাজাত। সবই অতিরঞ্জিত। ইবাদতে অতিরঞ্জন সমর্থনযোগ্য নয়। নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ, বিভিন্ন তাসবিহ পাঠ, সূরা ফালাক ও নাছ পড়ার উল্লেখ হাদিসে রয়েছে। নতুন উদ্ভাবনের কারণে সুন্নাহ লোপ পেয়েছে এবং এটিই হয়ে থাকে। আল্লাহপাক বলেছেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো’। সর্বসম্মত মত হলো, সালাম ফেরানোর সাথে সাথেই নামায শেষ হয়ে যায়। তাই নামাযের মধ্যে আল্লাহর কাছে চাওয়া বা দোয়া করাই হলো উত্তম। সুরা হুজরাতে (প্রথম আয়াত) আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের চেয়ে অগ্রগামী হয়ো না। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও জানেন’। মুসলিম (অনুগত) সেই যে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের (সা) কথা শুনলে বলে, ‘আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম’ (ছামেইনা ও আ’তানা)। আগবাড়িয়ে কিছু করা একজন মুসলিমের জন্য সংগত নয়। মুসলিম সবসময় অনুগামী হয়ে থাকে। মুস্তাহাব আমল কিছু ছুটে গেলে গুনাহ নেই। কিন্তু রসুলুল্লাহ (সা) সমর্থিত নয় এমন কোনো আমলকে ছওয়াব বলে চালানো রসুল (সা)-এর উপর মিথ্যা আরোপ ও কবিরা গুনাহ। মু’মিন সবসময় সন্দেহপূর্ণ কর্ম থেকে দূরে থাকে। তাই কোনো আমল সুন্নাহ সমর্থিত হওয়ার ব্যাপারে যদি সন্দেহ জাগে তাহলে তা থেকে দূরে থাকা মু’মিনের কর্তব্য। সাধারণত মুস্তাহাব আমল নিয়ে মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। এগুলোর মধ্যে কিছু রসুলুল্লাহ (সা) ও সাহাবাদের (রা) আমলে ভিন্নতা রয়েছে (সাহাবারা (রা) যে যেভাবে দেখেছেন সেভাবে বর্ণনা করেছেন), যার প্রেক্ষিতে ফিকহ শাস্ত্রে বিভিন্ন মজহাবের উদ্ভব হয়েছে। এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু রসুলুল্লাহ (সা) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা) যেটা ইবাদত হিসেবে করেননি সেটিই নতুন উদ্ভাবন (ভ্রষ্টতা)। আল্লাহপাক তাঁর রসুল (সা)-কে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণের তাওফিক আমাদেরকে দান করুন। আমিন।

Comments