একজন মুসলিম হিসেবে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম হকদার হলেন আমার আল্লাহ এবং তাঁর প্রেরিত রসূল মুহাম্মদ (সা)। এরপর আমার পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন এবং আল্লাহর সকল বান্দাহ ও তাঁর সৃষ্টিকূল। ভালোবাসা প্রকাশের মানদন্ড হলো ‘যে আল্লাহরই জন্য কাউকে ভালোবাসলো এবং আল্লাহরই জন্য কারো সঙ্গে শত্রুতা করলো সে তার ঈমান পূর্ণ করলো’। নিশ্চয়ই প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে যে ভালোবাসা তা আল্লাহর জন্য নয়। আল্লাহর জন্য তখনই হবে যখন আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা লঙ্ঘন না করে পরস্পরকে ভালোবাসবে। একজন নারী ও পুরুষের মাঝে ভালোবাসা থাকতেই পারে এবং সেটি প্রকাশের নিয়ম হলো উভয় অভিভাবকের সম্মতিতে পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ছাড়া পরস্পর মিলিত হওয়া, ঘুরে বেড়ানো, গল্প-গুজব, উপঢৌকন আদান-প্রদান ও একত্রে আপ্যায়নের কোনো সুযোগ নেই।
ইসলামে পর্দার বিধান ফরজ (অলঙ্ঘনীয়)। যাদের সাথে বিয়ে নিষিদ্ধ তাদের ছাড়া অন্য কারো সাথে পর্দা ব্যতীত দেখা-সাক্ষাত, কথা-বার্তা বলা, উঢৌকন আদান-প্রদান কোনো কিছুই সম্ভব নয়। কিন্তু ভালোবাসা দিবসে আমরা কী দেখি? অশ্লীলতা ও বেয়াপনার সয়লাব বয়ে চলে। সেজেগুজে তরুণ-তরুণীর পার্ক-রেস্টুরেন্টে আড্ডা, রাত্রিযাপন অনেক কিছু ঘটে থাকে। আমরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণ-খুন আমরা লক্ষ্য করি। প্রেমিকা কর্তৃক প্রেমিককে পাঁচ টুকরো করা, প্রেমিক কর্তৃক প্রেমিকা ধর্ষণ ও খুন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা।
মুসলিম পরিচয় দানে ইচ্ছুক প্রত্যেক নর ও নারীকে পর্দা মানতেই হবে। এর অন্যথা করার কোনো সুযোগ নেই। রসূল (সা) বলেন, মি’রাজের রাতে জাহান্নামের বাসিন্দাদের অধিকাংশই দেখলাম নারী এবং তার অন্যতম কারণ পর্দাহীনতা। পর্দাহীন নারীর স্বামী বা অভিভাবককে দায়ূস বলা হয় এবং দায়ূস কখনই জান্নাতে যাবে না।
তাই বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকার জন্য আমাদের সন্তানদের পাশাপাশি আমরা অভিভাবকরাও সতর্ক হই। সমাজে অশ্লীলতা প্রসারের জন্য শয়তান খুবই সক্রিয় এবং সে মানব জাতির প্রকাশ্য শত্রু। আমরা শয়তানকে বন্ধু নয়, শত্রু বিবেচনা করে সব ধরনের অশ্লীলতা-বেয়াহাপনা থেকে দূরে থাকি। আল্লাহপাক আমাদেরকে হেফাজত করুন। ১৪.০২.২০২১
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment